অ্যাপশহর

ওপেন নাচ-গান, গোপন লালসায় নীল আরার আনারকলিরা!

কমপক্ষে ৫০ বছরের ইতিহাস। তবে ঐতিহ্যের নয়। অন্ধকারের।

EiSamay.Com 4 Dec 2022, 8:06 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কমপক্ষে ৫০ বছরের ইতিহাস। তবে ঐতিহ্যের নয়। অন্ধকারের। সোজা ভাষায় বললে, মাচায় নাচ। নাচে-গানে যৌনতার ঝলক। মঞ্চের উল্টোদিকে বসে থাকা পুরুষদের চোখের লালসার শিকার হওয়া। যা অধিকাংশ সময়ই চোখে সীমিত থাকে না।
EiSamay.Com Anarkali of Aarah
প্রতীকী ছবি


এমনই হয় আরা’র আনারকলিদের পেশা ও জীবন। তাঁদের শরীর পেতে উদ্যত বাবুদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়েই নেচে যেতে হয়। এভাবেই বেঁচে আছে আনারকলিদের ইতিহাস।

বহু দশক আগে উত্তরপ্রদেশের লোকনাট্যে দেখা যেত এই ধরনের নর্তকীদের। ঘাঘড়া, চড়া মেকআপ আর ঠুমকার ছড়াছড়ি। এই চমক নিয়েই বিহারে প্রবেশ এই নর্তকীদের। কোনও বাধাই তাঁদের জনপ্রিয়তার সামনে টেকেনি। ধীরে ধীরে বিহারে মনোরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে আনারকালিদের নাচ।

১৯৮০ থেকে অর্কেস্ট্রাগুলিতে ছেলেদের পরিবর্তে বেশি সংখ্যায় দেখা যেত এই নর্তকীদের। নাচের সঙ্গে সঙ্গে চলত গানও। ঘরোয়া পার্টি থেকে বড় বাবুদের জলসা – সবেতেই প্রথম পছন্দ এই নর্তকীরা।

এরমধ্যেই চলত সম্মান ও প্রাণ বাঁচানোর প্রয়াসও। বিহারেরই আরা জেলার এক নর্তকী মাচায় আসা পুরুষদের বন্দুকের নল থেকে টাকা কুড়োতেন। একদিন টাকা নিতে গিয়ে বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে আসে। এছাড়াও মাচা-র পর জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। অনেককেই জোর করা হয় ‘অন্য পেশা’ বেছে নিতে। কখনও বা বাধ্য হয়ে নিজেরাই...।



২০০৫ সালে মহারাষ্ট্রে ড্যান্স বার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই বিহারে হাজির হন মাচা ব্যবসার জন্য। ভোজপুরি আইটেম গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচ। ২০০৮ সালে এক NGO সমীক্ষায় ধরা পরে, বিহারের লাইভ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা।

সম্প্রতি স্বরা ভাস্করের ‘আনারকলি অফ আরা’ ছবিটি বিহারের এই নর্তকীদের উপরই তৈরি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নর্তকী আনারকলির সংগ্রাম নিয়ে তৈরি ছবিটি নজর কেড়েছে দর্শকের।

পড়ুন, আনারকলি অফ আরা'র মুভি রিভিউ

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল