অ্যাপশহর

সাবধান!একুশের লকডাউন ভাঙলে ২ বছর পর্যন্ত জেল

প্রধানমন্ত্রীর আর্জি উপেক্ষা করে, একটানা লকডাউনে কেউ যদি ঘরের সীমানার বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অভিযুক্তের ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।এ ছাড়া, আইপিসির ১৮৮ ধারাতেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হবে।এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

EiSamay.Com 25 Mar 2020, 6:49 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে লকডাউনে লোকজনকে ঘরবন্দি রাখতে মঙ্গলবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কড়া নির্দেশিকা জারি করে। করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে আজ, বুধবার থেকে গোটা দেশে একুশ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই ঘোষণার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই নির্দেশিকা জারি করে। প্রধানমন্ত্রীর আর্জি উপেক্ষা করে, একটানা লকডাউনে কেউ যদি ঘরের সীমানার বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। নির্দেশিকা অমান্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অভিযুক্তের ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে কেন্দ্রের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
EiSamay.Com coronavirus_India_Jammu_380_PTI


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় কেউ কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ভাঙতে চাইলে, তাঁর বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের ৫১ ও ৬০ ধারা প্রয়োগ করা হবে। এ ছাড়া, আইপিসির ১৮৮ ধারাতেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হবে।এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মীকে এমন পরিস্থিতিতে তাঁর কাজে বাধা দিলে শাস্তি হতে পারে। এমনকী রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে আসা নির্দেশ পালিত না হলেও হতে পারে শাস্তি। যার সাজা এক বছরের জেল বা জরিমানা হতে পারে। নিয়ম না মানায় কারও মৃত্যু হলে, তার সাজা আরও ভয়ানক হতে পারে।

শুধু রাস্তায় বেরোনো নয়। কোনও ব্যক্তি মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে, তার ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ত্রাণের কাজে লাগা পণ্য বা টাকা যদি নয়ছয় করা হয় বা কেউ সে টাকা নিজের কুক্ষিগত করে রাখলে, তা হলেও শাস্তি অনিবার্য।

এই সময় কোনও সরকারি কর্মী যদি অন্যায় কাজ করেন, তা হলেও তিনিও রেহাই পাবেন না। যে দফতরের কর্মী অন্যায় করবেন, তাঁর দফতর যদি পদক্ষেপ না করে, তা হলে সেই দফতরের কর্তাকে শাস্তি পেতে হবে।

যদি কোনও সরকারি কর্মী এমন আপৎকালে নিজেকে কর্তব্য থেকে সরিয়ে নেন, তা হলে তাঁকেও মুখোমুখি হতে হবে শাস্তির। এতে জরিমানা ও হাজতবাস দুইই হতে পারে। এছাড়াও সেকশন ৬৫ এর আওতায় যদি কোনও সরকারি কর্মী আইন বিরুদ্ধ কাজ করেন, তা হলেও হাজতবাসের সাজা হতে পারে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি কোনও নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তা হলে, তা না-মানলেও শাস্তি হতে পারে। এ ছাড়া, এই সময় কোনও কর্পোরেট হাউস বা সংস্থা যদি নিয়ম না মানে, তারও কড়া শাস্তি হতে পারে।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল