অ্যাপশহর

গোরুর থাকুক মৌলিক অধিকার, গো-মাতাকে জাতীয় পশু ঘোষণার সুপারিশ হাইকোর্টে

আবারও উঠল গোরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার দাবি... এলাহাবাদ হাইকোর্টে উঠল এমনই সুপারিশ

EiSamay.Com 2 Sep 2021, 4:03 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘ নয়, গোরুকে করা হোক জাতীয় পশু। এলাহাবাদ হাইকোর্টে উঠল এমনই সুপারিশ। বুধবার বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একক বেঞ্চ গো হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এমনই সওয়াল করেন। সেসময় ‘উত্তরপ্রদেশ গোহত্যা বিরোধী আইনে’ অভিযুক্ত জাভেদ নামে এক ব্যক্তির জামিনের শুনানির মামলা চলছিল। অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজের কারণ ব্যাখা করতে গিয়েই ওঠে গোরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার তত্ত্ব।
EiSamay.Com cow1


গোরু জবাই করায় উত্তরপ্রদেশের গরু নিধন প্রতিরোধ আইনের অধীনে গ্রেফতার হয় জাভেদ। আবেদনকারীর জামিন প্রত্যাখ্যান করে বিচারপতি শেখর যাদব বলেন,'গোরু ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িয়ে। বেদ ও মহাভারতের মতো ভারতীয় প্রাচীন গ্রন্থগুলোতে গোরুকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।' বিচারপতি যাদবের মতে,'গোরুর ভাল হলে তবেই দেশের ভাল হবে।' একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় নাগরিকদের মতো গোরুরও মৌলিক অধিকার থাকা উচিত। এর জন্য সংসদে বিল পাশ করে নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশও করেন। তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি বিবেচনায় গোরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করা উচিত এবং গোরুর সুরক্ষা ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকারের অংশ হওয়া উচিত।' হিন্দু শাস্ত্র মতে, গোরু দানকে মহাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। মনে করা হয়, যে ব্যক্তি গোদান করে তাঁর সমস্ত পাপ কেটে যায়। গো দান করলে ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করতে পারে।

এই প্রথম নয়, ২০১৭ সালেও এই সুপারিশ উঠেছিল রাজস্থান হাইকোর্টেও। অবিলম্বে গরুকে জাতীয় পশু বলে ঘোষণা করতে হবে বলে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট ৷ একইসঙ্গে গোহত্যায় দোষী সাবস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার দাবিও তুলেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা ওই মামলার শুনানিতে গোরুকে ‘মাতা’ বর্ণনা করে বলেছিলেন, 'গোহত্যার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।'

সম্প্রতি মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বন্ধ গোমাংস বিক্রি। অসম বিধানসভায় পাশ গো সংরক্ষণ বিল। অসমের ১৯৫০ সালের আইন অনুযায়ী, শর্তসাপেক্ষে ১৪ বছরের বেশি বয়সী গবাদি পশু জবাই করা যেত। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, এই আইন অমান্যকারীর আট বছর পর্যন্ত জেল এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। কেউ যদি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করেন তাহলে তার জরিমানা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

পরের খবর