এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধানের ৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং ৩৫এ ধারা খারিজ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে রং বদলের আভাস সুস্পষ্ট করলেন অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। গত লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই এনডিএ ত্যাগ করে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বিকল্প জোটের প্রচারে তাঁকে একাধিক সময় নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরে একবারের জন্যও কিন্তু জোটের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনি দেখা করেননি। বরং তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ফের এনডিএ ঘনিষ্ঠতার আভাসই বহন করছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নাইডুকে 'ইউটার্ন বাবু' বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এই নামকরণ যে কতটা সার্থক তা ফের পদে পদে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন এনটিআর-এর জামাই। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থন করার পাশাপাশি অন্ধ্র প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার জন্য তদ্বির করতে ভোলেননি সুচতুর টিডিপি নেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য এবং ১৯৭১ সালের পৃথক অন্ধ্রের দাবির জেরে সংবিধানের ৩৭১ ডি ধারায় বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে অন্ধ্র প্রদেশ। কর্মসংস্থানের নিরিখে রাজ্যকে ৬টি জোনে বিভক্ত করে প্রত্যেক জোনের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে আগেই। তেলেঙ্গানা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে এর মধ্যে ৪টি জোন অন্ধ্র প্রদেশের ভাগে এবং ২টি তেলেঙ্গানার ভাগে পড়েছে।
সংরক্ষণ জারি রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের দুই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রীভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়েও। এছাড়া আদিবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট জমি বহিরাগতদের কেনার উপরেও রয়েছে সংরক্ষণজনিত বিধিনিষেধের ফাঁস।
এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও স্রেফ ব্যক্তিগত ও দলগত স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র-বিরোধিতায় কালাতিপাত করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেই সময় একাধিক বার তাঁকে নিজ উদ্যোগে বিরোধী শিবিরের তাবড় নেতার ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনেও গিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। অথচ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতা ফিকে হতে শুরু করতেই ফের রংবদলের কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন টিডিপি প্রধান।
অবস্থা বুঝে একদা জোটসঙ্গী ফারুক আবদুল্লা, যিনি রায়লসীমায় নাইডুর হয়ে প্রচার করতে বার্ধক্যকে তুড়ি মেরে ছুটে এসেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে সেই তাঁর পাশেও দেখা যায়নি চন্দ্রবাবুকে। আসলে ভারতীয় রাজনীতির জোয়ার-ভাটার তত্ব আঁচ করতে পারেন বলেই জাতীয় রাজনীতিতে যুগে যুগে বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছেন সুকৌশলী এই 'হাওয়ামোরগ'।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নাইডুকে 'ইউটার্ন বাবু' বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এই নামকরণ যে কতটা সার্থক তা ফের পদে পদে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন এনটিআর-এর জামাই। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থন করার পাশাপাশি অন্ধ্র প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার জন্য তদ্বির করতে ভোলেননি সুচতুর টিডিপি নেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য এবং ১৯৭১ সালের পৃথক অন্ধ্রের দাবির জেরে সংবিধানের ৩৭১ ডি ধারায় বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে অন্ধ্র প্রদেশ। কর্মসংস্থানের নিরিখে রাজ্যকে ৬টি জোনে বিভক্ত করে প্রত্যেক জোনের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে আগেই। তেলেঙ্গানা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে এর মধ্যে ৪টি জোন অন্ধ্র প্রদেশের ভাগে এবং ২টি তেলেঙ্গানার ভাগে পড়েছে।
সংরক্ষণ জারি রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের দুই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রীভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়েও। এছাড়া আদিবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট জমি বহিরাগতদের কেনার উপরেও রয়েছে সংরক্ষণজনিত বিধিনিষেধের ফাঁস।
এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও স্রেফ ব্যক্তিগত ও দলগত স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র-বিরোধিতায় কালাতিপাত করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেই সময় একাধিক বার তাঁকে নিজ উদ্যোগে বিরোধী শিবিরের তাবড় নেতার ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনেও গিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। অথচ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতা ফিকে হতে শুরু করতেই ফের রংবদলের কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন টিডিপি প্রধান।
অবস্থা বুঝে একদা জোটসঙ্গী ফারুক আবদুল্লা, যিনি রায়লসীমায় নাইডুর হয়ে প্রচার করতে বার্ধক্যকে তুড়ি মেরে ছুটে এসেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে সেই তাঁর পাশেও দেখা যায়নি চন্দ্রবাবুকে। আসলে ভারতীয় রাজনীতির জোয়ার-ভাটার তত্ব আঁচ করতে পারেন বলেই জাতীয় রাজনীতিতে যুগে যুগে বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছেন সুকৌশলী এই 'হাওয়ামোরগ'।