অ্যাপশহর

বছর শেষে আরও বাড়বে ঠান্ডার দাপট, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা

আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে আগামী দুদিন ব্যপক তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এও জানানো হয়েছে, উত্তর- পশ্চিম হিমালয় পর্বত বরাবর শীতল ও শুষ্ক বাতাস উত্তরভারতের বিস্তৃণ এলাকায় বয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, বর্ষশেষ বা নববর্ষে মোটের উপর ঠান্ডা আমেজ ফের ফিরে আসবে। মোট কথা, শীতের আমেজেই বর্ষবরণ উদযাপন করতে পারবেন শহরবাসী।

EiSamay.Com 30 Dec 2020, 3:28 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : আরও বাড়বে ঠান্ডার দাপট। পূর্বাভাস বলছে, বর্ষশেষের রাতে কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকতে পারে। এই সপ্তাহের তাপমাত্রাও বেশ নিম্নগামীই ছিল। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই নিরিখে শহরে মরসুমের শীতলতম দিন ছিল রবিবার।
EiSamay.Com cold wave in North India
ছবিটি প্রতীকী


আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে শহরের তাপমাত্রা কমলেও সোম ও মঙ্গলবার তামপাত্রা খানিকটা বেড়েছে। বুধবারও তাপমাত্রা একই থাকবে। এর নেপথ্যেও রয়েছে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। যেটি এই মুহূর্তে কাশ্মীরে ঢুকছে। তার প্রভাবে উত্তর ভারতে বৃষ্টিবাদলার সম্ভাবনা। ফলে উত্তুরে-পশ্চিমি বাতাসের জোর কমবে। তাই কলকাতার তাপমাত্রা বেড়ে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।

আবহবিদরা বলছেন, এই ঝঞ্ঝাটির প্রভাবে হিমালয়ের প্রভাবে নতুন করে তুষারপাত হবে। ফলে ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ার পর আবার তাপমাত্রা কমবে। আশা করা হচ্ছে, বর্ষশেষ বা নববর্ষে মোটের উপর ঠান্ডা আমেজ ফের ফিরে আসবে। মোট কথা, শীতের আমেজেই বর্ষবরণ উদযাপন করতে পারবেন শহরবাসী।

আলিপুরের আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বছর শেষের দিন পারদ আরও নামবে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহর কলকাতায় তাপমাত্রা ১২ বা ১২ ডিগ্রি নামলেও জেলায় তার থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে। রাজ্যে সবচেয়ে কম ঠান্ডা ছিল পানাগড়, পুরুলিয়ায়। তাপমাত্রা ছিল সাত ডিগ্রি। শ্রীনিকেতনে পারদ ছিল ৮.২ ডিগ্রিতে। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাতেও সাতের নীচে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত। দিল্লিতে তাপমাত্রা নেমে ৩ ডিগ্রিতে দাঁড়িয়েছে। হরিয়ানা ও হিসারের বেশ কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কে গিয়ে ঠেকেছে। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে উত্তর ভারতে। আগামী দুদিন হরিয়ানা, পঞ্জাব, চণ্ডিগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও দিল্লিতে শৈথ্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে আগামী দুদিন ব্যপক তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এও জানানো হয়েছে, উত্তর- পশ্চিম হিমালয় পর্বত বরাবর শীতল ও শুষ্ক বাতাস উত্তরভারতের বিস্তৃণ এলাকায় বয়ে যাবে।

বর্ষবরণের রাতে পারদ নামবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যেই ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে। ফলে সাদা বরফে আস্তরণে ভ্রমণের স্বাদ নিতে কাশ্মীরের জনপ্রিয় এলাকাগুলিতে পর্যটকদের ভিড় শুরু হওয়ার আশা দেখছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। সকাল সাতটা নাগাদ, শ্রীনগরের এক পশলা বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে। পুলওয়ামা, গুলমার্গ, পহেলগাঁও ও বুদগাম জেলাতেও এদিন তুষারপাত হয়েছে। পেহেলগাঁওতে তামপাত্রা মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গুলমার্গে মাইনাস ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুপওয়ারায় মাইনাস ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোকেরনাগে মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এ বছর গুলমার্গে রেকর্ড শীতলতম জায়গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর থেকে এও জানানো হয়েছে, হিমাচল প্রদেশেও পারদ নামবে ক্রমশ। মাইনাস ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যাবে বর্ষশেষের রাতে। কেলং, কালপা, ডালহৌসি, কুফরিতে এখনই হিমাঙ্কের নীচে। লাহুল-স্পিতিতে এবছর তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে ০.৬ মিমি তুষারপাতের জেরে গোটা এলাকা এখন বরফ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর