অ্যাপশহর

সামনে এল আজমগড়ে মৃতদেহ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য, অভিযুক্তের বয়ানে হতবাক পুলিশ

অনেকদিন ধরেই আজমগড়ের ওই বাড়িটির উপর নজর রেখেছিল। অনেক তথ্যই সে জানত। অন্ধকার গলিতে নির্জনতা পেয়ে সে ওই বাড়িতে ঢোকে। সেখানেই এক শিশুসন্তানকে নিয়ে দম্পতি ঘুমাচ্ছিল।

EiSamay.Com 5 Dec 2019, 3:02 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশেই এখন ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার বিষয়ে সোচ্চার। সম্প্রতি আজমগড়ে এখ ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। নারকীয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত নাসিরুদ্দিনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বিকৃত মানসিকতার অন্যতম উদাহরণ এই ঘটনা। পুলিশ জেরায় গোটা ঘটনার কথা বলেছে সে, যা শুনে হতবাক দুঁদে পুলিশ অফিসাররা।
EiSamay.Com D8
এই সেই অভিযুক্ত নাসিরুদ্দিন


জেরায় ও ভিডিয়োটে সে জানিয়েছে, অনেকদিন ধরেই আজমগড়ের ওই বাড়িটির উপর নজর রেখেছিল। অনেক তথ্যই সে জানত। অন্ধকার গলিতে নির্জনতা পেয়ে সে ওই বাড়িতে ঢোকে। সেখানেই এক শিশুসন্তানকে নিয়ে দম্পতি ঘুমাচ্ছিল। বাইরে থেকে আনা ইট ও বাঁশ নিয়ে এসে ঘুমিয়ে থাকা ৩৫ বছর বয়সি স্বামীকে মারে সে। দুবার মাথায় আঘাত করলে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর আর্তনাদে ঘুম ভেঙে যায় স্ত্রীরও। তাকেও ইট দিয়ে আঘাত করে। মাঝে শুয়ে থাকা শিশুটিকেও বাঁশ দিয়ে মারে সে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুজনেই। জেরায় ভিডিয়োর সামনে সে জানিয়েছে, সঙ্গমের জন্য সে ড্রাগ নিত। ধর্ষণের আগেও সেই ড্রাগ ব্যবহার করেছিল সে। মহিলাকে মারা পরও সে বেঁচে ছিল। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করে নাসিরুদ্দিন। চোখের সামনে সকলকে মরতে দেখেও তার কোনও ভয় ছিল না। পরে মহিলা মারা গেলে সে ফের আরও একবার ধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন এখানে: ঘুমন্ত দম্পতি ও শিশুকে খুন, নাবালিকা ও নারী শবদেহ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার 'যৌনতাসক্ত' ব্যক্তি!


বাড়িটিতে প্রায় তিনঘন্টা ছিল অভিযুক্ত। পুলিশ জানতে চেয়েছিল, সকলকে মেরে দেওয়ার পর ১০ বছরের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন করার কারণ কী ছিল। সেই প্রশ্নের উত্তরে সে জানিয়েছে, মেয়েটি জল খাবে বলে তাঁর মাকে বলেছিল। কিন্তু না আসায় ঘরে ঢুকে পড়ে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিজে ভিডিয়োও করেছিল সে। মেয়েটিকে চুপচাপ শুয়ে পড়তে বললে, মেয়েটি চোর..চোর বলে চিত্‍কার করতে থাকে। সেইসময় তাকেও বাঁশ দিয়ে আগাত করে মেরে ফেলে। তারপর ধর্ষণ করে সে।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল