এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ছ’জন পাক জঙ্গিকে পাকড়াও করেছে। এবার প্রকাশ্যে এল বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’ জন জঙ্গি একসঙ্গে না থেকে পৃথক রাজ্যে থাকার পরিকল্পনা করেছিল। উৎসবের মরশুমে দেশের ছ’টি রাজ্যের ১৫টি শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল তারা। বড়সড় নাশকতার পিছনে ISI যোগ রয়েছে বলেই খবর। ধৃত ছ’ জঙ্গির মধ্যে দু'জন করাচির সীমান্তে পাক সেনার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। ভারতের নির্দিষ্ট কিছু জায়গার সর্বাধিক ক্ষতি কী ভাবে ঘটানো সম্ভব রীতিমতো হাতে ধরে তা শেখানো হয়েছিল তাদের। CNN News 18 -এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওমানের রাজধানী মাস্কাটে গিয়েছিল ছ’জনের ওই দল। জানা গিয়েছে, তাদের কাছে বৈধ ভিসা ছিল। ১০ দিন সেখানে কোয়ারেন্টাইনে ছিল তারা। পরে সেখান থেকে সমুদ্রপথে ইরানে যায় তারা। ইরান থেকে নৌকাপথে করাচিতে আসে ওই জঙ্গিবাহিনী।
করাচিতে পৌঁছনোর পর সীমান্তবর্তী এলাকার একটি ফার্মহাউজে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। পাকিস্তানের তিন বাসিন্দাকে বোমা তৈরি করতে শিখিয়েছিল পাক সেনা। পাশাপাশি, ম্যাচ পড়তেও শেখানো হয়েছিল তাদের। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে ধবংস করার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করতে হয়, তাও শেখানো হয়েছিল ওই তিন জঙ্গিকে। এ প্রসঙ্গে দিল্লির স্পেশাল কমিশনার নীরজ ঠাকুর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যে ছ’ জনকে ধরা হয়েছে, তাদের মধ্যে দু’ জন (ওসামা এবং জিসান) পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। চলতি বছরেই তারা ভারতে আসে। আমরা তাদের দু’ জনের বিষয়ে জানার জন্য একটি স্পেশাল টিম গঠন করেছি। মহারাষ্ট্র থেকে প্রথম এক জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়েছিল। পরে দিল্লি থেকে আরও দু’ জনকে ধরা হয়। এরপর উত্তরপ্রদেশের ATS এর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বাকি তিনজনকে ধরতে দক্ষিণ হয়েছি আমরা’।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং উত্তরপ্রদেশের ATS যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস করেছিল। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) ভাই আনিস ওই জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থসাহায্য করছিল। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হতো বলেই অভিযোগ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের জান মহম্মদ শেখ (৪৭), দিল্লির ওসামা (২২), উত্তরপ্রদেশের রায় বরেলির মূলচন্দ (৪৭), এলাহাবাদের জিসান কামার, বেহরাইচের মহম্মদ আবু বাকর (২৩) এবং লখনউয়ের মহম্মদ আমির জাভেদ (৩১)।
জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক এবং টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
করাচিতে পৌঁছনোর পর সীমান্তবর্তী এলাকার একটি ফার্মহাউজে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। পাকিস্তানের তিন বাসিন্দাকে বোমা তৈরি করতে শিখিয়েছিল পাক সেনা। পাশাপাশি, ম্যাচ পড়তেও শেখানো হয়েছিল তাদের। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে ধবংস করার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করতে হয়, তাও শেখানো হয়েছিল ওই তিন জঙ্গিকে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং উত্তরপ্রদেশের ATS যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস করেছিল। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) ভাই আনিস ওই জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থসাহায্য করছিল। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হতো বলেই অভিযোগ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের জান মহম্মদ শেখ (৪৭), দিল্লির ওসামা (২২), উত্তরপ্রদেশের রায় বরেলির মূলচন্দ (৪৭), এলাহাবাদের জিসান কামার, বেহরাইচের মহম্মদ আবু বাকর (২৩) এবং লখনউয়ের মহম্মদ আমির জাভেদ (৩১)।
জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক এবং টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।