অ্যাপশহর

স্টেন্টের পরে নিয়ন্ত্রণে আসছে আরও ১৪টি চিকিত্‍সা সরঞ্জামের দাম

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১৪টি সরঞ্জামের দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটাক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)।

EiSamay.Com 21 Feb 2017, 2:27 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিত্‍সা সরঞ্জামের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগী হল সরকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১৪টি সরঞ্জামের দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটাক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)।
EiSamay.Com 14 more medical devices may see price regulation soon
স্টেন্টের পরে নিয়ন্ত্রণে আসছে আরও ১৪টি চিকিত্‍সা সরঞ্জামের দাম


কার্ডিয়াক স্টেন্টের পরে আরও ১৪টি চিকিত্‍সা সরঞ্জামের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থোপেডিক ইমপ্লান্টস, ইন্ট্রাওকিউলার লেন্স, হার্টের কৃত্রিম ভাল্ভের মতো জটিল সরঞ্জাম থেকে শুরু করে ক্যাথিটার, সূচ ও সিরিঞ্জের মতো সামগ্রী। আপাতত এই সমস্ত চিকিত্‍সা সরঞ্জামের মূল্য খতিয়ে দেখছে এনপিপিএ। সংস্থার চেয়ারম্যান ভূপেন্দ্র সিং নির্মাতাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিটি সরঞ্জাম ও তার দাম সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই সময়কে তিনি জানান, 'যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় সমস্ত চিকিত্‍সা সামগ্রী সম্পর্কিত তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চলেছে। এর থেকে ওই সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহারের পরিমাণ, নির্মাণ খরচ এবং বিক্রয়মূল্য সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা তৈরি হবে। চিকিত্‍সাক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শক্ত হাতে রুখতে হবে।'

জানা গিয়েছে, দামের নিরিখে কার্ডিয়াক স্টেন্টের পরেই সবচেয়ে দুর্মূল্য অর্থোপেডিক সরঞ্জাম। বিদেশ থেকে আমদানি করা হাঁটু ও হিপ ইমপ্লান্টের ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের ৫০০% থেকে ১০০০% মুনাফা থাকে। আবার ভারতে তৈরি এই সমস্ত ইমপ্লান্টের ক্ষেত্রেও ২০০% থেকে ৫০০% লাভ থাকে। পাশাপাশি, ইন্ট্রাওকিউলার লেন্সের চাহিদা নির্ভর করে হাসপাতাল এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিত্‌সকের উপর। অন্যদিকে ক্যাথিটার, সিরিঞ্জ বা সূচের মতো ভোগ্যপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে দামের কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে না।

বর্তমানে ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের ৩ নম্বর ধারায় ১৪টি সরঞ্জামকে 'ওষুধ' তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এর কোনওটাই জরুরী ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কার্ডিয়াক স্টেন্টকে জাতীয় জরুরী ওষুধ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তালিকায় না থাকলে সেই ওষুধ বা চিকিত্‍সা সরঞ্জামের দাম এনপিপিএ-র আঁওতার বাইরে থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে সংস্থা বড় জোর তার দাম বাড়ার হার বছরে ১০%-এ বেঁধে দিতে পারে।

ভূপেন্দ্র সিংয়ের মতে, ওষুধ প্রস্তুতকারকদের তরফে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে আবিষ্কার ও গবেষণার অজুহাত দেওয়া হলেও তা আমল দেয়নি এনপিপিএ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অভিযোগ জানান যে, দুই ভারতীয় স্টেন্ট প্রস্তুতকারকের সুবিধার্থেই দাম নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে কড়াকড়ি এনেছে এনপিপিএ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিং জানিয়েছেন, 'স্টেন্ট বিক্রির ক্ষেত্রে ভারতীয় নির্মাতারাও আমদানিকারীদের মতো একই রকম লাভ করছিলেন। আমাদের মূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া যুক্তি ও গবেষণার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে।'

# The list includes orthopedic implants, intraocular lenses and artificial heart valves to consumables such as needles and catheters.
# The National Pharmaceutical Pricing Authority has begun scrutiny of devices.
# Indian implants too are sold at margins of 200-500%.

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল