অ্যাপশহর

A B ছিঃ! স্কুলে ভর্তির নামে ২ বছরের শিশুরাও কোচিং ক্লাসে!!

‘ব্যাগ-বোঝাই’ জীবনে প্রবেশের আগে তাই শিশুদের তৈরি করতে ইন্টারভিউ ট্রেনিং ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা মা

EiSamay.Com 23 Feb 2017, 12:01 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সবে ২ বছরে পা রেখেছে সে। ‘মাম্মা’ ছাড়া প্রায় কিছুই স্পষ্ট করে বলতে পারে না। বাবাকে দেখলে কচি দাঁতগুলো বেরিয়ে আসে ঠিকই, কিন্ত ‘বাবা’ ডাক দিতে গিয়ে সেই ‘মাম্মা’ই ভরসা। এই একরত্তি ছেলেটা’কেই বাবা মা’র হাত ধরে এবার বসতে হবে বিশেষ ধরনের ক্লাসে। ট্রেনিং নিতে হবে সাক্ষাৎকারের। চলবে স্কুলের সাক্ষাৎকারে সাফল্যের ট্রেনিং!
EiSamay.Com 2 year olds in mumbai are attending coaching classes to crack school interviews
A B ছিঃ! স্কুলে ভর্তির নামে ২ বছরের শিশুরাও কোচিং ক্লাসে!!


কোনও গল্প নয়, এই বাস্তব মুম্বইয়ের। ব্যস্ততা যেই শহরের মূল মন্ত্র, সেখানে তৈরি হতে গেলে প্রস্তুতি নিতে হবে ২ বছর বয়স থেকেই। এটাই যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের বাণিজ্য নগরীর। ‘ব্যাগ-বোঝাই’ জীবনে প্রবেশের আগে তাই শিশুদের তৈরি করতে ইন্টারভিউ ট্রেনিং ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা মা।

হাফিংটন পোস্ট ইন্ডিয়া-এর খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ মুম্বই-এর নামী স্কুলগুলিতে কেজি ক্লাসে ভর্তির জন্য সন্তানদের এভাবেই প্রস্তুত করছেন অভিভাবকরা। নামী স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ পদ্ধতিতে বসা কার্যত বাধ্যতামূলক। আর এই ইন্টারভিউ-এর জন্য শিশুদের তৈরির ‘গুরুদায়িত্ব’ কাঁধে তুলে নিয়েছে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কিছু ট্রেনিং সেন্টার। এদের মধ্যে অনেকেই দাবি করে, ‘অমুক স্কুলে ভর্তির পদ্ধতি জানা আছে। তমুক স্কুলে আমাদের ২৫ পড়ুয়া রয়েছে। ...ইত্যাদি।’ আর অনৈতিক ও অমানবিক ব্যবসার শিকার হতে হচ্ছে সদ্য দুধের বোতলটা নিজে ধরতে শেখা শিশুগুলি।

কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ভর্তির সময়ে কোনও শিশুর ইন্টারভিউ নিতে পারে না স্কুলগুলি। কিন্তু, ‘…বিচিত্র এই দেশে’ স্কুলও ব্যবসা করতে জানে! নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইন্টারভিউ পদ্ধতির নাম পালটে দেওয়া হচ্ছে, ‘চাইল্ড অবজারভেশন।’ আর পর্যবেক্ষণের নামে শিশুদের ওই সব কিছু জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, যা শিখতে তারা স্কুলে ভর্তি হতে এসেছে। আর এই ধরনের শিক্ষা-ব্যবসার সুযোগে গড়ে উঠেছে এই ট্রেনিং সেন্টারগুলি। যারা ‘GK ক্লাস’এর আড়ালে চালাচ্ছে ২ বছরের বাচ্চাদের ট্রেনিং ক্লাস।

অভিযোগ শুধু এই নয়। ভূরি ভূরি রয়েছে আরও। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের তরফে অভিযোগ, শিশু বাছাই করার সময়ে বিশেষ পছন্দ রয়েছে ওই ট্রেনিং সেন্টারগুলির। অর্থাৎ, যে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা যত বেশি, অলিখিতভাবে সেটাই নিয়ম।

স্বাভাবিক ভাবেই সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে গিয়ে এই বেআইনি কাজকে আরও উৎসাহ দিচ্ছেন অভিভাবকরা। যার ফলে দাখিল হচ্ছে না কোনও অভিযোগও। আর জন্মের অল্প সময়েই বাড়তে থাকছে শিশুদের বোঝা। যা বইতে হবে বহুদূর পর্যন্ত...।

তথ্য সৌজন্য: রেহা লোবো | হাফিংটন পোস্ট ইন্ডিয়া

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল