হরিয়ানার স্কুলে শিক্ষকের লালসার শিকার ২৪ ছাত্রী

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত বেশ কয়েক মাস ধেরে হরিয়ানার হিসারের একটি গ্রামের স্কুলে, ২৪ জন ছাত্রীকে যৌনহেনস্থার অভিযোগে অবশেষে স্কুলের ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট, শারীর শিক্ষার শিক্ষক অর্থাৎ PT শিক্ষককে গত সোমবার গ্রেফতার করল হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ শিশু সুরক্ষা বিভাগ। ধৃতদের বিরুদ্ধে POCSO ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। মঙ্গলবারই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও এই ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্ত স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক পলাতক। শিশু সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিক সুনীতা জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে অষ্টম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের অভিযোগ চলতি বছরের অগস্টা মাস থেকে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিল ধৃত দুই অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, এই ঘটনার কথা জানার পর ওই ছাত্রীদের অভিভাবকেরা ও গ্রামপ্রধান একযোগে প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু স্কুলের তরফে এর পরেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, তারা পুলিশের দারস্থ হন। গত ১৬ ডিসেম্বর তদন্ত শুরু করে পুলিশের একটি দল স্কুলে গেলে, সেখানে ২৪ জন ছাত্রী অভিযুক্ত তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানায়। তারা জানায় অভিযুক্তরা তাদের ওপর প্রতিনিয়ত যৌন হেনস্থা চালাত। পাশাপাশি তারা হুমকি দিত এই কথা যদি তারা কাউকে জানিয়েছেন তবে তারা তাদের মারধর করবে এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে।

হিসার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন। যদিও একজন পলাতক। সকলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে নেমে তারা স্কুলে গিয়ে দেখেছেন, স্কুলের ২৫ শতাংশ স্থান সিসিটিভির আওতায় থাকলেও, কম্পিউটার ল্যাব, অঙ্কের ঘর, বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব, প্রসাধন স্থান এবং প্রবেশ ও বাহিরের পথে কোনও CCTV নেই। আর সেই স্থানেই হত এই নির্যাতন। ইতোমধ্যে পলাতক কম্পিউটার শিক্ষকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।

(The victim's identity has not been revealed to protect her privacy as per Supreme court directives on cases related to sexual assault)

প্রতিবেদনটি ইংরিজিতে পড়তে ক্লিক করুন।