চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিয়োকাণ্ডে ক্ষোভ উগরে দিলেন কিরণ খের। এই ঘটনায় চণ্ডীগড়ের নাম কুলষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘটনায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন করেছেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ।
ভিডিয়োকাণ্ডের নিন্দা করে টুইট বার্তায় খের লেখেন, ''চণ্ডীগর বিশ্ববিদ্যালয় আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের অধীনে না পড়লেও, ঘটনাটির নিন্দা করছি। এই ঘটনার জন্য চণ্ডীগর শহরের নাম কলঙ্কিত হচ্ছে। এই ঘটনার শিকার মেয়েটি এবং তাঁর বাবা-মায়ের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি।'' সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের কাছে আবেদন জানান চণ্ডীগরের সাংসদ।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রীদের হোস্টেলে এক আবাসিক ৬০ পড়ুয়ার স্নানের দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে বলে অভিযোগ। গোপন সেই ভিডিয়ো হিমাচল প্রদেশের সিমলার বাসিন্দা এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দিত অভিযুক্ত। এরপর তা আপ লোড করে দেওয়া হত সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার লজ্জায় এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার রাত থেকে এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাতভর বিক্ষোভে সামিল হয় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বের শান্তি ফিরিয়ে আনতে রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন পঞ্জাব পুলিশের উপ-মহানি র্দেশক (DIG) জিএস ভুল্লার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ বন্ধ করারও আবেদন জানান পঞ্জাব পুলিশের উপ-মহানির্দেশক। ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, গোপন ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় এক ছাত্রীর অত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহালির জেলা প্রশাসক অমিত তলওয়ার। এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার কোনও খবর তাদের কাছে নেই বলে দাবি করেছেন।
গোপন ভিডিয়ো ফাঁসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ মূল অভিযুক্তসহ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।