অ্যাপশহর

তিস্তার ‘পানি’ বাংলাদেশে আসবেই, ঘোষণা হাসিনার

তিস্তার জল এক ফোঁটাও গড়ায়নি৷ মমতার বিকল্প প্রস্তাব আর মোদীর শুকনো আশ্বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে৷

EiSamay.Com 12 Apr 2017, 8:01 am
এই সময় , নয়াদিল্লি: তিস্তার জল এক ফোঁটাও গড়ায়নি৷ মমতার বিকল্প প্রস্তাব আর মোদীর শুকনো আশ্বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে৷ স্বভাবতই দাঁত -নখ বেরিয়ে পড়েছে হাসিনা -বিরোধীদের৷ এ অবস্থায় আক্রমণই রক্ষণের সেরা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন শেখ হাসিনা
EiSamay.Com bangladesh pm sheikh hasina rejects mamatas plan wants only teesta
তিস্তার ‘পানি’ বাংলাদেশে আসবেই, ঘোষণা হাসিনার


মঙ্গলবার ঢাকার বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হাসিনা জানিয়ে দিলেন , ‘তিস্তার পানি আসবেই৷ কেউ আটকে রাখতে পারবে না৷ ভারত সফর সব দিক দিয়ে সফল৷ ’ বৈঠকের শুরুতেই বিরোধীদের কটাক্ষ করে হাসিনার মন্তব্য , ‘তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই অনেক কথা বলছেন৷ কিন্ত্ত ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিল , তখন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিছু বলেনি৷ পরে ওই নদীতে আমরা ব্যারাজ করলাম৷ এটাও ভুল ছিল৷ এখন ফল পাচ্ছি৷ ’হাসিনার সাফ কথা , স্বাধীনতার পর আওয়ামি লিগ ছাড়াও অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে৷ তারা কেন তিস্তা নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি৷ প্রত্যাশিত ভাবেই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাবের বিষয়টি ওঠে৷ জবাবে হাসিনা জানান , তিনিও বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন৷ কী সেই প্রস্তাব ? মমতা বলেছিলেন , তিস্তা ছেড়ে তোর্সার জল নিতে৷ হাসিনার প্রস্তাব , তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিয়ে অন্যান্য নদীর জল নিজের কাছেই রাখুক ভারত৷ নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাসের কথাও দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷

হাসিনা বলেন , ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে বলেছেন , তিস্তা চুক্তি হবেই৷ তিনি ও আমি ক্ষমতায় থাকতেই হবে৷ ’ মোদীর এই ‘সময়সীমা ’কে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা৷ ২০১৮ -য় বাংলাদেশে নির্বাচন৷ ভারতে ২০১৯ -এ৷ তিস্তার জলের উপর মোদীর ভাগ্য নির্ভর করছে না৷ কিন্ত্ত ভোট বৈতরণী পেরোতে তিস্তার জল লাগবেই হাসিনার৷ তাই মোদীর কথায় ইঙ্গিত স্পষ্ট , ২০১৮ -র মধ্যেই তিস্তা চুক্তি সেরে ফেলতে চায় ভারত -বাংলাদেশ৷ কেন্দ্রীয় সরকারও তিস্তায় আরও জল কী ভাবে আনা সম্ভব তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করছে৷ সিকিমে তিস্তার উপর দশটি বাঁধ রয়েছে৷ সেই বাঁধ থেকে আরও জল ছাড়া যায় কি না , তা খতিয়ে দেখার জন্য দল পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সিকিম থেকে বাড়তি জল তিস্তায় এলে বাংলাদেশকে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মত বদলাতে পারে৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আপত্তি হল , তিস্তায় কোনও জল নেই৷ বাংলাদেশকে জল দিলে উত্তরবঙ্গ শুকিয়ে যাবে৷ সে জন্যই সঙ্কোশ থেকে জল এনে তিস্তায় ফেলার কথা বলা হয়েছে৷ সিকিম থেকে আরও জল পেলে সমস্যা কিছু কাটতে পারে৷ সে জন্যই সিকিমের জলাধারগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে সেখান থেকে বাড়তি জল ছাড়া সম্ভব কি না , সম্ভব হলে কতটা সম্ভব সেটা দেখার জন্যই দল পাঠাবার কথা ভাবা হচ্ছে৷

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷ হাসিনার মন্তব্য , ‘মুখ্যমন্ত্রী যখন ঢাকা এসেছিলেন , তখন জল দেওয়ার কথা বলেছিলেন৷ এ বারও একেবারে না করেননি৷ তিনি আরও নদীর জল তিস্তায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন৷ সেটা দীর্ঘমেয়াদি বিষয়৷ আমিও তাঁকে বলেছি , ওই সব নদীর জল তিনি ব্যবহার করুন , তিস্তার জল আমাদের দিন৷ আলোচনা চলছে৷ আর আমাদেরও তিস্তা ও ব্রক্ষ্মপুত্রতে ড্রেজিং করাতে হবে৷ তা হলে আমরাও জল ধরে রাখতে পারব৷ ’ এর পরই হাসিনা যোগ করেছেন , ‘বলা হচ্ছে , আমি খালি হাতে ফিরেছি৷ মমতা তো আমাদের বিদ্যুত্ দিয়েছেন৷ আমাদের বিদ্যুত্ও দরকার৷ ’

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল