এই সময়: রাজধানীতেও বার্ড ফ্লু। মৃত কাক ও হাঁসের নমুনায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিস পাওয়ার পর দিল্লির সঞ্জয় লেক দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে হজ খাস, দ্বারকা সেক্টর ৯-এর পার্কও। কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও থাবা বসায়নি বার্ড ফ্লু। তবু সতর্কতা হিসেবে আগাম কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার- সে বিষয়ে সোমবার সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য অধিকারিককে গাইডলাইন পাঠাল স্বাস্থ্যভবন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এ দিনের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে বার্ড ফ্লু নিয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পোলট্রি খামার, বাজার-দোকানে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, রাস্তার ধারে কোনও পাখি মরে বা অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে তা যাতে কেউ স্পর্শ না করেন, সে দিকে নজর রাখতে হবে, সতর্ক করতে হবে। হাঁস-মুরগির চাষ হয়, এমন খামারে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। কোনও হাঁস-মুরগির আচমকা শরীর খারাপ হলে অন্যদের থেকে সেটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। হাঁস-মুরগির মৃত্যু হলে এলাকাবাসীকে দ্রুত জানাতে হবে। যাতে তাঁরা আগাম সতর্ক হতে পারেন। যাঁরা হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে যুক্ত তাঁরা যেন পিপিই, মুখে মাস্ক এবং গ্লাভস পরে কাজ করেন--সে দিকেও জেলার অফিসারদের খেয়াল রাখতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন।
চিকিৎসক থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এই রোগ থেকে দূরে থাকতে গেলে মাংস বা ডিম ভালো করে সেদ্ধ করে খেতে হবে। এই রোগের লক্ষণ হল, মুরগি বা হাঁসের মাথা হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। এমন কিছুক্ষণ হওয়ার পরেই পাখিটি মারা যায়। এই রোগের লক্ষণের কথা গাইডলাইনে উল্লেখ করে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, এই রোগের কী লক্ষণ তা এলাকার নাগরিকদের জানিয়ে রাখুন এবং বলে রাখুন হাঁস-মুরগির মধ্যে এমন লক্ষণ দেখলে তাঁরা যেন প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করেন।