সাবধান! কেবল Delta Plus নয়, হানা দিতে পারে আরও ৩ করোনা প্রজাতি
ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ছাড়াও ভয় ধরাচ্ছে আরও তিন করোনা স্ট্রেন। ভ্যাকসিনেও কি নিরাপদ নন আপনি? কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতামত কী?
EiSamay.Com 29 Jun 2021, 1:09 pm
হাইলাইটস
- গত দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব।
- ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভারতে প্রথম হদিশ মেলে ডেল্টা প্রজাতির
- কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের তিনটি প্রজাতি হল আলফা, বিটা ও ডেল্টা।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। হাজার হাজার মৃত্যু ও ধসে পড়া অর্থনীতি সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি দেশের। এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ তৈরি করেছে Delta Plus Varient। আশঙ্কা বাড়িয়ে ক্রমশই জাল বিস্তার করছে করোনার এই সবচেয়ে ছোঁয়াচে প্রজাতি। বেশ কিছু ভ্যাকসিনও এই প্রজাতি রুখতে কার্যকর হচ্ছে না বলে খবর। এর মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি করছে আরও তিন ভাইরাসের স্ট্রেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই তিন প্রজাতি রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভারতে প্রথম হদিশ মেলে ডেল্টা প্রজাতির (Delta Plus Varient) ভাইরাসের। সেখানে থেকেই চরিত্র পালটে তৈরি হয় ডেল্টা প্লাস। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ১২টি রাজ্যে এই স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের তিনটি প্রজাতি হল আলফা, বিটা ও ডেল্টা। এর মধ্যে আলফা স্ট্রেনের হদিশ মেলে আমেরিকায়। বিটা স্ট্রেন পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। B.1.617.2 অর্থাৎ ডেল্টা স্ট্রেন প্রথম পাওয়া যায় ভারতে। যা এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলেই প্রমাণ মিলেছে। এরপর চরিত্র বদলে ভাইরাসের প্রজাতির নাম হয়েছে ডেল্টা প্লাস। যা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে। তবে, এর মধ্যেই আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আরও তিন প্রজাতির করোনাভাইরাস ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। যা ভবিষ্যতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
১) কাপ্পা প্রজাতি
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, B.1.167.1-এর চরিত্র বদলে তৈরি হয়েছে কাপ্পা প্রজাতি। এটি একটি ডবল মিউট্যান্ট ভাইরাস। সমগোত্রীয় জিনের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই প্রজাতি বড় চিন্তার কারণ হতে পারে। দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব সহজেই দুমরে-মুচরে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই প্রজাতি।
২) লামডা প্রজাতি
গত ১৪ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রজাতিকে 'ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট' নাম দিয়েছে। ২০২০ সালে পেরুতে এই প্রজাতির প্রথম হদিশ পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত এই প্রজাতিতে বর্তমানে আক্রান্ত হচ্ছেন ল্যাটিন আমেরিকার বাসিন্দারা। ব্রিটেনেও এর হদিশ মিলেছে।
৩) B1.617.3 প্রজাতি
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই প্রজাতি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত। শরীরে প্রবেশ করলে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। অনেকক্ষেত্রে ভ্যাকসিনও কার্যকরী না হওয়ার সম্ভাবনা। ডেল্টা প্লাসের অপর একটি প্রজাতি হিসেবেই ধরা হতে পারে এই স্ট্রেনকে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই স্ট্রেন সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে আশঙ্কার বিষয়, ভারতে পাওয়া ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট থেকেই এই প্রজাতির জন্ম হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত এই প্রজাতির মানচিত্রের বাইরে নয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের তিনটি প্রজাতি হল আলফা, বিটা ও ডেল্টা। এর মধ্যে আলফা স্ট্রেনের হদিশ মেলে আমেরিকায়। বিটা স্ট্রেন পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। B.1.617.2 অর্থাৎ ডেল্টা স্ট্রেন প্রথম পাওয়া যায় ভারতে। যা এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলেই প্রমাণ মিলেছে। এরপর চরিত্র বদলে ভাইরাসের প্রজাতির নাম হয়েছে ডেল্টা প্লাস। যা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে। তবে, এর মধ্যেই আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আরও তিন প্রজাতির করোনাভাইরাস ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। যা ভবিষ্যতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
১) কাপ্পা প্রজাতি
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, B.1.167.1-এর চরিত্র বদলে তৈরি হয়েছে কাপ্পা প্রজাতি। এটি একটি ডবল মিউট্যান্ট ভাইরাস। সমগোত্রীয় জিনের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই প্রজাতি বড় চিন্তার কারণ হতে পারে। দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব সহজেই দুমরে-মুচরে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই প্রজাতি।
২) লামডা প্রজাতি
গত ১৪ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রজাতিকে 'ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট' নাম দিয়েছে। ২০২০ সালে পেরুতে এই প্রজাতির প্রথম হদিশ পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত এই প্রজাতিতে বর্তমানে আক্রান্ত হচ্ছেন ল্যাটিন আমেরিকার বাসিন্দারা। ব্রিটেনেও এর হদিশ মিলেছে।
৩) B1.617.3 প্রজাতি
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই প্রজাতি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত। শরীরে প্রবেশ করলে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। অনেকক্ষেত্রে ভ্যাকসিনও কার্যকরী না হওয়ার সম্ভাবনা। ডেল্টা প্লাসের অপর একটি প্রজাতি হিসেবেই ধরা হতে পারে এই স্ট্রেনকে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই স্ট্রেন সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে আশঙ্কার বিষয়, ভারতে পাওয়া ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট থেকেই এই প্রজাতির জন্ম হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত এই প্রজাতির মানচিত্রের বাইরে নয়।