এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একাধারে বিরাট এবং বৈচিত্রময় দেশ ভারত। প্রাকৃতিক, ভাষাগত পার্থক্য তো রয়েইছে। তার সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে মানুষের চিন্তাধারা এবং বিশ্বাসে। এটাই ভারতকে আলাদা করেছে অন্যান্য বহু দেশের থেকে। কৃষিপ্রধান হওয়ার সুবাদে দেশে লক্ষ লক্ষ গ্রাম রয়েছে। গ্রাম বলতেই মাথায় প্রথমে আসে বড়-বড় চাষের খেত, মাটির রাস্তা, তাই তো! তবে এই গ্রামগুলির দিকে তাকালে সেই ধারণা অনেকাংশে পাল্টে যাবে। শুধু পাল্টাবেই না, তার সঙ্গে একটা বিশ্বাসও জন্মাবে, কঠিন পরিশ্রম করলে উন্নতির পথে কোনও কিছু বাধা হয় না এবং বিশ্বের অনেক কিছু এখনও জানার বাকি রয়েছে।
১) হিওয়ারে বাজার
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা। এখানে প্রতি বছর বহু চাষি ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। জলের চরম হাহাকার এই অঞ্চলে। গ্রীষ্মের সময় প্রত্যেক বছর খরার কবলে পড়ে এখানকার গ্রামগুলি। কিন্তু এখানকারই একটি গ্রাম একেবারে অন্য রাস্তায় হাঁটছে। এ গ্রামের প্রায় সব চাষি কোটিপতি। কোনও গরীব মানুষ খুঁজে পাবেন না এখানে। এই গ্রাম দেশের সবচেয়ে ধনী গ্রাম। এমন নয়, যে এখানে জলের সমস্যা একেবারে নেই। তবে এঁরা এ সব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করেন। তবে এটা শুরু হয়েছিল প্রায় তিন দশক আগে পোপটরাও পাওয়ার যখন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। তিনি এসেই গ্রামে সমস্ত নেশার বস্তু নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। বর্ষার জল ধরে রাখা এবং গ্রামে পশুপালনের ওপর জোর দেন। ১৯৯৫ সালে যেখানে গ্রামের মাথাপিছু রোজগার ছিল ৮৩০ টাকা, ২০১২ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজারে।
২) উপ্পালা
পঞ্জাবের জলন্ধরে এই গ্রাম রয়েছে। একটি বিশেষ কারণে বাকি সব গ্রামের চেয়ে আলাদা এটি। প্রত্যেকটি বাড়িতে ছাদের মাথায় যে জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে তা একেবারে ভিন্নধর্মী। প্রথাগত কালো বা ঢালাই করা চৌকো ট্যাঙ্ক নয়, প্রত্যেকটি বাড়ির ছাদে আপনি হয় এরোপ্লেন দেখতে পাবেন, নয়তো ট্রাক্টর, নয়তো কামান, গাড়ি এমনকী ঘোড়াও দেখবেন! বিরাট বড় মাপের ইমারত না থাকার কারণে বহু দূর থেকে এগুলো দেখা যায়।
৩) ধোকড়া
গুজরাটের কচ্ছ জেলার এই গ্রাম সাদা বিপ্লবের জন্য এমনিতেই খ্যাত। আরও একটি কারণে গ্রামটি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এই গ্রামে কোনও দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয় না। যদি কোনও বাড়িতে গোরু-মোষ না থাকে, তাদের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে দুধ বা দুগ্ধজাত যে কোনও জিনিস দেওয়া হয়। এর পেছনে অবশ্য অন্য আর একটি কারণ রয়েছে। গ্রাম প্রধান অজিত জাডেজা বলেন, ‘প্রায় ৫০০ বছর আগে পীর সইদনা গ্রামে এসে থাকতে শুরু করেন। তিনি বলেছিলেন, গ্রামে সুখ্য-স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে হলে দুগ্ধজাত কোনও জিনিস বিক্রি করা যাবে না। আমরা আজও সে কথা মেনে চলি।’
৪) কোদিনহি
কথায় বলে, বিশ্বে নাকি একই রকম দেখতে ৭ জন মানুষ থাকেন। কিন্তু কেরালার কোদিনহি গ্রামে যদি যান, তা হলে অন্তত দু’ জনকে দেখতে পাবেনই। কেন? এই গ্রামে ১০০০ জনের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন মহিলা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এটা বিশ্বের নিরিখে প্রায় ৭০০% বেশি। ফলে হাঁটতে চলতে অহরহ যমজ চোখে পড়বে।
৫) শেতফল
মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলায় এই গ্রাম রয়েছে। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে অতিথিদের থাকার জন্য একটি করে ঘর চোখে পড়বে। যে সে অতিথি নয়, প্রত্যেকে মারাত্মক বিষধর। কেউটের প্রজাতি। এই গ্রামের চারপাশে প্রচুর সাপ দেখা যায়। যে কোনও সাপের জন্য ঘরের দরজা সব সময় খোলা থাকে। তারা এসে বিশ্রাম করে। আবার চলে যায়। কেউ কেউ তো বহু দিন একটি বাড়িতে থেকে যায়। বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকলেও এই গ্রামে আজ পর্যন্ত কাউকে সাপে কামড়ায়নি। বাচ্চারা রীতিমতো সাপ নিয়ে খেলাও করে।
১) হিওয়ারে বাজার
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা। এখানে প্রতি বছর বহু চাষি ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। জলের চরম হাহাকার এই অঞ্চলে। গ্রীষ্মের সময় প্রত্যেক বছর খরার কবলে পড়ে এখানকার গ্রামগুলি। কিন্তু এখানকারই একটি গ্রাম একেবারে অন্য রাস্তায় হাঁটছে। এ গ্রামের প্রায় সব চাষি কোটিপতি। কোনও গরীব মানুষ খুঁজে পাবেন না এখানে। এই গ্রাম দেশের সবচেয়ে ধনী গ্রাম। এমন নয়, যে এখানে জলের সমস্যা একেবারে নেই। তবে এঁরা এ সব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করেন। তবে এটা শুরু হয়েছিল প্রায় তিন দশক আগে পোপটরাও পাওয়ার যখন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। তিনি এসেই গ্রামে সমস্ত নেশার বস্তু নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। বর্ষার জল ধরে রাখা এবং গ্রামে পশুপালনের ওপর জোর দেন। ১৯৯৫ সালে যেখানে গ্রামের মাথাপিছু রোজগার ছিল ৮৩০ টাকা, ২০১২ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজারে।
২) উপ্পালা
পঞ্জাবের জলন্ধরে এই গ্রাম রয়েছে। একটি বিশেষ কারণে বাকি সব গ্রামের চেয়ে আলাদা এটি। প্রত্যেকটি বাড়িতে ছাদের মাথায় যে জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে তা একেবারে ভিন্নধর্মী। প্রথাগত কালো বা ঢালাই করা চৌকো ট্যাঙ্ক নয়, প্রত্যেকটি বাড়ির ছাদে আপনি হয় এরোপ্লেন দেখতে পাবেন, নয়তো ট্রাক্টর, নয়তো কামান, গাড়ি এমনকী ঘোড়াও দেখবেন! বিরাট বড় মাপের ইমারত না থাকার কারণে বহু দূর থেকে এগুলো দেখা যায়।
৩) ধোকড়া
গুজরাটের কচ্ছ জেলার এই গ্রাম সাদা বিপ্লবের জন্য এমনিতেই খ্যাত। আরও একটি কারণে গ্রামটি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এই গ্রামে কোনও দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয় না। যদি কোনও বাড়িতে গোরু-মোষ না থাকে, তাদের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে দুধ বা দুগ্ধজাত যে কোনও জিনিস দেওয়া হয়। এর পেছনে অবশ্য অন্য আর একটি কারণ রয়েছে। গ্রাম প্রধান অজিত জাডেজা বলেন, ‘প্রায় ৫০০ বছর আগে পীর সইদনা গ্রামে এসে থাকতে শুরু করেন। তিনি বলেছিলেন, গ্রামে সুখ্য-স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে হলে দুগ্ধজাত কোনও জিনিস বিক্রি করা যাবে না। আমরা আজও সে কথা মেনে চলি।’
৪) কোদিনহি
কথায় বলে, বিশ্বে নাকি একই রকম দেখতে ৭ জন মানুষ থাকেন। কিন্তু কেরালার কোদিনহি গ্রামে যদি যান, তা হলে অন্তত দু’ জনকে দেখতে পাবেনই। কেন? এই গ্রামে ১০০০ জনের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন মহিলা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এটা বিশ্বের নিরিখে প্রায় ৭০০% বেশি। ফলে হাঁটতে চলতে অহরহ যমজ চোখে পড়বে।
৫) শেতফল
মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলায় এই গ্রাম রয়েছে। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে অতিথিদের থাকার জন্য একটি করে ঘর চোখে পড়বে। যে সে অতিথি নয়, প্রত্যেকে মারাত্মক বিষধর। কেউটের প্রজাতি। এই গ্রামের চারপাশে প্রচুর সাপ দেখা যায়। যে কোনও সাপের জন্য ঘরের দরজা সব সময় খোলা থাকে। তারা এসে বিশ্রাম করে। আবার চলে যায়। কেউ কেউ তো বহু দিন একটি বাড়িতে থেকে যায়। বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকলেও এই গ্রামে আজ পর্যন্ত কাউকে সাপে কামড়ায়নি। বাচ্চারা রীতিমতো সাপ নিয়ে খেলাও করে।