অ্যাপশহর

প্লিজ, এখন কেউ পুরী বেড়াতে আসবেন না! আর্জি ওডিশা পুলিশের বড়কর্তার

কারফিউ উঠলেও বিগ্রহ দর্শনের জন্য পুরীতে প্রবেশ না করাই শ্রেয়। সংক্রমণের ভয়ে এমনিতেই গোটা রাজ্য আতঙ্কিত। অত্যন্ত কঠোর নিয়মাবলীমেনেই সম্পন্ন করা গিয়েছে ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত এই রথযাত্রা। তবে, ২৪ জুন কারফিউ তুলে নেওয়া হলে, গণপরিবহণ ও যাতায়াত করার রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। রথযাত্রা শেষ হলেও পুরীতে বাইরের কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না।

EiSamay.Com 24 Jun 2020, 3:37 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি নিয়েই নির্দিষ্ট সময় পুরীর রথযাত্রা শুরু হয়। জনশূন্য গ্র্যান্ড রোডে গড়িয়েছে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের রথের চাকা। তবে করোনা আক্রান্ত দেশে রথ যাত্রার মতো ঐতিহ্যবাদী উত্‍সবকে কার্যকর করটা খুব সহজ কিছু নয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশমতো নানাবিধ বিধি চালু করতে ওডিশা সরকার, মন্দির কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সোমবার (২২জুন) ৯টা থেকে গোটা পুরী জেলা শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা চলে বুধবার অর্থাত্‍ ২৪ জুন দুপুর ২টো পর্যন্ত। ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তো বটেই, পুরীতে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তাও সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। গণপরিবহণও বন্ধ রাখা হয়।
EiSamay.Com Puri Ratha Yatra
গুন্ডিচা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তিনটি রথ।


বুধবার দুপুর ২টোর পর শাটডাউন উঠে গেলেও রাজ্যবাসী যেন পুরী জেলায় প্রবেশ না করেন, তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ওডিশার ডিজিপি অভয়। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের মতে, কারফিউ উঠলেও বিগ্রহ দর্শনের জন্য পুরীতে প্রবেশ না করাই শ্রেয়। সংক্রমণের ভয়ে এমনিতেই গোটা রাজ্য আতঙ্কিত। অত্যন্ত কঠোর নিয়মাবলীমেনেই সম্পন্ন করা গিয়েছে ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত এই রথযাত্রা। এখনও কোনও দুঃসংবাদ না পেলেও পুরীতে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্যবাসীর কাছে তাই অনুরোধ জানানো হয়েছে, রথযাত্রা শেষ হলেও পুরীতে বাইরের কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু বাইরের নয়, জেলার মানুষও বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন না। রথযাত্রা শেষ হলেও এই মুহূর্তে পুরীতে বেড়াতে না আসার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক।

প্রসঙ্গত, ২৪ জুন কারফিউ তুলে নেওয়া হলে, গণপরিবহণ ও যাতায়াত করার রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।



উল্লেখ্য, রথের দিন আদালতের নির্দেশমতো, তিনটি রথের দড়ি টানতে পেরেছেন সর্বোচ্চ ৫০০ জন। করোনা-পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হয়েই এই ৫০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এঁদের মধ্যে মন্দিরের সেবায়েত এবং পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। একটি রথ যাওয়ার কমপক্ষে একঘণ্টা পরে অন্য রথটি গিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে রথের রশি টানা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে প্রথমে পুরো মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় রথের সাজানোর কাজ। এর পর মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে প্রথমে বের করে নিয়ে আসা হয় ভগবান বলরাম বা বলভদ্রদেবের মূর্তি। শ্রীখোল-করতাল বাজিয়ে চলে কীর্তন। অন্যদিকে পুরোহিত ও সেবায়েতরা কাঁধে করে নিয়ে আসেন বলরাম, সুভদ্র ও জগন্নাথদেবকে। এর পর রথে ওঠানো হয়। বিগ্রহ রথে তোলার পর প্রাচীন রীতি অনুসারে ওডিশার গজপতি মহারাজা পথ পরিস্কার করেন সোনার ঝাঁটা দিয়ে। মঙ্গলমন্ত্র উচ্চারণ করে রথের দড়ি ধরে টান দেন।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল