অ্যাপশহর

বিজেপিকে রোখার সঙ্গী নিয়ে ভিন্নমত কানহাইয়া, জিগনেশ

\B বিজেপিকে রোখার সঙ্গী নিয়ে ভিন্নমত কানহাইয়া, জিগনেশ \Bটিনা: সিপিআইয়ের সমাবেশ \B এই সময়: \Bবিজেপিকে রুখতে চান দুই নবীন নেতাই। কিন্তু তা করতে কোন ...

EiSamay.Com 27 Dec 2018, 9:00 am

\B

বিজেপিকে রোখার সঙ্গী নিয়ে

ভিন্নমত কানহাইয়া, জিগনেশ

\Bটিনা: সিপিআইয়ের সমাবেশ \B

এই সময়: \Bবিজেপিকে রুখতে চান দুই নবীন নেতাই। কিন্তু তা করতে কোন শক্তির সঙ্গে জোট প্রয়োজন--এই প্রশ্নে সিপিআইয়ের মঞ্চে কানহাইয়া কুমার ও জিগনেশ মেভানির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে এল।

বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের জোটের পক্ষে সওয়াল করে সিপিআই নেতৃত্বকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেললেন জিগনেশ। আর কানহাইয়া জিগনেশের সেই তত্ত্বে সায় না দিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল, এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের ডাক দিলেন। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের উত্থান ঠেকাতে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের কথাই বললেন কানহাইয়া।

গত বছর রাজ্যে প্রথম বার এসে কানহাইয়া তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত নীরব ছিলেন বলে অনুযোগ রয়েছে দলেই। উল্টে আসানসোলে গিয়ে তৃণমূলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সিপিআইয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের জনসভায় অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপি, দু'দলের বিরুদ্ধেই চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। কানহাইয়ার কথায়, 'রাজ্যে আরএসএস-বিজেপি প্রভাব বিস্তার করছে। নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে যে কাজ করছেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই কাজই করছেন। আমরা মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করব, দিদি-র বিরুদ্ধেও লড়াই করব।' ব্রিটিশ আমলে মুসলমি লিগ ও হিন্দু মহাসভা-র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে কানহাইয়া বলেন, 'দিদি দেখাতে চাইছেন তিনি মুসলিম দরদি। মোদী দেখাতে চাইছেন হিন্দু দরদি। স্বাধীনতার আগে জিন্নার নেতৃত্বে মুসলিম লিগ নিজেদের মুসলিম দরদি বলে তুলে ধরত। সাভারকরের হিন্দু মহাসভা নিজেদের হিন্দু দরদি বলে তুলে ধরত। জিন্না নিজে কখনও মসজিদ যাননি, হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সাভারকরেরও সম্পর্ক ছিল না। এই দুই শক্তিই ভয়ঙ্কর।'

জিগনেশ মেভানি অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বামপন্থীদের জোটের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিছু দিন আগেই রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন গুজরাটের এই দলিত নেতা। দলিত নেতা হওয়া সত্ত্বেও পটেল সম্প্রদায়ের নেতা হার্দিক পটেলের সঙ্গে তিনি একযোগে আন্দোলন করছেন বলে মনে করিয়ে জিগনেশ বলেন, 'তৃণমূল ও বামপন্থীদের মধ্যে কি জোট হওয়া দরকার? আমাদের ভাবা প্রয়োজন। গুজরাটে ভূমি সংস্কারের সুফল পাওয়া পটেলদের সঙ্গে দলিতদের মালিক-ভৃত্যের সম্পর্ক ছিল। সেই জায়গায় আমি পটেল নেতা হার্দিকের পাশে এসেছি। উত্তরপ্রদেশে এসপি, বিএসপি পাশাপাশি এসেছে। এখন বেনজির পরিস্থিতি তৈরিতে বেনজির জোট তৈরি প্রয়োজন।'

জিগনেশের এই তত্ত্বে অপ্রস্তুত হন গুরুদাস দাশগুপ্ত, মঞ্জুকুমার মজুমদার, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিপিআই নেতারা। তাঁরা অবশ্য বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগেই আক্রমণ শানান। বরং প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দেন। এই প্রেক্ষিতে সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বামফ্রন্ট-বহির্ভূত বাম দলগুলিকে ফ্রন্টে এনে বামফ্রন্ট পুনর্গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। সে কারণে ফ্রন্টের নাম বদলের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

পরের খবর