অ্যাপশহর

এটা কে? অকিলেশের নিথর দেহ দেখে প্রশ্ন স্ত্রীর

অখিলেশের দেহ যতক্ষণ বাড়িতে ছিল, পাথরের মতো ঘরের এক কোণে বসে ছিলেন মেঘা। চোখে একফোঁটা জল নেই, মুখেও কোনও কথা নেই। স্বামীকে নিয়ে সবাই শ্মশানের পথে রওনা হতেই বাবার হাত ধরে মেঘা জানতে চান, 'আমার সন্তানের কী হবে?'

EiSamay 11 Aug 2020, 10:58 am
এই সময়: শুক্রবার রাত থেকে কিছুতেই ফোনে পাচ্ছিলেন না স্বামীকে। বাড়ির লোকেরাও কেমন যেন মনমরা। সেই জন্যই আরও বেশি করে স্বামী অখিলেশের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন মেঘা।
EiSamay.Com Wife of Co-pilot Akhilesh Bharadwaj
অখিলেশকে শেষবার দেখার পর থেকেই অঝোরে কেঁদে চলেছেন মেঘা


কিন্তু, যতবারই ফোন করেন, ওপারে সেই একই কথা - 'আপনি যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি যোগাযোগ সীমার বাইরে রয়েছেন।' শনিবার সকাল থেকে মনে আশঙ্কাটা একটু একটু করে দানা বাঁধতে শুরু করে। বাড়ির লোকেরা বোঝান, 'কেরালায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাই হয়তো অখিলেশের ফোন কাজ করছে না।' একটা সময় পরে মেঘাও সেটাই ভাবতে শুরু করেছিলেন। ভুলটা ভাঙল রবিবার, যখন সাদা কাপড়ে মুড়ে অখিলেশের নিথর দেহ এসে পৌঁছল তাঁদের মথুরার বাড়িতে। প্রথমটা বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি মেঘা। প্রশ্ন করেছিলেন, 'এটা কে?' বাড়ির লোক বলার পরও মেনে নিতে পারেননি তিনি। পারবেনই বা কী করে! শেষবার যখন ফোনে কথা হল, তখনও তো কত পরিকল্পনা। দিন কুড়ি পরেই পরিবারে নতুন সদস্য আসার কথা। কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, কবে থেকে অখিলেশ ছুটি নেবে - সবই তো ঠিক হয়ে রয়েছে। সেই মানুষটা কী করে এ ভাবে চলে যেতে পারে!

অখিলেশের দেহ যতক্ষণ বাড়িতে ছিল, পাথরের মতো ঘরের এক কোণে বসে ছিলেন মেঘা। চোখে একফোঁটা জল নেই, মুখেও কোনও কথা নেই। স্বামীকে নিয়ে সবাই শ্মশানের পথে রওনা হতেই বাবার হাত ধরে মেঘা জানতে চান, 'আমার সন্তানের কী হবে?' সে প্রশ্নের কোনও জবাব মেঘার বাবা দিতে পারেননি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, অখিলেশকে শেষবার দেখার পর থেকেই অঝোরে কেঁদে চলেছেন মেঘা। মাঝে মধ্যে জ্ঞানও হারাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা এসে দেখে যাচ্ছেন, সবাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু পরিস্থিতি যেই কে সেই।

এমনটা হতে পারে আঁচ করেই অখিলেশের মৃত্যুর খবর প্রায় দেড় দিন তাঁর কাছে গোপন করেছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, সে আর কতদিন! জানাতে তো হতই। পরিজনের আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, তা মেঘার অবস্থা দেখে অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন। - সংবাদসংস্থা

পরের খবর