অ্যাপশহর

গলওয়ানের জলেই কি এ বার পিছু হঠবে চিন

নর্দার্ন কম্যান্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেই হচ্ছে আকাশপথে টহলদারি, নজর রাখা হচ্ছে কোনও রকম সন্দেহজনক গতিবিধির দিকে। এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে বেসরকারি সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি উপগ্রহ চিত্র।

EiSamay 6 Jul 2020, 1:00 pm
এই সময়, নয়াদিল্লি: কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান হয়নি, সেই সমাধান হতে পারে বরফ গলা জলে!
EiSamay.Com Galwan valley
গলওয়ান


গলওয়ান সংলগ্ন পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে এটাই এখন ঘোর বাস্তব৷ সূত্রের খবর, গলওয়ান নদীতে রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে জলস্তর, যার ফলে সমস্যায় পড়েছে ভারত ও চিন---দু’দেশের সেনাবাহিনী৷ এলাকার তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় হিমবাহের বরফ গলতে শুরু করেছে৷ আর সেই বরফগলা জল নেমে আসছে গলওয়ান নদীতে৷ সেই উপচে পড়া জলে বেশ কিছু চিনা সেনা ছাউনি ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বলে খবর। বাকি ছাউনিগুলো সরানোর প্রয়োজন পড়তে পারে অচিরেই৷ এই মুহূর্তে গলওয়ান, প্যাংগং লেক, দেপসাং, দেমচক, ডিবিও এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান করছে অসংখ্য ভারতীয় ও চিনা সেনা জওয়ান৷ গলওয়ানের জল দু’কূল ছাপিয়ে বইতে শুরু করলে বাধ্য হয়েই সরতে হবে ভারত ও চিন---দু’দেশের সেনা শিবিরকেই৷

বাধ্য হয়েই আকাশপথে টহলদারি বাড়িয়েছে দু’পক্ষ৷ ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডের উপর দিয়ে নিয়মিত টহল দিচ্ছে মিগ-২৯ এবং সুখোই ৩০-র মত যুদ্ধবিমান৷ নর্দার্ন কম্যান্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেই হচ্ছে আকাশপথে টহলদারি, নজর রাখা হচ্ছে কোনও রকম সন্দেহজনক গতিবিধির দিকে। পাল্টা নজরদারি চালাচ্ছে চিনও৷ নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিনা সেনার ঘাঁটি বরাবর করা হচ্ছে আকাশপথে টহলদারি৷ সূত্রের খবর, সীমান্তের কাছাকাছি র‍্যাডারে দু’দেশের আকাশপথে নজরদারি খুব সতর্ক ভাবে ‘মনিটর’ করা হচ্ছে৷ গলওয়ানের জল বেড়ে যাওয়ার এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখে কোনও অশান্তি দেখা দিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বায়ুসেনা।

এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে বেসরকারি সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি উপগ্রহ চিত্র। ২৮ জুনের এই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং লেক থেকে মাত্র ১৫৫ কিমি দূরে একটি জায়গায় নতুন হেলিপ্যাড তৈরি করেছে চিন৷ যদি সত্যিই চিন এই নতুন হেলিপ্যাড তৈরি করে থাকে, তার অর্থ, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা চিনা সেনাদের ‘ব্যাক আপ সাপোর্ট’ দিতে প্রস্তুত হচ্ছে চিন৷ পুরো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করছে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যে ১৫ জুনের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪০ জন সেনাকে বিশেষ চিকিৎসার জন্য চণ্ডীগড় ও দিল্লির হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে খবর।

এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছিল নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের ক্রমাগত সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন। এ দিন শ্রীনগরের ১৫ কোর কম্যান্ডার বি এস রাজু বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখার অপর দিকে সেনা মোতায়েন বা অন্যান্য কার্যকলাপ বৃদ্ধি চোখে পড়েনি, তবে পাকিস্তান ডিফেন্সের ধারা বদল করেছে, আর সেটা ওরা সাধারণত করে কোনও টেনশনের মুহূর্তে। তবে, আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে চায়। লঞ্চ প্যাডে শ’তিনেক জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়। ওরা এভাবে কাশ্মীরে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে।’

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল