BSF-র অফিসার নিয়োগে বড় সড় দুর্নীতি? উঠল মেডিক্যাল রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগ। বাহিনীর তিন মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, পাঁচ স্থূলকায় চাকরিপ্রার্থীকে 'ফিট' বলে উল্লেখ করে BSF-র Review Medical Examination Board। অতিরিক্ত ওজনের জন্য এই পাঁচজনকে প্রথমে অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন বোর্ডের চিকিৎসকরা।
শুধু তাই নয়, নথিতে ওই পাঁচজনের ওজন অস্বাভাবিক কম দেখানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে মোটা টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
BSF সূত্রে খবর, অফিসার পদে নিয়োগের জন্য রাজস্থানের যোধপুরে বাহিনীর ফ্রন্টইয়ার সদর দফতরে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ওই পরীক্ষা চলে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দু'বার খতিয়ে দেখা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায় Medical Examination Board। পরে তা যায় Review Committee-র কাছে।
বোর্ডের এই রিভিউ কমিটিতে থাকেন তিনজন মেডিক্যাল অফিসার। CBI-র দাবি, চলতি মাসে চাকরি প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা ও মেডিক্যাল টেস্টের মাত্র তিনদিনের মাথাতেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বোর্ডের সদস্যরা। ওই সময়ই পাঁচজনের ওজন সংক্রান্ত রিপোর্ট বদলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, মার্চের ৫ তারিখ এক চাকরি প্রার্থীর ওজন ৯২ কেজি বলে মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ৮ মার্চ তাঁর ওজন ৮১ কেজি বলে জানিয়ে দেয় রিভিউ কমিটি। যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন CBI-র গোয়েন্দারা।
শুধু তাই নয়, পাঁচ চাকরি প্রার্থীর মধ্যে চারজন রিভিউ কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। একজন রিপোর্ট রিভিউয়ের দিন হাজিরা দেননি। তার পরও তাঁর ওজনের রিপোর্টে তারতম্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মেডিক্যাল অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই এই নিয়ে পদক্ষেপ করে BSF। ভেঙে দেওয়া হয় ওই মেডিক্যাল বোর্ডে। চাকরি প্রার্থীদের ফের মেডিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গত ২১ মার্চ সেই পরীক্ষা হয়। এবার BSF-র চাকরি প্রার্থীদের মেডিক্যাল টেস্ট নেয় আরেক আধা সামরিক বাহিনী ITBP-র চিকিৎসকরা।
BSF-এ দুর্নীতির অভিযোগ এবারই যে প্রথম উঠল তেমনটা নয়। গোরু পাচার মামলাতেও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সতীশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘদিন কমাডান্ট পদে কর্মরত ছিলেন সতীশ মিশ্র। তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বর্তমানে তিহাড় জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন ওই BSF অফিসার।
শুধু তাই নয়, নথিতে ওই পাঁচজনের ওজন অস্বাভাবিক কম দেখানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে মোটা টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
BSF সূত্রে খবর, অফিসার পদে নিয়োগের জন্য রাজস্থানের যোধপুরে বাহিনীর ফ্রন্টইয়ার সদর দফতরে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ওই পরীক্ষা চলে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দু'বার খতিয়ে দেখা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায় Medical Examination Board। পরে তা যায় Review Committee-র কাছে।
বোর্ডের এই রিভিউ কমিটিতে থাকেন তিনজন মেডিক্যাল অফিসার। CBI-র দাবি, চলতি মাসে চাকরি প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা ও মেডিক্যাল টেস্টের মাত্র তিনদিনের মাথাতেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বোর্ডের সদস্যরা। ওই সময়ই পাঁচজনের ওজন সংক্রান্ত রিপোর্ট বদলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, মার্চের ৫ তারিখ এক চাকরি প্রার্থীর ওজন ৯২ কেজি বলে মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ৮ মার্চ তাঁর ওজন ৮১ কেজি বলে জানিয়ে দেয় রিভিউ কমিটি। যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন CBI-র গোয়েন্দারা।
শুধু তাই নয়, পাঁচ চাকরি প্রার্থীর মধ্যে চারজন রিভিউ কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। একজন রিপোর্ট রিভিউয়ের দিন হাজিরা দেননি। তার পরও তাঁর ওজনের রিপোর্টে তারতম্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মেডিক্যাল অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই এই নিয়ে পদক্ষেপ করে BSF। ভেঙে দেওয়া হয় ওই মেডিক্যাল বোর্ডে। চাকরি প্রার্থীদের ফের মেডিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গত ২১ মার্চ সেই পরীক্ষা হয়। এবার BSF-র চাকরি প্রার্থীদের মেডিক্যাল টেস্ট নেয় আরেক আধা সামরিক বাহিনী ITBP-র চিকিৎসকরা।
BSF-এ দুর্নীতির অভিযোগ এবারই যে প্রথম উঠল তেমনটা নয়। গোরু পাচার মামলাতেও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সতীশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘদিন কমাডান্ট পদে কর্মরত ছিলেন সতীশ মিশ্র। তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বর্তমানে তিহাড় জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন ওই BSF অফিসার।