এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আর তার জেরে লকডাউন। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে বেনজিরভাবে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে দেশের গরিব মানুষের আসল চিত্র। শ্রমিকরা হাঁটছেন কয়েক হাজার কিলোমিটার, রাস্তাতেই মারা যাচ্ছেন দুর্ঘটনা বা ক্লান্তিতে। রাজনীতিও চলছে সমানতালে সেই মৃত্যু নিয়ে। কিন্তু গরিবের অবস্থা পালটাচ্ছে আর কোথায়? এবারের ঘটনাও মারাত্মক! মুম্বইয়ে রাজ করতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা শেখ রাজু আলি (৩০)। লকডাউনে চলে যায় কাজ, ঠিক করেন হেঁটেই ফিরবেন বাড়ি। কিন্তু এতটা পথ আর পেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। মৃত্যু হল ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। রাজুর পরিবার সূত্রে খবর, মাস খানেক আগেই হেঁটে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায় হাতে থাকা যৎসামান্য টাকা। খাবার কেনার পয়সাটুকুও ছিল না আর। চলার শক্তি হারান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গেও।
২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ থেকে ফোন আসে পশ্চিম মেদিনীপুরের চকপ্রসাদ গ্রামের বাড়িতে। জানানো হয়, অসুস্থ অবস্থায় ভুসাওল রেল স্টেশনের কাছ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বাড়ির লোকেরা আশ্বস্ত হয়। কিন্তু ২১ মে খবর আসে, সব শেষ। মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছরের তরতাজা যুবকের।
ঘটনার খবর আসতেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই অবস্থাতেও তাঁদের শেষ আর্জি, ছেলেটাকে যদি একটা বার শেষ দেখা যেত, দেহটা যদি ফেরানো যেত বাংলার, তাঁর নিজের বাড়িতে!
রাজুই অবশ্য প্রথম নয়, পথে মৃত্যু হচ্ছে একাধিক শ্রমিকের। দিনকয়েক আগেই মহারাষ্ট্র থেকে পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন এক শ্রমিক। তিন দিন ধরে টানা হেঁটেই গিয়েছেন। কিন্তু জোটেনি কোনও খাবার। সঙ্গে যা ছিল তা এক দিনেই শেষ হয়ে যায়।
বিক্রম নামের ওই বৃদ্ধ যাত্রা শুরুর পর থেকেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন। প্রায় ১২০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কনৌজ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর দুপুরে নিজেদের গ্রাম হারদই জেলার দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এক কিলোমিটার পথ না যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ থেকে ফোন আসে পশ্চিম মেদিনীপুরের চকপ্রসাদ গ্রামের বাড়িতে। জানানো হয়, অসুস্থ অবস্থায় ভুসাওল রেল স্টেশনের কাছ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বাড়ির লোকেরা আশ্বস্ত হয়। কিন্তু ২১ মে খবর আসে, সব শেষ। মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছরের তরতাজা যুবকের।
ঘটনার খবর আসতেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই অবস্থাতেও তাঁদের শেষ আর্জি, ছেলেটাকে যদি একটা বার শেষ দেখা যেত, দেহটা যদি ফেরানো যেত বাংলার, তাঁর নিজের বাড়িতে!
রাজুই অবশ্য প্রথম নয়, পথে মৃত্যু হচ্ছে একাধিক শ্রমিকের। দিনকয়েক আগেই মহারাষ্ট্র থেকে পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন এক শ্রমিক। তিন দিন ধরে টানা হেঁটেই গিয়েছেন। কিন্তু জোটেনি কোনও খাবার। সঙ্গে যা ছিল তা এক দিনেই শেষ হয়ে যায়।
বিক্রম নামের ওই বৃদ্ধ যাত্রা শুরুর পর থেকেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন। প্রায় ১২০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কনৌজ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর দুপুরে নিজেদের গ্রাম হারদই জেলার দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এক কিলোমিটার পথ না যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।