অ্যাপশহর

‘নীল তিমির’ মারণকামড় থেকে ইন্দোরের কিশোরকে বাঁচাল বন্ধুরা

এ বার এক স্কুল পড়ুয়ার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেল ‘ব্লু হোয়েল’ বা নীল তিমি খেলার নাম! বৃহস্পতিবার স্কুলের চার তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহূর্তে পড়ুয়াটিকে বাঁচিয়ে নেন তাঁর সহপাঠীরা৷

EiSamay.Com 11 Aug 2017, 1:04 pm
ইন্দোর: মুম্বইয়ের পর ইন্দোর৷ এ বার এক স্কুল পড়ুয়ার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেল ‘ব্লু হোয়েল’ বা নীল তিমি খেলার নাম! বৃহস্পতিবার স্কুলের চার তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহূর্তে পড়ুয়াটিকে বাঁচিয়ে নেন তাঁর সহপাঠীরা৷ এক্ষেত্রেও পরিবার এবং বন্ধুদের দাবি, ক’দিন ধরে এই মারণ খেলাটি খেলছিল সে৷ ফলে, খেলাটির শর্তপূরণ করার জন্যই সন্তম শ্রেণির এই ছাত্র আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও, এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাননি তদন্তকারীরা৷
EiSamay.Com a class 7 student from indore on thursday tried to commit suicide apparently by taking up
‘নীল তিমির’ মারণকামড় থেকে ইন্দোরের কিশোরকে বাঁচাল বন্ধুরা


রাজেন্দ্র নগরের চামালি দেবী প্রাথমিক স্কুলের ১৩ বছরের ছাত্রটি কয়েকদিন ধরে বাবার মোবাইল ফোনে ‘ব্লু হোয়েল’ খেলছিল৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ক’দিন ধরেই মনমেজাজ ঠিক ছিল না তার৷ বাড়িতে কারও সঙ্গে ঠিক ভাবে কথা বলছিল না, ভালো করে খাওয়া-দাওয়াও করছিল না৷ তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত কয়েকদিন ধরেই আত্মহত্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিল সে , সেই কারণেই হঠাত্ করে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল৷ এ দিন স্কুলে সুযোগ পেতেই ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে সে৷ রেলিং বেয়ে উঠেও পড়েছিল , শেষ মুহূর্তে তাঁকে টেনে নামায় সহপাঠীরা৷ পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকে একেবারে চুপ করে গিয়েছে ছাত্রটি, কারও সঙ্গে কথা বলছে না , ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে৷ তাকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা, মানসিক ভাবে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরই এই ‘গেম’ নিয়ে প্রশ্ন করা হবে তাঁকে৷

মারণ এই ‘সুইসাইডাল’ খেলাটির জন্ম রাশিয়ায়৷ সে দেশে ইতিমধ্যেই বহু তরুণের মৃত্যু হয়েছে৷ ‘নীল তিমি’ নামের এই খেলায় প্রথমে কাগজে তিমি মাছ আঁকার মতো সহজ কাজ দেওয়া হয়৷ পরের ধাপগুলিতে একা ভুতের সিনেমা দেখা কিংবা মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠার মতো ‘টাস্ক’ দেওয়া হয়৷ সময়ের সঙ্গে কঠিন হতে থাকে চ্যালেঞ্জও৷ যার মধ্যে অন্যতম , ছুরি দিয়ে নিজের হাতে তিমি মাছ খোদাই কার৷ ‘টাস্ক’ শেষ করে তার ছবি সেই ব্যক্তিকে পাঠাতে হয়, তাঁর নির্দেশে খেলাটি হচ্ছে৷ মনে করা হয় , এই খেলার পঞ্চাশতম এবং শেষ ‘টাস্ক’ হল আত্মহত্যা করা৷ তবে, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে নাকি নেহাতই ঝোঁকের মাথায় লোকজন আত্মহত্যা করছে , সেটা এখনও তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়৷ যেমন স্পষ্ট নয়, কারা এই খেলার নেপথ্যে রয়েছে৷ এরই মাঝে দুনিয়াজুড়ে বেড়েই চলেছে নীল তিমির শিকার৷ ক’দিন আগে মুম্বইয়ে এক নবম শ্রেণির ছাত্র ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে , সেটাও এই খেলারই চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে গিয়ে বলে অনুমান পুলিশের৷ সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এ বার ইন্দোরে ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা৷ --- সংবাদসংস্থা৷

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল