অ্যাপশহর

মণিপুর বিধানসভার বাইরে গ্রেনেড হামলা, জখম ২ সিআরপিএফ জওয়ান

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করে সপ্লিন্টার বের করা হয়েছে। দুই জওয়ানই এখন বিপন্মুক্ত। এদিন গ্রেনেড বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে যায় ইম্ফল পশ্চিম পুলিশ, সিআরপিএফ ও মণিপুর পুলিশ বম্ব স্কোয়াডের পৃথক টিম। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

EiSamay.Com 23 Nov 2019, 2:20 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার বিকেলে মণিপুর বিধানসভা চত্বরের অদূরে গ্রেনেড হামলায় জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, সিআরপিএফের ২ জওয়ান। সূত্রের খবর, এদিন বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ বিধানসভা চত্বরের বাইরে থাংমিবাঁদ ইমপ্রুভমেন্ট ক্লাবের সামনে এই হামলা হয়েছে।
EiSamay.Com crpf-assam-copy


পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেনেড হামলায় জখম হয়েছেন ৮৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ওই দুই জওয়ান। দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে লক্ষ্য করে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গ্রেনেডের সপ্লিন্টারে জখম ওই দুই সিআরপিএফ এখন হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করে সপ্লিন্টার বের করা হয়েছে। দুই জওয়ানই এখন বিপন্মুক্ত। এদিন গ্রেনেড বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে যায় ইম্ফল পশ্চিম পুলিশ, সিআরপিএফ ও মণিপুর পুলিশ বম্ব স্কোয়াডের পৃথক টিম। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
লাতেহারে মাওবাদী হামলা, শহিদ সাব ইনস্পেক্টর-সহ ৩ পুলিশকর্মী

সংগাই উৎসব চলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে রাজধানী ইম্ফলে৷ এ ছাড়াও বিধানসভার সুরক্ষায় এমনিতেই মোতায়েন থাকে মণিপুর পুলিশ ও বিএসএফ৷ এরকম নিরপত্তা বলয় ভেদ করে কী ভাবে গ্রেনেড হামলা হল, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মণিপুর পুলিসের ডিজিপি এলএম খাউতে৷

এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন৷ পুলিশের ধারণা, হামলার নেপথ্যে রয়েছে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ) নামের মণিপুরী জঙ্গিগোষ্ঠী৷ গত অক্টোবর মাসেও সিআরপিএফের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ইউএনএলএফ জঙ্গিরা৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহাড়ি রাজ্যটিতে নাগা জঙ্গিদের, বিশেষ করে এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর রমরমা রয়েছে৷ ফলে বিধানসভায় হামলার নেপথ্যে তাদের হাতও থাকতে পারে৷

আতঙ্কের নতুন নাম স্ক্রাব টাইফাস! কলকাতায় মৃত্যু মুর্শিদাবাদের যুবকের

গত বছর নভেম্বরেও মণিপুর বিধানসভা চত্বরের সামনে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ান-সহ তিন জন জখম হয়েছিলেন। বাকি দু-জন সাধারণ নাগরিক। পুলিশ সূত্রে খবর, বিধানসভা চত্বরের সামনে পরপর দু'টি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটির বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই বিএসএফ জওয়ান-সহ তিন জন জখম হন। পরে বোমা বিশেষজ্ঞরা এসে অন্য গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। পুলিশের ধারণা, মণিপুরি জঙ্গিরাই এই হামলা চালিয়েছিল। যদিও, বিবৃতি দিয়ে হামলার দায় তারা নেয়নি।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল