অ্যাপশহর

ফের মুখে আঘাত পেয়ে মৃত্যু হাতির, এবার তামিলনাড়ুতে

'কেরালার ঘটনা নিয়ে এত মাতামাতি করে কী লাভ হল? আমরা বুনো শুয়োর, নীলগাইকে ফসলের জন্য ক্ষতিকারক বলে মারব, আর বাঘ-হাতি সংরক্ষণ করব- এটা তো হয় না। এই দ্বিচারিতা বন্ধ না হলে আরও অনেক নিরীহ পশুর প্রাণ যাবে।' গত মে মাসেই কেরালায় এক অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে ফলের মধ্যে বাজি ভরে খাইয়ে খুন করা হয়। যে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল নিন্দার ঝড় উঠে ছিল।

EiSamay.Com 22 Jun 2020, 3:21 pm
এই সময় ডিজিটল ডেস্ক: হাতির উপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনা শেষ হওয়ার নয়। সোমবার তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের প্রান্তে জাম্বুকান্দি গ্রামের কাছে উদ্ধার হয়েছে ১২ বছরের একটি পুরুষ হাতির দেহ।
EiSamay.Com ELEPHANT DEATH
ছবিটি প্রতীকী


বনদফতর থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হাতিটির মুখে চোট ছিল। মুখের ভিতর আঘাতের কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। চিকিত্‍সা শুরু করা গেলেও আহত হাতিটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে কী কারণে হাতিটির মুখে আঘাত পেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির দেহ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ পরিস্কার হয়ে যাবে।



কেরালায় বিস্ফোরক মেশানো ফল খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল সন্তানসম্ভবা হাতিটির। পরে জানা যায়, শুয়োর মারার জন্য রাখা ফল ভুল করে খেয়ে নিয়েছিল সে। পশু অধিকারকর্মী গৌরী মৌলেখির কথায়, 'কেরালার ঘটনা নিয়ে এত মাতামাতি করে কী লাভ হল? আমরা বুনো শুয়োর, নীলগাইকে ফসলের জন্য ক্ষতিকারক বলে মারব, আর বাঘ-হাতি সংরক্ষণ করব- এটা তো হয় না। এই দ্বিচারিতা বন্ধ না হলে আরও অনেক নিরীহ পশুর প্রাণ যাবে।'

সেই ঘটনার জের যে এখনও অব্যাহত তা ছত্তিশগড়ে ফের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রথমে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হলেও, ময়নাতদন্তে জানা যায় প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হাতিটি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। যে জমিতে হাতির দেহ মেলে, সেই জমির মালিককে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় সে স্বীকার করেছে, ফসল নষ্ট য়াতে না করে তার জন্য বিদ্যুতের তার ব্যবহার করা হয়েছিল । কেরালায় হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই সরকারই কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছিল। বাজি ভরতি আনারস খেয়ে হাতিটির মুখে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় না খেয়েই কাটিয়েছিল টানা ১৪দিন। অসহ্য যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য গ্রামের পাশে একটি নদীতে নেমে পড়ে। কিন্তু মানুষের নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পায়নি সে।

শুধু হাতি হত্যাই নয়, হিমাচল প্রদেশে গমের তৈরি বলের মধ্যে বাজি ভরে খেতে দেওয়া হয়েছিল একটি গোরুকে। বিলাসপুরের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল অবল প্রাণীটি। এরপর তামিলনাড়ুতে একইভাবে মাংসের মধ্যে আতসবাজি পুরে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মারা হয় একটি শিয়ালকেও। এই ঘটনায় জড়িত ১২জনকে গ্রেফাতর করে তামিলনাড়ু বনদফতর। প্রায় প্রতিদিনই হাতির মৃত্যু শিরোনামে আসছে। কবে আর মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হবে?

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল