অ্যাপশহর

বিপুল খরচের বোঝা, ফি অতিরিক্ত নিচ্ছে বহু স্কুল

কলকাতার বেশ কিছু স্কুল একাদশ-দ্বাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে 'অতিরিক্ত' ফি নিচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে বলে বিকাশ ভবন সূত্রের খবর। অভিযুক্ত স্কুলগুলির কোনওটাই অবশ্য সরকারি নয়।

EiSamay.Com 31 May 2019, 10:19 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে স্কুলে একাদশের ফি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কলকাতার বেশ কিছু স্কুল একাদশ-দ্বাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে 'অতিরিক্ত' ফি নিচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে বলে বিকাশ ভবন সূত্রের খবর। অভিযুক্ত স্কুলগুলির কোনওটাই অবশ্য সরকারি নয়। সরকার পোষিত অথবা স্পনসর্ড স্কুল। অবশ্য স্কুলগুলির পাল্টা বক্তব্য, সরকারি তহবিল থেকে যা টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো দিনকে দিন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তার উপর শিক্ষক নেই, লাইব্রেরিয়ান নেই, ফলে সেখানে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করতে হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করার যন্ত্র, রাসায়নিক কেনার জন্য বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। মাসিক বিদ্যুতের বিল, স্কুল চালাতে যে বিপুল টাকা প্রয়োজন, তাতে এক রকম নিরুপায় হয়েই অতিরিক্ত টাকা ভর্তির সময় নিতে হচ্ছে বলে সাফাই ওই সব স্কুল কর্তৃপক্ষের।
EiSamay.Com higher secondary admission fee increases on government aided school in kolkata
একাদশ-দ্বাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে 'অতিরিক্ত' ফি


কয়েক বছর ধরেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তব আর পার্থর মন্তব্যের মধ্যে ফারাক যথেষ্ট।

ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র তরফে কলকাতা জেলার স্কুল পরির্শকের কাছে যে সব স্কুলের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে একাদশে ভর্তি হতে ন্যূনতম তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ডিএসও-র কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌরাঙ্গ খাটুয়ার কথায়, 'স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে যাবতীয় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আর যে সব স্কুল অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে, তাদের সেই টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।'

মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুর শাখায় ৩৩১০ থেকে ৪৮১০ টাকা ভর্তি ফি নিতে হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইনাম হোসেনের কথায়, 'কম্পিউটার, রসায়ন, অঙ্ক, অর্থনীতিতে একাদশ-দ্বাদশে পড়ানোর কোনও স্থায়ী শিক্ষক আমাদের নেই। সব মিলিয়ে ১০-১২ জন পার্ট টাইমারকে খুবই অল্প বেতনে আমাদের রাখতে হয়েছে। লাইব্রেরিয়ান নেই। সেখানেও এক জনকে নিতে হয়েছে।' ইনাম হোসেম বলেন, 'অন্যান্য খরচও রয়েছে। আগে যেখানে শিক্ষক সংগঠনগুলির কাছ থেকে দেড়-দু'হাজার টাকায় আমরা টেস্টের প্রশ্নপত্র কিনতে পারতাম, সেখানে এখন প্রশ্ন ছাপতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।' রমেশ মিত্র গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গার্গী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'স্কুলের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। ডিআই যদি কিছু জানতে চান, তার লিখিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।' শ্যামবাজার এভি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন রপ্তান বলেন, 'গরমে মাসে ৪২-৪৩ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। বছরে ল্যাবরেটরির জিনিস কিনতে ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পার্ট টাইমারদের বেতন দিতেও ৭-৮ লক্ষ টাকা খরচ। তার পরেও আমাদের ফি যা ছিল, তা-ই নেওয়া হচ্ছে।'

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল