অ্যাপশহর

প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার, তার পর ফ্যাশন ডিজাইনার এবং এখন জাঁ'দরেল ACP, ইনিই আজকের 'সরস্বতী'!

‘আমার বন্ধুরা ৭ অঙ্কে বেতন পান। কিন্তু, আমি ৭ জন প্রতারিত মহিলার মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’

EiSamay.Com 31 Jan 2017, 7:09 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পুলিশ মানেই শুধু লাথি, ঘুষি মারা আর অপরাধী ধরা নয়। পুলিশের একটি মানবিক পরিচয় আছে। আর আমার কাছে তার গুরুত্ব অনেক বেশি।’ বলছেন মঞ্জিতা ভনজারা। গুজরাত পুলিশের এফ ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ACP)।
EiSamay.Com from an engineer to a fashion designer to becoming an asst commissioner of police
প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার, তার পর ফ্যাশন ডিজাইনার এবং এখন জাঁ'দরেল ACP, ইনিই আজকের 'সরস্বতী'!


পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই সিভিল সার্ভিসে। হয় IAS অথবা IPS। এমন পরিবারে জন্ম নিয়েও অন্য ধারার কেরিয়ার বাছার ইচ্ছা ছিল মঞ্জিতার। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর NIFT থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কোর্স করেন মঞ্জিতা। কিন্তু, দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে কিছু করার তাগিদ থেকে UPSC-র পরীক্ষায় বসেন তিনি। ব্যর্থতা এলেও শেষে ২০১১ সালে অবশেষে IPS পাশ করেন মঞ্জিতা। গুজরাত পুলিশে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মঞ্জিতা জানান, আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি নাগরিকদের স্বার্থে বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচীর সঙ্গে যুক্ত তিনি। ‘আমার বন্ধুরা ৭ অঙ্কে বেতন পান। কিন্তু, আমি ৭ জন প্রতারিত মহিলার মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’ জানান মঞ্জিতা।

বিভিন্ন NGO-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত মঞ্জিতা। এমনই একটি কাজের উদাহরণ দিলেন তিনি। ‘আমাদের পুলিশ দপ্তরের একটা প্রকল্পের নাম সুরক্ষা সহায়। এই প্রকল্পে আমরা গুজরাতের ছড়ানগরের বিধবাদের পাশে দাঁড়াই। ওই এলাকার একটা বড় অংশই বিধবা। এবং তাঁরা চোলাই মদ বিক্রি করেন। আমরা তাঁদের পাশে থেকে বোঝাই এবং সম্মানীয় কাজে তাঁদের উৎসাহ দান করি।’ এভাবেই সমাজের রক্ষকের দায়িত্বকে ভাগ করে নিতে চান মঞ্জিতা।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল