অ্যাপশহর

বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার নিয়ে অন্ধকারে পিএমও

বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহারের অনুমতি কে বা কারা চেয়েছিল , সেই তথ্যই দিতে অপারগ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও )৷

EiSamay.Com 8 May 2017, 1:37 pm
নয়াদিল্লি : বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহারের অনুমতি কে বা কারা চেয়েছিল , সেই তথ্যই দিতে অপারগ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও )৷ কারণ এ সংক্রান্ত তথ্য তাদের কাছে একত্রিত করা নেই৷ উল্টে এই তথ্যতালাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও লোকবলও নেই বলে জানিয়েছে পিএমও৷ একটি তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই -এর প্রেক্ষিতে এ রকম জবাবে পিএমও -র মতো দপ্তরের অসহায়তাই প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
EiSamay.Com cannot tell who sought permission to use pm modis picture in ads says pmo to rti query
বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার নিয়ে অন্ধকারে পিএমও


বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে কে বা কারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল , তা জানতে চেয়ে আরটিআই করেছিলেন এক সাংবাদিক৷ কোন সংস্থা , ট্রাস্ট বা ব্যক্তি বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছিল , তার পাশাপাশি এই অনুরোধ গ্রাহ্য করে বা তার বিরোধিতা করে যে সব রসিদ দেওয়া হয়েছিল , সে ব্যাপারেও তথ্য চান আবেদনকারী৷ উত্তরে পিএমও জানিয়েছে , এই তথ্য তাদের কাছে একত্রিত করা নেই৷ তা করতে হলে এ সংক্রান্ত প্রতিটি ফাইলের রসিদ বা যোগাযোগের খুঁটিনাটি জোগাড় করতে হবে৷ কিন্ত্ত সে জন্য লোকবল ও পরিকাঠামো যে ভাবে ব্যবহার করা দরকার , তাতে অফিসের নিয়মিত কাজকর্ম ব্যাহত হবে৷ আর আরটিআই আইনের ৭ (৯ ) ধারায় বলা হয়েছে , স্বাভাবিক ভাবে যে তথ্য জানানো যাবে , তা-ই প্রকাশ করা হবে৷ দেখতে হবে তা যেন কোনও সরকারি সংস্থার লোকবল ও পরিকাঠামো ব্যবহারে ভারসাম্যের অভাব তৈরি না করে বা কোনও রেকর্ডের নিরাপত্তা অথবা তার সংরক্ষণে প্রভাব না ফেলে৷

প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার সংক্রান্ত আরটিআই -এর উত্তর দিতে হলে আইনের ৭ (৯ ) ধারায় আটকে যেতে হবে বলে পিএমও জানিয়েছে৷ পিএমও -র এই উত্তরে অবাক অনেকে৷ কারণ আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর নাম ছবি ব্যবহার করলে বড়জোর ৫০০ টাকা ফাইন দিতে হতে পারে৷ এই অবস্থায় যদি পিএমও -র নজরদারিও এমন শিথিল হয় তা হলে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে কোনও সংস্থা অনিয়ম বা দুর্নীতি করতে চাইলেও অফিস অন্ধকারেই থাকবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ অনুমতি ছাড়া মোদীর ছবি ব্যবহারের নজিরও বিরল নয়৷ রিলায়েন্স জিও এবং পেটিএম দুই সংস্থার বিজ্ঞাপনেই অনুমতি ছাড়া মোদীর ছবি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে আগে এবং তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে৷ অন্য একটি আবেদনে পিএমও এ কথা জানিয়েছে৷ তাদের বক্তব্য , এই দুই সংস্থার বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে কোনও রেকর্ড তাদের কাছে নেই৷ গত সেপ্টেম্বরে সংবাদপত্রে পাতাভর্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে রিলায়েন্স জিও তাদের ৪জি পরিষেবাকে মোদী সরকারের ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের উদ্দেশে উত্সর্গ করার কথা জানিয়েছিল৷ ওই বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবিও ব্যবহার করা হয় , যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক কম হয়নি৷

দেশের প্রধানমন্ত্রী রিলায়েন্সের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন-মোদীকে বিঁধে এ রকম টুইটও করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ আবার গত ৮ নভেম্বর নোটবন্দির ঘোষণার পরে ডিজিট্যাল ওয়ালেট পেটিএম -ও মোদীর ছবি -সহ বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অনলাইন লেনদেনের প্রচার চালায়৷ দু’টি সংস্থাকেই এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনশন অফ ইমপ্রপার ইউজ ) অ্যাক্ট , ১৯৫০ -এ নোটিশ পাঠায় ক্রেতাসুরক্ষা দন্তর৷ এই আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে , বিনা অনুমতিতে ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা যায় না৷ এ বছর মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানায় যে দু’টি সংস্থাই অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের মতো ‘অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ’র জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে৷

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল