অ্যাপশহর

টানা ১৫ দিন যুদ্ধের মতো অস্ত্র মজুত করছে বাহিনী

লাগাতার ১৫ দিন ধরে তুমুল যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার মজবুত করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সীমান্ত নিয়ে, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তটিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Ei Samay 14 Dec 2020, 9:09 am
নয়াদিল্লি: লাগাতার ১৫ দিন ধরে তুমুল যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনীকে তাদের অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার মজবুত করার অনুমতি দিল কেন্দ্র। সীমান্ত নিয়ে, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তটিকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
EiSamay.Com amid tensions with india, china and pakistan sign military deal, army keep themselves ready for 15 days war
লাদাখ সীমান্তে টহল দিচ্ছে সেনার হেলিকপ্টার।


আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষমতাও। এই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাহিনী দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রয়োজনীয় অস্ত্র কিনতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বাহিনী সেই ক্ষমতার ব্যবহার করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে টানা ১০ দিন যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র রয়েছে বাহিনীর মজুতে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারতকে শুধু চিনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, এমন নয়। পাকিস্তানও কিন্তু পশ্চিম সীমান্তে তখন সক্রিয় হয়ে উঠবে। অতএব, ভারতকে একসঙ্গে দুই শত্রুর মোকাবিলা করতে হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, 'অস্ত্রব্যবস্থা এবং গোলাবারুদ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে যাতে প্রবল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বর্তমানের ১০ দিনের প্রয়োজনীয় মজুতকে বাড়িয়ে ১৫ দিনের করা যায়।'

কিছু দিন আগেই সেনাবাহিনীকে এই অস্ত্র সংগ্রহের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অনেক আগে টানা ৪০ দিন প্রবল যুদ্ধ করার মতো মজুত রাখার অনুমতি ছিল বাহিনীর। কিন্তু পরে অস্ত্রের ঘাটতি এবং যুদ্ধের ধরন বদলে যাওয়ায় তা ১০ দিনে নামিয়ে আনা হয়। অস্ত্রভাণ্ডার আরও মজবুত করার বিষয়টি উরি হামলার পরে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়। সেই সময়ে মনোহর পারিক্করের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষামন্ত্রক বাহিনীর তিন উপপ্রধানের অস্ত্র কেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ১০০ কোটি টাকা থেকে তা ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। এ ছাড়া তিন বাহিনীকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষমতাও দেওয়া রয়েছে।

এর এক্তিয়ারে তিন বাহিনীই তাদের প্রয়োজনমতো ৩০০ কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারে। ইতিমধ্যেই সেনার ট্যাঙ্ক এবং গোলন্দাজ বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি এখনও জটিল। তার উপরে দেশের উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের কাছেও চিনের সক্রিয়তা বেড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সেনার অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল