'কংগ্রেসকে দুর্বল করতে রাহুলই যথেষ্ট', কটাক্ষ কেজরির, অন্যদিকে ভারত জোড়ো নিয়ে সুর নরম সিপিএমের
ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে সিপিএম যখন সুর নরম করল, তখন রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করতে দেখা গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। কংগ্রেসকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে রাহুলই যথেষ্ট বলে দাবি করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান। এদিকে, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা শোনা গেল সিপিএম সাধারণ স্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলায়। জেনে নিন বিস্তারিত...
Lipi 17 Sep 2022, 5:57 pm
হাইলাইটস
- কংগ্রেসক দুর্বল করার চেষ্টা করছে আপ, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
- রাহুলকে পাল্টা দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
- কংগ্রেসকে দুর্বল করার জন্য রাহুলই যথেষ্ট বলে দাবি আপ প্রধানের
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে তরজায় জড়িয়ে পড়ল। ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে সিপিএম যখন সুর নরম করল, তখন রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করতে দেখা গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। কংগ্রেসকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে রাহুলই যথেষ্ট বলে দাবি করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান। আম আদমি পার্টি বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেসকে দুর্বল করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে আপ-কে নিশানা করেন তিনি। সেই সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল বিজেপির ‘বি’ টিম হিসেবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে পাল্টা দিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসকে দুর্বল করার জন্য রাহুল গান্ধীই যথেষ্ট বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এটা কংগ্রেসের নিজস্ব ব্যাপার বলে জানান। সেই সঙ্গে প্রত্যেক দলের ভালো কাজ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ভারত জোড়ো যাত্রার জন্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন আপ প্রধান।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, দেশের ১৩০ কোটি জনগণের জোট ভারতকে বিশ্বের এক নম্বরে পরিণত করবে। জোট রাজনীতি নিয়ে তিনি যে অজ্ঞ, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, চলতি মাসে মোদী বিরোধী জোট গঠনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামী লোকসভা ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিনা তা জানতে চাইলে, এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন আপ প্রধান। পুরো বিষয়টি জনসাধারণের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের নিশানায় যখন রাহুল, তখন কংগ্রেস নিয়ে সুর নরম করল সিপিএম। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা শোনা গেল সিপিএম সাধারণ স্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলায়। প্রত্যেক দলের একটি নিজস্ব কর্মসূচি আছে বলে মনে করছেন তিনি। এর আগে কংগ্রেসের কর্মসূচির কড়া সমালোচনা করেছিল কেরল সিপিএম। কেরলে ১৮ দিন ধরে ভারত জোড়ো যাত্রার কর্মসূচি থাকলেও, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে যাত্রার জন্য ২ দিন বরাদ্দকে ঘিরে কংগ্রেসকে নিশানা করা হয়। বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস দ্বিচারিতা নীতি নিয়েছে বলে কেরল সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এমনকি কেরল সিপিএমকে বিজেপির ‘বি’ টিম বলে কংগ্রেসের অভিযোগকে সেই সময় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, সীতারাম ইয়েচুরিও। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক তুলে ধরেছিলেন গোয়া প্রসঙ্গও। কিন্তু, তারপরেই কংগ্রেস সম্পর্কে ইয়েচুরির সুর নরম করাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিরোধী ঐক্যের স্বার্থেই সিপিএমের এই ইউটার্ন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিরোধী ঐক্য নিয়ে নীতীশ কুমার, কে চন্দ্রশেখর রাও-রা যতই চেষ্টা চালান না কেন, জোট সোনার পাথর বাটি বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে সেই জোটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আদৌও সামিল হবেন কিনা, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত আপ একলা চলো নীতি নিলে, লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা ব্যাকফুটে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, দেশের ১৩০ কোটি জনগণের জোট ভারতকে বিশ্বের এক নম্বরে পরিণত করবে। জোট রাজনীতি নিয়ে তিনি যে অজ্ঞ, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, চলতি মাসে মোদী বিরোধী জোট গঠনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামী লোকসভা ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিনা তা জানতে চাইলে, এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন আপ প্রধান। পুরো বিষয়টি জনসাধারণের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের নিশানায় যখন রাহুল, তখন কংগ্রেস নিয়ে সুর নরম করল সিপিএম। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা শোনা গেল সিপিএম সাধারণ স্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলায়। প্রত্যেক দলের একটি নিজস্ব কর্মসূচি আছে বলে মনে করছেন তিনি। এর আগে কংগ্রেসের কর্মসূচির কড়া সমালোচনা করেছিল কেরল সিপিএম। কেরলে ১৮ দিন ধরে ভারত জোড়ো যাত্রার কর্মসূচি থাকলেও, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে যাত্রার জন্য ২ দিন বরাদ্দকে ঘিরে কংগ্রেসকে নিশানা করা হয়। বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস দ্বিচারিতা নীতি নিয়েছে বলে কেরল সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এমনকি কেরল সিপিএমকে বিজেপির ‘বি’ টিম বলে কংগ্রেসের অভিযোগকে সেই সময় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, সীতারাম ইয়েচুরিও। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক তুলে ধরেছিলেন গোয়া প্রসঙ্গও। কিন্তু, তারপরেই কংগ্রেস সম্পর্কে ইয়েচুরির সুর নরম করাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিরোধী ঐক্যের স্বার্থেই সিপিএমের এই ইউটার্ন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিরোধী ঐক্য নিয়ে নীতীশ কুমার, কে চন্দ্রশেখর রাও-রা যতই চেষ্টা চালান না কেন, জোট সোনার পাথর বাটি বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে সেই জোটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আদৌও সামিল হবেন কিনা, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত আপ একলা চলো নীতি নিলে, লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা ব্যাকফুটে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।