অ্যাপশহর

চার বছর বয়স থেকে মামার লালসার শিকার, চল্লিশে পৌঁছে আদালতে নির্যাতিতা

দেরিতে হলেও, সাহস সঞ্চয় করে 'ধর্ষক' মামাকে দিল্লির আদালতে বিচারকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। শুনানি শুরু হয়েছে এই ধর্ষণ মামলার। দীর্ঘ চার দশকের পুঞ্জিভূত ঘৃণার বিস্ফোরণ ঘটে আদালতকক্ষে।

EiSamay.Com 10 Dec 2019, 11:39 pm
EiSamay.Com Raped
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: 'ধর্ষক' মামাকে আদালতের কাঠগড়ায় তুলতে জীবনের চল্লিশটা বসন্ত কাটিয়ে ফেললেন দিল্লির এক রমণী। নিগ্রহের শুরু চার বছর বয়সে। তখন এসব বোধগম্যিও হয়নি। আবার যখন সবকিছু বুঝেছেন, তখনও যে কিছু করতে পেরেছেন, তা-ও তো নয়। মাকে বলছেন, কাজ হয়নি। ভয়ে-ভীতিতে হোক কিংবা সংকোচে-লজ্জায়-- মুখ ফুটে বাইরের কাউকে কিচ্ছুটি বলতে পারেননি। সেই সুযোগে ভাগনির উপর যৌন অত্যাচার দিনে দিনে বেড়েছে। দেরিতে হলেও, সাহস সঞ্চয় করে 'ধর্ষক' মামাকে দিল্লির আদালতে বিচারকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। শুনানি শুরু হয়েছে এই ধর্ষণ মামলার। দীর্ঘ চার দশকের পুঞ্জিভূত ঘৃণার বিস্ফোরণ ঘটে আদালতকক্ষে। নির্যাতিতা অকপটে জানান, নিজেরই সম্পর্কিত মামা তাঁর চার বছর বয়স থেকে রেপ করে চলেছে। মামার লালসার শিকার হয়ে, একাধিকবার তিনি গর্ভবতীও হয়ে পড়েছেন। 'ধর্ষক' মামাই প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে, গোপনে গর্ভপাত করিয়ে এনেছে। কিন্তু, অত্যাচার কমেনি এতটুকু।

সহকর্মীর গুলিতে ঝাড়খণ্ডে নিহত ২ সিআরপিএফ অফিসার

শুনানি চলাকালীন নির্যাতিতা জানান, ১৯৮১ সালে প্রথমবার তিনি যৌন নিগ্রহের শিকার হন। বয়স তখন মাত্র চার। আরও জানান, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ক্লাস টেনের মধ্যেই তিন-তিন বার তাঁকে গর্ভপাত করাতে হয়েছে। অতিরিক্ত সেশন জজ উমেদ সিং গ্রেওয়াল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন। ধর্ষণ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায়, অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। অভিযুক্ত বর্তমানে ওই নির্যাতিতারই এক সত্‍‌ বোনের স্বামী।

দিনে এক পেগ মদ্যপানেও রয়েছে ক্যানসারের ঝুঁকি

নির্যাতিতা যদিও ২০১৬ সালেই একবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। দিল্লির ওই রমণী আদালতে বলেন, ১৯৮১ সালে চার বছর বয়স থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত, মামার হাত থেকে নিস্তার পাননি। শেষবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে ক্লাস টেনে পড়া কালীন। তার পর, মাঝের কিছুটা সময় অত্যাচার কমেছিল। বিয়েও হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ২০১৪ সালের অগস্টে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর, ফের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে জোরাজুরি শুরু করে অভিযুক্ত। সেক্সের জন্য পদে পদে তাঁকে হেনস্থা করা শুরু হয়।

নাগরিকত্ব বিলে সমর্থন নীতিশের, দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন প্রশান্ত কিশোর!

মেয়েটির অভিযোগ, মাকে সেসময় বলেছিলাম মামার এই অস্বাভাবিক আচরণের কথা। পরিবারের আরও কয়েক জনকেও বলেছিলাম। কিন্তু, কাউকেই তিনি পাশে পাননি। বরং, উলটে তাঁরা বলেছেন, বাইরের কাউকে কিছু না বলে, বিষয়টি চেপে যেতে। কয়েক বছর পর তাঁরই এক সত্‍‌ বোনকে বিয়ে করে অভিযুক্ত। কিন্তু, যৌন হেনস্থা বন্ধ হয়নি।

২০১৬ সালে মা মারা যাওয়ার সময়, তাঁকে মায়ের শেষকৃত্যে থাকতে পর্যন্ত দেয়নি অভিযুক্ত। মামার শারীরিক চাহিদা না মেটালে, মাকে যে শেষবার দেখার সুযোগটুকুও তিনি পাবেন না, তা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে সেসময় খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল