অ্যাপশহর

টসিলিজুমাব কি দেশে তৈরি সম্ভব, খতিয়ে দেখছেন মোদী

অব্যাহত করোনার দাপট। সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার দেশেই টসিলিজুমাব তৈরি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi।

EiSamay 12 Aug 2021, 4:39 pm

হাইলাইটস

  • দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের নির্দেশও তাঁরই দেওয়া৷
  • দু'সপ্তাহ অন্তর দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দিয়েছেন মোদী৷
  • করোনার তৃতীয় ঢেউ কবে নাগাদ দেখা দিতে পারে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে রীতিমতো মতপার্থক্য রয়েছে৷
EiSamay.Com Injection
প্রতীকী ছবি
এই সময়, নয়াদিল্লি: প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে নিত্য নতুন করোনা ভ্যারিয়ান্ট থেকে সংক্রমণের৷ এর জেরেই জাঁকিয়ে বসছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা৷ পরিস্থিতি আঁচ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ হাতে ন্যূনতম ৫০ লাখ রেমডিসিভির ভায়াল রাখার পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রয়োজনীয় ওষুধ টসিলিজুমাবের উৎপাদন ভারতে শুরু করা সম্ভব কি না, জরুরি ভিত্তিতে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি৷
একই রকম ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের নির্দেশও তাঁরই দেওয়া৷ মোদীর নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের আরও দাবি, দু'সপ্তাহ অন্তর দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দিয়েছেন মোদী৷

করোনার তৃতীয় ঢেউ কবে নাগাদ দেখা দিতে পারে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে রীতিমতো মতপার্থক্য রয়েছে৷ অনেক বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন শীতের শুরুতেই দেশে দেখা দেবে করোনার তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ডেল্টা প্লাসের মতো ভ্যারিয়ান্টের উপস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালের ভাঁজ আরও চওড়া করে দিয়েছে৷

কাশ্মীরে BSF কনভয়ে জঙ্গি হামলা, চলছে গুলির লড়াই
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশগুলি জানা গিয়েছে, তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল করোনা প্রতিরোধক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ টসিলিজুমাবের উৎপাদন ভারতে শুরু করা সম্ভব কি না,তা খতিয়ে দেখা৷ সুইৎজারল্যান্ডের বহুজাতিক সংস্থা হফম্যান লা রোশে'-র পেটেন্ট প্রাপ্ত ওষুধ হল টসিলিজুমাব৷ করোনার প্রথম পর্যায়ে তা কম ব্যবহার হলেও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে এই ওষুধ খুবই কার্যকর হয়েছে৷

বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টসিলিজুমাব আমদানি করতে গিয়ে ভারত সরকারকে বেশ কিছু অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়েছিল৷ সে কথা মাথায় রেখেই এ বার মোদী চাইছেন, হাতে সময় থাকতে থাকতে সম্ভব হলে টসিলিজুমাবের উৎপাদন এ দেশে শুরু করতে৷ রেমডিসিভিরের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল মোদী সরকার৷ এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত সাতটি লাইসেন্স প্রাপ্ত সংস্থা রেমডিসিভিরের উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, যারা প্রতি মাসে ১ কোটি ২৫ লাখ ভায়াল রেমডিসিভির উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে৷ ইতিমধ্যেই এই সংস্থা গুলি ৩ কোটি ভায়ালের বেশি রেমডিসিভির উৎপাদন করেছে৷

নাচতে নাচতেই বিয়ের পিঁড়িতে 'ভাইরাল বউমা'
দেশের সব রাজ্যের চাহিদা পূরণ করার পরে এবার বিদেশের বুকে রেমডিসিভির রফতানির ভাবনাও রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের৷ সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৫০ লাখ রেমডিসিভির ভায়াল হাতে রেখে এই প্রয়োজনীয় ওষুধকে বিদেশে রপ্তানির কথা ভাবা হচ্ছে৷ দেশে তৈরি করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিনও বিদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনাও আছে কেন্দ্রীয় সরকারের, জানা গিয়েছে তা-ও।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল