অ্যাপশহর

দিল্লি আইআইটিতে পোশাকে ফতোয়া

হাউস ডে’৷ বছরের এই একটা দিনের ঘণ্টাখানেকের জন্য বাইরের অতিথিদের ক্যাম্পাসের ভিতর আনতে পারেন হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা৷ সেই বিশেষ দিন ‘পুরোপুরি ঢাকা, সভ্যভব্য পশ্চিমি বা ভারতীয় পোশাক’পরতে হবে ছাত্রীদের৷

EiSamay.Com 19 Apr 2017, 12:23 pm
নয়াদিল্লি: ‘হাউস ডে’৷ বছরের এই একটা দিনের ঘণ্টাখানেকের জন্য বাইরের অতিথিদের ক্যাম্পাসের ভিতর আনতে পারেন হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা৷ সেই বিশেষ দিন ‘পুরোপুরি ঢাকা, সভ্যভব্য পশ্চিমি বা ভারতীয় পোশাক’পরতে হবে ছাত্রীদের৷ এই মর্মেই নোটিস জারি হয়েছে দিল্লি আইআইটি-তে৷ আর সেই নির্দেশিকা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু বিতর্কের৷
EiSamay.Com controversy in delhi iit with dressing instruction
দিল্লি আইআইটিতে পোশাকে ফতোয়া


১৬ এপ্রিল আইআইটি ক্যাম্পাসে জারি হয়েছে এই নোটিস, আর তার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পিঞ্জরা টোড নামে এক ছাত্রী৷ তাঁর কটাক্ষ,‘ছাত্রীদের নিরাপদ, লিঙ্গবৈষম্যহীন পরিবেশ দিতেই কি এই ফতোয়া?’প্রতি বছরই এই দিনটিকে ঘণ্টাখানেকের জন্য হস্টেল চত্বরে বহিরাগতদের আগমন ঘটে৷ এ বার ‘হাউস ডে’২০ এপ্রিল৷ ছাত্রীদের জন্য জারি হওয়া ওই নির্দেশিকায় ‘হাউস ডে’শব্দটি পেন দিয়ে লেখা হয়েছে৷ ছাত্রীদের বক্তব্য, ওই দিনে ক্যাম্পাসে আসা অজ্ঞাতপরিচয়দের হাত থেকে ছাত্রীদের নিরাপদ রাখতেই দিনটির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত পিঞ্জরার প্রশ্ন,‘মহিলারা কী পরবেন, না পরবেন, সে ব্যাপারে কলেজ প্রশাসনের এক খবরদারির প্রয়োজন পড়ল কেন?’

তবে, শিক্ষাক্ষেত্রে মরাল পুলিশি এই প্রথম নয়৷ গত বছরই মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ুয়াদের ‘রিপড জিনস’পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ দিল্লির হিন্দু কলেজ আবার ছাত্রীদের জন্য ড্রেস কোড চালু করেছিল৷ তাদের নির্দেশিকায় লেখা ছিল,‘হস্টেল বা কলেজের কমন স্পেস, ভিজিটার্স রুম ও ডাইনিং হল ব্যবহারের সময় আবাসিকরা এমন পোশাক পরবেন, যা সমাজের চোখে স্বাভাবিক৷’এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি৷ এক ছাত্রীর মতে, হস্টেলে এ ধরনের বিধিনিষেধ স্বাভাবিক, তবে সেটা সাধারণত মুখে জানানো হয়, এ ভাবে নোটিস জারি করে নয়৷ তবে, এ নিয়ম না মানলে শাস্তি যে দেওয়া হয় না, তাও জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী৷
তবে, দিল্লি আইআইটির এই ফতোয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে৷ বর্তমানে প্রতিটি আইআইটিগুলিতে ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৮ শতাংশ৷ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের উপস্থিতি বাড়াতে ও লিঙ্গসাম্য আনতে ২০১৮-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্রীদের জন্য ১৪ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআইটিগুলি৷ ধাপে ধাপে সেই সংরক্ষণ ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে৷ সেই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের মধ্যে ছাত্রীদের উপর এমন ফতোয়া জারি কতখানি প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য৷ - সংবাদসংস্থা

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল