এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত শান্ত হচ্ছে না ভারত-চিন সীমান্ত (India-China Tension) উত্তেজনা! বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দু'পক্ষের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকে অধরা রয়ে যায় সমাধান সূত্র। ছ'ঘণ্টার বৈঠকের পরও পূর্ব লাদাখে ভারতীয় জমি পরিত্যাগের কোনও চিনা লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে ভারতীয় ভূ-খণ্ডের কয়েক কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে, তাতে তাদের হটাতে গেলে স্পেশাল ফোর্সই নামাতে হবে। এমন অবস্থায় এবার এগিয়ে এল ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force)। সূত্রের খবর, শুক্রবারই শ্রীনগরে বায়ুসেনা ক্যাম্প পরিদর্শনে পৌঁছন IAF চিফ আর কে এস ভাদুরিয়া (Indian Air Force Chief RKS Bhadauria)। শ্রীনগর ছাড়াও লেহ-তে বায়ুসেনার ক্যাম্পে গিয়েছেন তিনি। সংবাদসংস্থা ANI জানাচ্ছে, দু'দিনের সফরে শ্রীনগর ও লেহ ঘুরে দেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান। চিনের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে ইতোমধ্যেই শ্রীনগর ও লেহ-তে বেশি সংখ্যায় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মোতায়েন করানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ১২টি সুখোই এবং ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে বায়ুসেনা। যা কিনতে মোট ₹৫ হাজার কোটি খরচ হবে। গত দু'দশক ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার মূল অস্ত্র হল সুখোই। সীমান্তের ফরওয়ার্ড বেসগুলিতে আনা হয়েছে স্কোয়াড্রন সুখোই। এছাড়াও আগামী মাসেই অত্যাধুনিক রাফালে বিমানও হাতে পাবে বায়ুসেনা।
প্রায় ৪৫ বছর পর চিনা হামলায় ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে। গলওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের জওয়ানদের তুমুল সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এই সংঘর্ষে এক চিনা কমান্ডিং অফিসার-সহ ৪৩ জন হতাহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দু'পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও গুলি চলেনি। ঘুষোঘুষি, পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। পাশাপাশি চিনা জওয়ানরা কাঁটা দেওয়া লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালায় বলেও অভিযোগ। সোমবার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত সীমান্তে আশঙ্কা বহু! ভারত-চিন সেনার, কার শক্তি কত?
সোমবার রাতের ঘটনায় হতাহতের পাশাপাশি কতজন ভারতীয় সেনা নিখোঁজ তা নিয়েও জল্পনা চলছিল। ঘটনার তিনদিন পর গতরাতে ১০ জন ভারতীয় জওয়ানকে মুক্তি দিয়েছে চিন। তবে এরমধ্যেই জল্পনা নিজেদের স্বার্থে গলওযান নদীর ধারাও পালটে দিতে শুরু করেছে চিন। এমন পরিস্থিতিতে বিমাল হামলাই যে বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে। তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, স্পেশাল ফোর্স বা যুদ্ধবিমান হামলার অর্থই হল দু'দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে চাইছে না দু'দেশই। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়ও বিমান হানা করতে হয়েছিল ভারতকে।
গোটা বিষয়ে আপনাদের মত কী? ইংরেজি বা বাংলায় কমেন্ট করুন নীচের কমেন্ট বক্সে। আমাদের জানান পাঠক-মতামত
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ১২টি সুখোই এবং ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে বায়ুসেনা। যা কিনতে মোট ₹৫ হাজার কোটি খরচ হবে। গত দু'দশক ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার মূল অস্ত্র হল সুখোই। সীমান্তের ফরওয়ার্ড বেসগুলিতে আনা হয়েছে স্কোয়াড্রন সুখোই। এছাড়াও আগামী মাসেই অত্যাধুনিক রাফালে বিমানও হাতে পাবে বায়ুসেনা।
প্রায় ৪৫ বছর পর চিনা হামলায় ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে। গলওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের জওয়ানদের তুমুল সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এই সংঘর্ষে এক চিনা কমান্ডিং অফিসার-সহ ৪৩ জন হতাহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দু'পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও গুলি চলেনি। ঘুষোঘুষি, পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। পাশাপাশি চিনা জওয়ানরা কাঁটা দেওয়া লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালায় বলেও অভিযোগ। সোমবার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত সীমান্তে আশঙ্কা বহু! ভারত-চিন সেনার, কার শক্তি কত?
সোমবার রাতের ঘটনায় হতাহতের পাশাপাশি কতজন ভারতীয় সেনা নিখোঁজ তা নিয়েও জল্পনা চলছিল। ঘটনার তিনদিন পর গতরাতে ১০ জন ভারতীয় জওয়ানকে মুক্তি দিয়েছে চিন। তবে এরমধ্যেই জল্পনা নিজেদের স্বার্থে গলওযান নদীর ধারাও পালটে দিতে শুরু করেছে চিন। এমন পরিস্থিতিতে বিমাল হামলাই যে বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে। তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, স্পেশাল ফোর্স বা যুদ্ধবিমান হামলার অর্থই হল দু'দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে চাইছে না দু'দেশই। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়ও বিমান হানা করতে হয়েছিল ভারতকে।
গোটা বিষয়ে আপনাদের মত কী? ইংরেজি বা বাংলায় কমেন্ট করুন নীচের কমেন্ট বক্সে। আমাদের জানান পাঠক-মতামত