অসুস্থ ধনখড়কে দেখতে AIIMS-এ অমিত শাহ
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
EiSamay.Com 27 Oct 2021, 3:03 pm
হাইলাইটস
- অসুস্থ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
- আপাতত দিল্লির AIIMS-এ চিকিৎসারত তিনি।
- বুধবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আপাতত দিল্লির AIIMS-এ চিকিৎসারত তিনি। বুধবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন শাহ। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন জগদীপ ধনখড়। দিল্লিতে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা অনুমান করেন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, পুজোর সময়ে সপরিবারে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন। দিল্লিতে যাওয়ার সময় রাজ্যপাল সুস্থ ছিলেন। কিন্তু, রাজধানীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জ্বর আসে তাঁর। এরপরেই তাঁর ম্যালেরিয়া রিপোর্ট পজিটিভ আসে।প্রাথমিকভাবে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছিল বঙ্গভবনে। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজ্যপালকে দিল্লি AIIMS-এ ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুধু রাজ্যপাল নন, কলকাতা শহর এবং লাগোয়া এলাকাতে অনেকেই মশাবাহিত রোগ ভুগছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এই বছরের শুরু থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ হাজার ২ জন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। এছাড়াও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৮০ শতাংশই কলকাতার বাসিন্দা। বিধাননগর পুরসভার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুরএলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ২৫ জন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। শহরকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করার লক্ষ্যে যা যা করার, সবই করা হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, শহর কলকাতায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ এড়াতে প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কোথাও যাতে জল না জমে সেজন্য সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পতঙ্গবিদদের কথায়, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুন বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। আর এই জলেই জন্মাচ্ছে মশা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মশা বাহিত রোগ যাতে না হয় সেজন্য সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্ত সতর্ক হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও যাতে জল না জমে সেদিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরিস্থিতিতে ম্যালেরিয়া জ্বর বাড়তি উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।
প্রসঙ্গত, শুধু রাজ্যপাল নন, কলকাতা শহর এবং লাগোয়া এলাকাতে অনেকেই মশাবাহিত রোগ ভুগছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এই বছরের শুরু থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ হাজার ২ জন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। এছাড়াও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৮০ শতাংশই কলকাতার বাসিন্দা। বিধাননগর পুরসভার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুরএলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ২৫ জন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। শহরকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করার লক্ষ্যে যা যা করার, সবই করা হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, শহর কলকাতায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ এড়াতে প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কোথাও যাতে জল না জমে সেজন্য সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পতঙ্গবিদদের কথায়, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুন বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। আর এই জলেই জন্মাচ্ছে মশা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মশা বাহিত রোগ যাতে না হয় সেজন্য সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্ত সতর্ক হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও যাতে জল না জমে সেদিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরিস্থিতিতে ম্যালেরিয়া জ্বর বাড়তি উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।