অ্যাপশহর

কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ুতে প্রবেশ করেছে ১৩০টি বুনো হাতি! সীমানাবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি

মোট ১৩০টি হাতির দল কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ুর জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। দুটি ভাগ হয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে তারা। একটি দলের মধ্যে ৭০টি হাতি রয়েছে। সেগুলি থাল্লি ফরেস্ট রেঞ্জের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইতোমধ্যে। আর অন্যগুলি জওয়ালগিরি রেঞ্জের দিকে চলে গিয়েছে।

EiSamay.Com 21 Sep 2020, 5:43 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দল বেঁধে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য সফর করছে গজরাজেরা। তাই যাতায়াতের মাঝে সমস্ত গ্রামবাসীকে সতর্ক করল বনদফতর। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩০টির মতো বুনো হাতি কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ুর বনাঞ্চলের দিকে রওনা দিয়েছে। ফলে সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে আন্তঃরাজ্য সীমানার কৃষ্ণাগিরি জেলার মানুষেরা। সফর পথে গ্রামের ফসল বা বাড়িঘর ভাঙুচুরের ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বন আধিকারিকরা। তাই আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী সব জেলা ও এলাকাগুলিকে।
EiSamay.Com wild elephants
বুনো হাতির দল। ফাইল ছবি


হসুর ফরেস্ট ডিভিশনের জওয়ালগিরি জঙ্গল রেঞ্জের রেঞ্জার এম নাগারঞ্জন ইতোমধ্যেই জওয়ালগিরি ও থালি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোট ১৩০টি হাতির দল কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ুর জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। দুটি ভাগ হয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে তারা। একটি দলের মধ্যে ৭০টি হাতি রয়েছে। সেগুলি থাল্লি ফরেস্ট রেঞ্জের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইতোমধ্যে। আর অন্যগুলি জওয়ালগিরি রেঞ্জের দিকে চলে গিয়েছে।

বনদফতর থেকে জানানো হয়েছে, হাতিরা সাধারণ পরিযায়ীর মতো সর্বত্র বিচরণ করে। প্রতি বর্ষার মরসুমে কর্ণাটকের বেন্নারঘাটা ফরেস্ট ডিভিশন থেকে তামিলনাড়ুর দিকে চলে আসে হাতির দল।

ওই রেঞ্জার আরও জানিয়েছেন, প্রথম দলটি আসে কর্ণাটক থেকে। তারা তামিলনাড়ুর জঙ্গলে প্রায় চারমাসের মতো থাকে। এই সময় এখানে রাগি, ভূট্টা, গম, যবের মতো ফসল উত্‍পাদন হয়। আর এই শস্যদানার লোভেই গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়ে তারা। প্রায় প্রতিদিনই গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করার প্রবণতা থাকে। এই সময়টা তাদের মধ্যে চড়ুইভাতি শুরু হয়।

বনদফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাল্লি ও জওয়ালগিরি জঙ্গল এলাকার সমস্ত গ্রামবাসীদের আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলা হাতিরা গ্রামে প্রবেশ করতে পারে। আমরা আগেই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এই সময়ে রাতের বেলায় খেতে না যাওয়াই ভালো। খেতের ফসল নষ্ট তো হবেই, উপরন্তু মানুষ ও হাতির মধ্যে লড়াই বেঁধে হতাহতের খবরও সামনে আতে পারে। তাই নিরাপত্তার কারণে গ্রামগুলিতে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বনদফতর থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য জানানো হয়েছে যে, দিনের আলো ফুটলে তবেই যেন ঘরের বাইরে বের হোন বাসিন্দারা। সূর্য ডোবার আগে ও সূর্য ওঠার পর যেন মাঠেঘাটে যাতায়াত করা হয়। এরই মধ্যে জঙ্গলের সীমানায় বা জঙ্গলের ভিতর যেন মাঠে গবাদি পশু চরাতে না যান গ্রামবাসীরা। সেইসবও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাগাররঞ্জন।

খবরটি ইংরেজিতে পড়়ুন এখানে...

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল