অ্যাপশহর

কিডন্যাপের পর মুন্ডু কেটে তিন বছরের শিশুকে হত্যা করল সদ্য জেলফেরত বর্বর

জামশেদপুরের টাটানগর রেলস্টেশন থেকে দিন কয়েক আগে তিন বছরের এক শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজ-খোঁজ করে, মঙ্গলবার রাতে যখন সেই শিশুকন্যার দেখা মেলে, ধড়-মুণ্ড বিচ্ছিন্ন। কিন্তু, সে মুণ্ড কোথায়, পুলিশ এখনও জানে না।

EiSamay.Com 31 Jul 2019, 9:52 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নেড়া বেলতলায় একবারই যায়। কিন্তু, কোনও দাগি অপরাধী বা খুনি কি পারে, সংশোধনাগারে সাজার মেয়াদ কাটিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে? পারে নিশ্চয়ই, কিন্তু, সবাই যে নয়, তার প্রমাণ সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া এক খুনি। 'অপরাধ'-এর নেশাই তাদের বারেবারে তাড়িয়ে নিয়ে যায় চার কুঠুরির অন্ধকারে। জামশেদপুরের টাটানগর রেলস্টেশন থেকে দিন কয়েক আগে তিন বছরের এক শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজ-খোঁজ করে, মঙ্গলবার রাতে যখন সেই শিশুকন্যার দেখা মেলে, ধড়-মুণ্ড বিচ্ছিন্ন। কিন্তু, সে মুণ্ড কোথায়, পুলিশ এখনও জানে না। তবে, সিসিটিভির ফুটেজ ধরে 'খুনি'র নাগাল পেতে বিস্তর কাঠখড় পোয়াতে হয়নি পুলিশকে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে যায় রিঙ্কু। এখন সে পুলিশের হেফাজতে।
EiSamay.Com _453fa93c-b36a-11e9-8cbf-78d1c56f2fe2


কে এই রিঙ্কু? পুলিশ বলছে, রিপিট অফেন্ডার। একই অপরাধ সে অতীতেও করেছে। একবার নয়, একাধিক বার। টাটানগরের রেল স্টেশনের শিশুটির মতো একই কায়দায় সে অতীতে টেলকো ও সাকচি অঞ্চল থেকে শিশুদের কিডন্যাপ করে, নৃশংস ভাবে খুন করেছে। তার বাবা আবার পুলিশেই চাকরি করে, হাবিলদার, গিরিডিতে পোস্টিং।

এই খুনি 'পেডোফিলিক' কি না, পুলিশ তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। কারণ, এখনও তেমন তথ্য প্রমাণ হাতে আসেনি। তবে, জামশেদপুরের তিন বছরের যে শিশুকন্যাকে রেলস্টেশন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে, গলা কেটে খুন করা হয়েছে, তাকে ধর্ষণ করা হলেও, হতে পারে। পুলিশের সন্দেহ তাই। কারণ, বাচ্চাটির গোপনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত, পুলিশ নিশ্চিত হতে পারছে না।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল জেমকো-আজাদবস্তি থেকে সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে, সে খুন করেছিল। সেই খুনে দু-বছরের জেলের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮-র মার্চে। তবে, জেলের বাইরে বেরোয় মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে। কিন্তু, দু-বছরে সংশোধনাগার তাকে শোধরাতে পারেনি।

ডিএসপি নুর মুস্তাফি আনসারি জানান, তিন বছরের শিশুকন্যাকে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ঘুমন্ত অবস্থায় টাটানগর রেল স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে যায় রিঙ্কু। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ঠান্ডা মাথায়, নিঃশব্দে সে শিশুটিকে তুলে নিয়ে পালাচ্ছে। সেই ফুটেজই ধরিয়ে দেয় রিঙ্কুকে। গ্রেফতার হয় কৈলাস নামে রিঙ্কুর এক সহযোগীও। মঙ্গলবার রাতে ধোবিঘাটের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় বাচ্চাটির গলা কাটা দেহ। জেরায় ওই খুনিই জানায় দেহটি কোথায় সে লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু, খুনের কথা স্বীকার করলেও, বাচ্চা মেয়েটির ধড় থেকে মুন্ডু সে বিচ্ছিন্ন করেনি বলেই পুলিশকে জানিয়েছে। তবে, কে কাটল শিশুটির মাথা? উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল