ইন্ডিয়ো এয়ারলাইন্সের (Indigo Airlines) বিমানে এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে চড়তে না দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Sindhia)। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, ''আর কখনও কোনও মানুষকে যেন এই পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়।'' কেন ওই শিশুটিকে বিমানে উঠতে দেওয়া হল না? অমানবিক এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব সকলেই। জবাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ''আমি নিজে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই ধরণের ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই চলা হবে। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'' The Director General Of Civil Aviation (DGCA) প্রধান অরুণ কুমার ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন।
উল্লেখ্য, রাঁচি থেকে হায়দরাবাদগামী ওই ইন্ডিগো বিমানে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন মণীষা গুপ্ত নামে এক যাত্রী। তিনিও ওই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন। শিশুটির প্রতি মানবিক হয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ''সম্ভবত বাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রা, রাস্তায় যানজট আর তারপর বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের জেরে শিশুটি বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল সে। ওই সময় তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন তার বাবা-মা। শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে তার আতঙ্ক এবং উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করছিলেন মা। বোর্ডিংয়ের আগে শিশুটিকে ওষুধ এবং খাবার খাইয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।'' মায়ের স্নেহের পরশে কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির আতঙ্ক কেটে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন মণীষা। কিন্তু, তারপরই ঘটল বিপত্তি।
সহযাত্রী মণীষা গুপ্ত আরও বলেন, ''ইন্ডিগো কর্মীদের আচরণে তাজ্জব বনে গিয়েছি। একজন ফ্লাইট অ্যাটান্ড্যান্টকে বলতে শোনা গেল, এমন আচরণ করা আর মদ্যপ যাত্রীদের কোনওভাবেই বিমানে উঠতে দেওয়া যাবে না। এতে অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। অর্থাৎ শিশুটিকে তাঁরা মদ্যপ ব্যক্তির সঙ্গেও তুলনা করেছেন!''
এদিকে, গোটা ঘটনাটি নিয়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের CEO। বিশেষভাবে সক্ষম ওই শিশুকে একটি ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার কিনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেন CEO রনজয় দত্ত। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফেও এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে গত ৭ মে রাঁচি-হায়দরাবাদের একটি নির্দিষ্ট ফ্লাইটে এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে উঠতে দেওয়া হয়নি। কারণ সেই সময় শিশুটি অত্যন্ত আতঙ্গিত হয়ে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, রাঁচি থেকে হায়দরাবাদগামী ওই ইন্ডিগো বিমানে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন মণীষা গুপ্ত নামে এক যাত্রী। তিনিও ওই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন। শিশুটির প্রতি মানবিক হয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ''সম্ভবত বাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রা, রাস্তায় যানজট আর তারপর বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের জেরে শিশুটি বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল সে। ওই সময় তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন তার বাবা-মা। শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে তার আতঙ্ক এবং উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করছিলেন মা। বোর্ডিংয়ের আগে শিশুটিকে ওষুধ এবং খাবার খাইয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।'' মায়ের স্নেহের পরশে কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির আতঙ্ক কেটে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন মণীষা। কিন্তু, তারপরই ঘটল বিপত্তি।
সহযাত্রী মণীষা গুপ্ত আরও বলেন, ''ইন্ডিগো কর্মীদের আচরণে তাজ্জব বনে গিয়েছি। একজন ফ্লাইট অ্যাটান্ড্যান্টকে বলতে শোনা গেল, এমন আচরণ করা আর মদ্যপ যাত্রীদের কোনওভাবেই বিমানে উঠতে দেওয়া যাবে না। এতে অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। অর্থাৎ শিশুটিকে তাঁরা মদ্যপ ব্যক্তির সঙ্গেও তুলনা করেছেন!''
এদিকে, গোটা ঘটনাটি নিয়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের CEO। বিশেষভাবে সক্ষম ওই শিশুকে একটি ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার কিনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেন CEO রনজয় দত্ত। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফেও এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে গত ৭ মে রাঁচি-হায়দরাবাদের একটি নির্দিষ্ট ফ্লাইটে এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে উঠতে দেওয়া হয়নি। কারণ সেই সময় শিশুটি অত্যন্ত আতঙ্গিত হয়ে পড়েছিল।