অ্যাপশহর

ভারত-চিন শত্রুতার মূলে কি ৮০০ ভেড়ার পাল?

‘ভেড়া, ইয়াকের জন্য বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাইছে চিন?’

EiSamay.Com 5 Jul 2017, 3:54 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভেড়া, ইয়াকের জন্য বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাইছে চিন?’ ১৯৬৫ সালে চিনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে এই প্রশ্নই লেখা ছিল। আজ ২০১৭ সালে সিকিম সীমান্তে ইন্দো-চিন উত্তেজনার পর ফের উঠছে সেই প্রশ্ন। সত্যি কি দু’দেশের খারাপ সম্পর্কের সূত্রপাত ভেড়ার পালের হারিয়ে যাওয়া থেকে!
EiSamay.Com 800 missing sheep triggered 1967 india china conflict
ভারত-চিন শত্রুতার মূলে কি ৮০০ ভেড়ার পাল?


৮০০ ভেড়া ও ৫৯টি ইয়াকের পাল হঠাৎ করে গায়েব হয়ে গিয়েছে সিকিম সীমান্ত থেকে। তিব্বতের পশুপালকদের ভেড়া ও ইয়াক চুরি করেছে ভারতীয় সেনা। ১৯৬৫ সালে এমনই তাজ্জব করে দেওয়া অভিযোগ তুলেছিল চিন। ড্রাগনের দেশের তরফে চুরি যাওয়া ভেড়া ফেরতের দাবি জানানো হয়।


ছবি সৌজন্যে, AFP

পড়ুন, ভারত মহাসাগরে চিনা যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধের প্রস্তুতি?

বেজিংয়ের এই অভিযোগ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পরই হইচই শুরু হয়। নিশানা বানোন হয় নয়াদিল্লির শান্তিপথ এলাকায় চিনা দূতাবাসকে। ১৯৬৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিক্ষুব্ধ জনতা হাজির হয় দূতাবাসের সামনে। স্লোগান, প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি বিক্ষোভের জন্য নিয়ে আসা হয় ভেড়ার পালকেও। প্ল্যাকার্ডগুলিতে ‘চিনকে ভেড়ার পালের জন্য বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চায়?’ ; ‘আমায় খাও, কিন্তু যুদ্ধ বাদ দাও’ জাতীয় মন্তব্য ছিল। এরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং।

পড়ুন, ‘যুদ্ধ লাগলে ভারত টিকবে না’, হুঁশিয়ারি চিনা আর্মির

চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ জানায় সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। ৫ দিন বাদে সেই অভিযোগের উত্তর দেয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তাতে বলা হয়, ‘বিনা অনুমতিতে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল তিব্বতি পশুপালকরা। তাই তাঁদের আটক করা হয়।’ তবে একইসঙ্গে নিখোঁজ ভেড়া ও ইয়াক সম্পর্কে কোনও তথ্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে নেই বলেও জানানো হয়। বেজিংয়ের তরফে আরও অভিযোগ ছিল, চিনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ভারত সরকারই করিয়েছিল। যা ‘হাস্যকর’ বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।



আরও পড়ুন, ৬৭-র খোঁচা দিয়ে ভারতকে হুমকি চিনের, 'বেশি বাড় বেড়ো না'

প্রসঙ্গত, এর ২ বছর পরই নাথু লা’তে একাধিক হামলা চালায় চিনা আর্মি। ভারতীয় সেনাও তার যথাযোগ্য জবাব দেয়। নাথু লা’তে চিনা আর্মি পোস্ট ধ্বংস করে দেয় ভারত। দু’পক্ষের সংঘর্ষে শহিদ হন ৮০ জন ভারতীয় জওয়ান। অন্যদিকে, ৩০০-৪০০ চিনা আর্মি জওয়ানের মৃত্যু হয়।

তথ্য সৌজন্য, হিন্দুস্তান টাইমস

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল