অ্যাপশহর

সুপ্রিম রায়ের পড় তড়িঘড়ি পুরনো ‘নিষিদ্ধ’ বাজি বিক্রির ধুম

রায় ঘোষণার পরেই দিল্লির বাজি বিক্রেতাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো পড়ে যায় পুরনো সব বাজি যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দেওয়ার।

EiSamay.Com 24 Oct 2018, 12:55 pm

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্রিন ফায়ারওয়র্কস’-কে সবুজ ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে সিক্রি ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতার কাছ থেকেই বাজি কেনা যাবে। অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন বা ই-কমার্সের মাধ্যমে বাজি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শীর্ষ আদালত।

EiSamay.Com নিষিদ্ধ বাজির স্টক বিক্রি করতে তত্‍‌পরতা
নিষিদ্ধ বাজির স্টক বিক্রি করতে তত্‍‌পরতা


যে বাজিতে দূষণ কম, সেই বাজি বিক্রি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট জায়গায় কোন সময় পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে, তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। দীপাবলিতে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বড়দিন বা নিউ ইয়ারে বাজি ফাটাতে হবে রাত ১১.৪৫ থেকে ১২.৩০টার মধ্যে। বাজি নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ গোটা দেশে বলবত্‍‌ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এই রায় ঘোষণার পরেই দিল্লির বাজি বিক্রেতাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো পড়ে যায় পুরনো সব বাজি যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দেওয়ার। সদর বাজারের বাজি বিক্রেতাদের কাছে বাজির যে স্টক আছে তার ৮০ শতাংশই শীর্ষ আদালতের নির্দিষ্ট করে দেওয়া বাজির মধ্যে পড়ে না। একই সঙ্গে সংশয় রয়েছে ‘গ্রিন ফায়ারওয়র্কস’ আসলে ঠিক কী ধরনের বাজি তা নিয়ে। নয়া আইন কার্যকর হওয়ায় পুরনো স্টক বিক্রি করা বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজি বিক্রেতাদের কাছে।

সদর বাজারের বেশ কয়েকজন বিক্রেতা অবশ্য জানিয়েছেন কম আওয়াজের এবং কম ধোঁয়ার ‘গ্রিন ফায়ারওয়র্কস’-এর জোগান আসা শুরু হয়ে গিয়েছে বাজারে। তবে বাজির বাক্সের গায়ে পরিবেশ বান্ধব বাজি বলে কিছুই চিহ্নিত করা থাকে না বলেও জানিয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। কোন বাজি পরিবেশ বান্ধব, কোনটি নয় তা নির্ভর করে বিক্রেতার বোধবুদ্ধির উপরেই।

খবরটি ইংরেজিতে পড়তে CLICK করুন

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল