অ্যাপশহর

২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবায় ভাড়ার সীমা বেঁধে দিল বিমান পরিবহন মন্ত্রক

দেশের নির্দিষ্ট কিছু রুটে চালু হয়েছে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা। সীমিত কিছু বিমান চালানো হচ্ছে এই সব রুটে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রক ফের বিমান ভাড়ার ঊর্ধ্ব ও নিম্ন সীমা নিয়ে জারি করল বিজ্ঞপ্তি।

EiSamay.Com 25 Jul 2020, 11:02 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মেনে চলা হবে ভাড়ার ঊর্ধ্ব ও নিম্ন সীমা। প্রসঙ্গত, ২১ মে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার সীমা ধার্য করে। সেই সময়ে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত এই নিয়ম জারি করা হয়েছিল।
EiSamay.Com central aviation ministry issues order to continue domestic airfare cap till 24 november
আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবায় ভাড়ার সীমা বেঁধে দিল বিমান পরিবহন মন্ত্রক


কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির যা অবস্থা, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৪ নভেম্বর, ২০২০ সালের রাত ২৩.৫৯ পর্যন্ত অথবা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া পর্যন্ত এই নিয়মই কার্জকর থাকবে।’ টানা দু’মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৫ মে থেকে চালু হয়েছিল আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা।

আরও পড়ুন: চিন্তা মাথায় নিয়েই সোমবার থেকে কাজে যোগ দিলেন বিমানকর্মীরা

৪০ মিনিটের কম সময়ের বিমান সফরের জন্যে ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২০০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। ৪০ থেকে ৬০ মিনিটের সফরের জন্যে ভাড়া স্থির করা হয়েছিল ২,৫০০ থেকে ৭,৫০০ হাজার, ৬০ থেকে ৯০ মিনিটের সফরের জন্যে ভাড়া বাঁধা হয়েছিল ৩ থেকে ৯ হাজার, ৯০ থেকে ১২০ মিনিটের সফরের ভাড়া বাঁধা হয়েছিল ৩,৫০০ থেকে ১০ হাজার, ১২০ থেকে ১৫০ মিনিটের উড়ানের ভাড়া স্থির করা হয়েছিল ৪,৫০০ থেকে ১৩ হাজার টাকা, ১৫০ থেকে ১৮০ মিনিটের উড়ানের ভাড়া স্থির হয়েছিল ৫,৫০০ থেকে ১৫,৭০০ টাকা এবং ১৮০ থেকে ২১০ মিনিটের উড়ানের ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৬,৫০০ থেকে ১৮,৬০০ টাকায়।

বর্তমানে পরিস্থিতিতেও এই পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া মেনেই চলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিমান পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়ার পর এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে জারি করা হয় কিছু নিয়মাবলি (SOP)। যা মেনেই যাত্রী পরিষেবা দিতে হবে সব বিমানবন্দরকে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী বিমানে যাত্রীদের এমন ভাবে বসাতে হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। যে সব আসন ব্যবহার করা হবে না, সেগুলিকে টেপ দিয়ে মার্কিং করে দিতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকাও বাধ্যতামূলক। দুটি চেক ইন কাউন্টার পাশাপাশি খোলা যাবে না। বিমানবন্দরের প্রত্যেক কর্মীকে পরতে হবে পিপিই কিট, ফেস মাস্ক। হাতের কাছে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যাত্রীদের সুবিধের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দরে কিছু কিছু খাবার ও পানীয়র দোকানও খুলে দেওয়া হয়েছে।

পরের খবর