অ্যাপশহর

অসমের বাঘজান তেলখনিতে ফের বিস্ফোরণ, ৩ বিদেশি বিশেষজ্ঞ-সহ জখম ৬

জুন মাসেই বাঘজান তৈলখনিতে আগুন লেগেছিল। যার ফলে প্রচুর বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়। অনেক গাছপালা, ফসল ও ঘরবাড়িও নষ্ট হয়। বুধবার আবারও বড় ধরনের বিস্ফোরণ হল। এদিনে দুর্ঘটনার পরেই তিনসুকিয়া এলাকার বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন।

EiSamay.Com 23 Jul 2020, 6:37 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (Oil India Limited) তৈলখনিতে বুধবার ফের একবার বিস্ফোরণ হল। একমাসেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে তৈলকূপের আগুন। এদিন বিস্ফোরণের জেরে তিন বিদেশি বিশেষজ্ঞ-সহ মোট ছ'জন গুরুতর জখম হয়েছেন। সূত্রের খবর, আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। সেসময় ফের বিস্ফোরণ ঘটে যায়। দুর্ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
EiSamay.Com tinsuka-oil-well-fire
তিনসুকিয়ার তেলখুনিতে বিস্ফোরণ...


সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে তিনসুকিয়া জেলার বাঘজানে ৫ নম্বর কূপে বিস্ফোরণ ঘটে। OIL সূত্রে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণে জখম টেকনিশিয়ানদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জানা গিয়েছে, অগ্নি প্রতিরোধে বিওপি (Blow Out Preventer) লাগানোর জন্য কূপের স্পুল খোলার সময় হঠাত্‍‌ই বিস্ফোরণের জেরে নতুন করে আগুন লেগে যায়।

জানা গিয়েছে, এদিন আহত বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। সেখানকার Alert Disaster Control নামে এক সংস্থার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের ডিব্রুগড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ তিন বিদেশির নাম অ্যান্থনি স্টিভেন রেনল্ড, ডোগ ডিল্লাস এবং ক্রেইগ নীল ডাকান।

২০২১-এর জুন পর্যন্ত সব রাজ্যবাসীর জন্য ফ্রি রেশন, জারি সরকারি নির্দেশিকা

এই বাঘজান তিনসুকিয়ার তৈল কূপটি (Bajghjan Tinsukia oil well) গুয়াহাটির মূল শহর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে। ২৭ মে বিস্ফোরণের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা দিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গমন হচ্ছে। যার জেরে ওই অঞ্চলের জলাভূমি এবং জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।


আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলে অয়েল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছিল। ক্লিনিং অপারেশন চলার সময়, তার পরেও ৯ জুনে ফের বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে তিনসুকিয়া জেলার এই তৈলখনিতে।

অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের মুখপাত্র ত্রিদীপ হাজারিকা এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বাঘজন তৈলখনিতে এর আগে যে বড় বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই আগুন এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিনও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছিল। সেসময় ফের বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফেরণের পর নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে কিছু এলাকায়।

৭৭ দেশ থেকে ১৭,০০০ ভুয়ো কোভিড টেস্টিং কিট বাজেয়াপ্ত

তৈলখনির কাছাকাছি থাকা ডিব্রু সাইখোয়া জাতীয় উদ্যান ও মাহুপি মোটাপুং জলাভূমির দারুণ ক্ষতি হয়েছে। কূপ সংলগ্ন ধান জমি, ফসলের খেত ও জলাভূমিও দূষিত হয়েছে। সংলগ্ন গ্রামগুলিতে একাধিক বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। ফলে, খনির আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বিধ্বংসী আগুন নেভাতে গিয়ে ২ দমকলকর্মীও মারা যান।

অসম সরকার জানিয়েছিল, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

রাজ্যে বন্যার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষ ঘরছাড়া। বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে কোভিডের দাপটও আছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তৈলখনিতে বারবার বিস্ফোরণে সরকারেরও উদ্বেগ বাড়ছে।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল