অ্যাপশহর

সিয়াং নদীর কালো জলে চিনের ছায়া, উদ্বিগ্ন দিল্লি

নদী-খাতে বয়ে চলেছে নোংরা কালো জল। তার জেরে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ঘটনায় চিনের দিকেই আঙুল তুলছে দিল্লি।

EiSamay.Com 29 Nov 2017, 8:57 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষা পেরিয়েও নদী-খাতে বয়ে চলেছে নোংরা কালো জল। তার জেরে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ঘটনায় চিনের দিকেই আঙুল তুলছে উদ্বিগ্ন দিল্লি।
EiSamay.Com arunachal river turns black officials blame china
সিয়াং নদীর কালো জলে চিনের ছায়া, উদ্বিগ্ন দিল্লি


শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বয়ে চলা অরুণাচল প্রদেশের জীবনসুধা হিসেবে পরিচিত সিয়াং নদীর জলের রং বদলে যাওয়ায় আতঙ্কে দিশাহারা বাসিন্দারা। এর জেরে সিয়াং নদীর জল ব্যবহারের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন। পরীক্ষা করার পরে নদীর জলে অধিক মাত্রায় খনিজের গাদ পাওয়া গিয়েছে, যা অস্বাস্থ্যকর। পূর্ব সিয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনার তামায়ো তাতাক জানিয়েছেন, 'ওই জল কোনও ভাবেই ব্যবহারের উপযুক্ত নয় কারণ তাতে সিমেন্টের মতো ভারী পদার্থ রয়েছে। দেড় মাস আগে সিয়াং নদীতে প্রচুর মাছের মৃত্যু হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছেন, 'গত বর্ষায় নদীর জল হঠাত্‍ কালো রং ধারণ করলে আমরা ভেবেছিলাম যে, কাদার প্রাচুর্যের ফলেই এমন ঘটেছে। বেশ কিছু দিন হল বর্ষা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু নদীর জল এখনও ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত জল স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকে। এমনকি আমার ঠাকুরদাও এমন ঘটনা জীবনে দেখেননি।'

আরও পড়ুন: ​ খুড়ছে ১০০০ কিমি সুড়ঙ্গ, ব্রহ্মপুত্রের জল ছিনিয়ে নেবে চিন!

জাতীয় জল কমিশন সিয়াং নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে তিনি জানান, এবং সন্দেহের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চিন। তাতাক বলেন, 'মনে করা হচ্ছে, চিনের বিস্তীর্ণ অংশ দিযে বয়ে চলা নদীর ঊর্ধ্ব প্রবাহের কাছাকাছি কোনও বড়সড় নির্মাণকাজ চলেছে। বা হতে পারে চিন নদীর বুকে কোনও গভীর বোরিংয়ের কাজ করছে। ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান অববাহিকা এমন বড় নদীর জল গত দুই মাস যাবত কালো হয়ে থাকার অন্য কোনও সম্ভাবনা থাকার কথা নয়।'

উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্রের প্রধান অববাহিকা সিয়াং দক্ষিণ তিব্বতের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১৬০০ কিমি পথ বেয়ে এসে ভারতে প্রবেশ করেছে। সিয়াং ভারতে দিহাং নামেও পরিচিত। ২৫০ কিমি বয়ে চলার পরে তা পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পরে ব্রহ্মপুত্র নদ সৃষ্টি হয়। বর্তমান পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে অরুণাচল সরকারকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে জানান তাতাক।

প্রসঙ্গত, ১০০০ কিমি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ইয়ারলাং সাংপো নদীর স্রোত তিব্বত থেকে ঘুরিয়ে জিংজিয়াং প্রদেশের তাকলামাকান মরুভূমিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। যদিও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি বেজিং, তবু সিয়াং নদীর জল আচমকা কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লি।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল