এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে বেলাগাম সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বিরাট স্বস্তির বার্তা শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। করোনাভাইরাসের (Covid 19)-এর একাধিক প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারবে কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। ICMR-র গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনার একাধিক প্রজাতিকে বিনাশ করতে পারবে কোভ্যাক্সিন। যে হারে দেশজুড়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে কোভ্যাক্সিনের কার্যক্ষমতা নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরল ICMR, তাতে আশার আলো দেখা গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কো-ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। যে হারে করোনা বাড়ছে তাতে দেশের কোথাও কোথাও ভ্যাকসিনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-কেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, দেশে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে যে আশার বাণী শোনাল ICMR, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছর ঊর্ধ্ব সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কত টাকা হতে চলেছে করোনা টিকার দাম? শেষমেশ টিকার দাম নির্ধারিত করল সেরাম ইনস্টিটিউট। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই টিকা পাওয়া যাবে ৬০০ টাকায়। কেন্দ্রকে ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ মূল্যে কোভিশিল্ড Vaccine সরবরাহ জারি রাখবে সেরাম।
সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, টিকার ডোজের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। বিদেশী টিকার থেকে কোভিশিল্ডের দাম অনেক কম। সেরাম ইনস্টিটিউটের CEO আদর পুনাওয়ালা জানান, জুলাই মাসের পর থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক মাসে ১০০ মিলিয়নের বেশি করোনা টিকা তৈরি করতে পারবে। তিনি আরও জানান, উৎপাদিত টিকার ৫০ শতাংশ পাবে কেন্দ্র এবং বাকি ৫০ শতাংশ টিকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। যে হারে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে টিকাকরণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন অপচয়ের তথ্য সামনে এল। যে তথ্য দেখলে চোখ কপালে উঠবে! তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত যে বিভিন্ন রাজ্যের টিকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার ২৩ শতাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ১০ কোটি ডোজের মধ্যে ৪৪ লাখেরও বেশি ডোজ নষ্ট হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যেখানে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে এই তথ্য ঘিরে নয়া উদ্বেগ শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছর ঊর্ধ্ব সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কত টাকা হতে চলেছে করোনা টিকার দাম? শেষমেশ টিকার দাম নির্ধারিত করল সেরাম ইনস্টিটিউট। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই টিকা পাওয়া যাবে ৬০০ টাকায়। কেন্দ্রকে ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ মূল্যে কোভিশিল্ড Vaccine সরবরাহ জারি রাখবে সেরাম।
সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, টিকার ডোজের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। বিদেশী টিকার থেকে কোভিশিল্ডের দাম অনেক কম। সেরাম ইনস্টিটিউটের CEO আদর পুনাওয়ালা জানান, জুলাই মাসের পর থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক মাসে ১০০ মিলিয়নের বেশি করোনা টিকা তৈরি করতে পারবে। তিনি আরও জানান, উৎপাদিত টিকার ৫০ শতাংশ পাবে কেন্দ্র এবং বাকি ৫০ শতাংশ টিকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। যে হারে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে টিকাকরণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন অপচয়ের তথ্য সামনে এল। যে তথ্য দেখলে চোখ কপালে উঠবে! তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত যে বিভিন্ন রাজ্যের টিকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার ২৩ শতাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ১০ কোটি ডোজের মধ্যে ৪৪ লাখেরও বেশি ডোজ নষ্ট হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যেখানে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে এই তথ্য ঘিরে নয়া উদ্বেগ শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।