অ্যাপশহর

আসছে শীত, বাচ্চাকে ভুলেও এই ৫ খাবার দেবেন না

শীতকালে বাচ্চাদের একটু বেশি সাবধানে রাখতেই হয়। কারণ এই সময় বাচ্চারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। উত্‍সবের মরশুমে বাচ্চারা যাতে অসুস্থ না হয়, তার জন্য তাদের কয়েকটি খাবার থেকে এই সময় দূরে রাখাই ভালো।

EiSamay.Com 6 Nov 2020, 12:41 pm
এই সময় জীবন যাপন ডেস্ক: শীতকাল মানেই নানা ধরনের অসুখ বিসুখের সময়। গ্রীষ্মপ্রধান আমাদের দেশে যেমন এই সামান্য কয়েক মাসের শীতের আমেজের জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে, তেমনই শীতকাল এলে ঘরে ঘরে সর্দি কাশিও বেড়ে যায়। আর বাচ্চাদের মধ্যে গলা ব্যাথা, সর্দি, কাশি, জ্বর, ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যা তো লেগেই থাকে।
EiSamay.Com winter diet for kids do not give these 5 foods to your kids during winter
আসছে শীত, বাচ্চাকে ভুলেও এই ৫ খাবার দেবেন না


শীতকাল মানেই নানারকম মুখরোচক খাওয়া দাওয়ারও সময়। কিন্তু এই সময় বাচ্চাদের কয়েকটি খাবার থেকে দূরে রাখাই ভালো। না হলে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই তাদের এমন খাবার দিন, যাতে বাচ্চাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা না যায়। কারণ শীতকাল টানের সময়। এই সময় বাচ্চাদের শরীরে সহজেই জলের অভাবে দেখা যেতে পারে। জেনে নিন শীতকালে কোন কোন খাবার বাচ্চাদের দেবেন না।

নোনতা ভাজাভুজি

বাচ্চারা নানারকম মুখরোচক খাবার খেতে বায়না করে ঠিকই। কিন্তু শীতকালে বাচ্চাদের নোনতা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার না দেওয়াই ভালো। মাখন বা তেলে থাকা ফ্যাট এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড মিউকাস ও স্যালাইভাকে আরও গাঢ় করে দিতে পারে। তাই এই সময় ভাজাভুজি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। নেহাতই ভাজা কিছু খাওয়াতে হলে অ্যানিম্যাল অয়েলের বদলে ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করুন।

​ক্যান্ডি

শীতকাল হোক বা গরম কাল, বাচ্চাকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন ক্যান্ডি থেকে দূরে রাখতে। কারণ ক্যান্ডিতে যে সাদা চিনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই শ্বেত রক্তকণিকাই আমাদের নানা ধরনের সংক্রমণ ও অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। তাই বেশি চিনি খেলে ভাইরাল ও ব্যাকটিরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে বাচ্চাদের চকোলেট, ক্যান্ডি, নরম পানীয় দেওয়া বন্ধ রাখুন।

মেয়োনিজ

মেয়োনিজে আছে প্রচুর পরিমাণে হিস্টামিন। এই হিস্টামিন রাসায়নিক আমাদের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কিন্তু শীতকালে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে হিস্টামিন জমে গেলে মিউকাস বৃদ্ধি করে। ফলে গলা ব্যাথা হতে পারে। মেয়োনিজ ছাড়াও টমেটো, অ্যাভোকাডো, মেয়োনিজ, মাশরুম, ভিনিগার, বাটারমিল্ক, আচারে হিস্টামিন থাকে।

​দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য হল অ্যানিম্যাল প্রোটিন। শীতকালে অ্যানিম্যাল প্রোটিন স্যালাাইভা ও মিউকাসকে গাঢ় করে দেয়। এর ফলে বাচ্চাদের গলা ব্যাথা ও ঢোক গেলায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য বাচ্চাদের বেশি না দেওয়াই ভালো। শীতকালে বাচ্চাদের সর্দি হলে তখন দুধ, চিজ, ক্রিম একটু কম করে খাওয়ান।

​মাংস

মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যার ফলে মিউকাস বৃদ্ধি হতে পারে। মিউকাস বাড়লে গলায় সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং ডিম এই সময় দেওয়া একদমই উচিত নয়। তার বদলে শীতকালে বাচ্চাদের বেশি করে মাছ খাওয়ান। আর যদি শীতেও বাচ্চাকে মাংস খাওয়াতে চান, তাহলে অরগ্যানিক মাংস খাওয়াতে পারেন।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল