অ্যাপশহর

Female Infertility: মা হওয়ার সেরা সময় কখন জানেন? রইল সুপরামর্শ

পুষ্টিকর সুষম খাবার না খেয়ে যদি দিনের পর দিন অস্বাস্থকর জীবন-যাপন করেন, তবে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা কিন্তু প্রতি পদে৷ গবেষণা বলেছে, বিশেজ্ঞদের মতে মদ - সিগারেট খাওয়া বা নেশা-ভাঙ করা, মানসিক চাপ বা অবসাদে জর্জরিত হলে সমস্যা বাড়ে বই কমে না ৷ জেনে নিন কেমন জীবনযাপন করলে গর্ভসঞ্চার এর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে?

Produced byDebnil Saha | EiSamay.Com 21 Apr 2023, 3:45 pm
বয়স বাবদ সমস্যা কিছুটা বাড়লেও কিছু করার নেই। কারণ আজকাল আর ওই বয়সের আগে কেউ সংসার বা সন্তানের কথা ভাবেন না। সমস্যা হয় যদি সঙ্গে আরো কিছু ঝামেলা যুক্ত হয়।
EiSamay.Com what lifestyle and environmental factors may be involved with infertility in females
Female Infertility: মা হওয়ার সেরা সময় কখন জানেন? রইল সুপরামর্শ


যেমন, খুব কম বা বেশি ওজন, ব্যায়াম একেবারে না করা বা বাড়াবাড়ি রকমের করা, মদ - সিগারেট খাওয়া বা নেশা-ভাঙ করা, মানসিক চাপ বা অবসাদে জর্জরিত থাকা ইত্যাদি। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, বয়স একটু বেশি হলেও, যদি এসব দিকে নজর দেওয়া যায়, গর্ভসঞ্চার এর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। জানতে চান, কীভাবে কী হয় ও কীভাবে তার সমাধান করা যায়? আসুন দেখে নেওয়া যাক।

​ওজন খুব বেশি বা খুব কম হলে

বিশেষজ্ঞদের মতে বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স অর্থাৎ উচ্চতার সঙ্গে ওজনের যে নির্দিষ্ট সম্পর্ক থাকা উচিত, যাকে ওজন বৃদ্ধির সূচক বলা হয়, তা যদি ৩০ এর ওপরে চলে যায় গর্ভপাত ও গর্ভাবস্থায় নানা রকম জটিলতার আশঙ্কা থাকে। প্রসবে সমস্যা হয়। বিএমআই যত বাড়ে, তত বাড়ে সমস্যা। ৩৬-৩৭ এর ওপরে গেলে বা ৪০ ছাড়িয়ে গেলে তো কথাই নেই।

ওজন খুব কম হলেও বিপদ। ওভারির কাজে ব্যাঘাত হয় অনেক সময়। যাকে বলে ওভারিয়ান ডিসফাংশন। এবং এই দুটি সমস্যা একসঙ্গে থাকলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা প্রতি পদে বিএমআই ১৭- র নীচে নেমে গেলে তো কথাই নেই। সমস্যা আছে আরো। প্রায় সোয়া লক্ষ মহিলার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এদের মধ্যে যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম ছিল, তাদের বাচ্চা সময়ের অনেক আগে জন্মেছে এবং তাদের নিয়ে বেশ ভালই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্তানকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে চান, তাহলে বাবা-মাকে রোজ এই কাজটি করতে হবে

गर्भधारण करने के लिए अपनाएं ये नेचुरल उपाय

गर्भधारण (कंसीव) करने के लिए अपनाएं ये नेचुरल उपाय

​ব্যায়াম খুব কম বা খুব বেশি করলে বিপদ

ঝামেলাহীন ভাবে গর্ভসঞ্চার হতে ও নিরুপদ্রবে সন্তানের জন্ম দিতে চাইলে পরিমিত ব্যায়াম করতেই হবে। এবং সেই ব্যায়ামের ফলে যদি ধীরেসুস্থে ওজন কমে, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু যদি একেবারে শুয়েবসে থাকেন বা বাড়াবাড়ি রকমের ব্যায়াম করেন, উল্টো ফল ফলার বিরাট আশঙ্কা। দেখা গেছে যারা খুব কম সময়ের মধ্যে প্রচুর ব্যায়াম করে অনেক মেদ ঝরিয়ে ফেলেন তাদের পিরিয়ডের সমস্যা হয়। সমস্যা হয় অভুলেশান তথা ডিম্বাণু উৎপাদনে। বাড়াবাড়ি ব্যায়াম করলে শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোনের ঘাটতি হয়। তা থেকেও সমস্যা হয়। কাজেই নিয়মিত পরিমিত ব্যায়াম করুন। সুষম কম ক্যালরির খাবার খান। যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুষ্টিরও কোনো ঘাটতি না হয়।

​নেশা করবেন না

ড্রাগের নেশা তো নয়ই, ধূমপান নয়, এমনকী মদ্যপানও নয়। বিভিন্ন সমীক্ষা হয়েছে এ নিয়ে। দেখা গেছে যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের ওভারির কার্যকারিতা কমে যায়। ডিম্বাণুর অকালমৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে যখন দরকার তখন ডিম্বাণুর যোগান পাওয়া যায় না। ড্রাগের নেশা করলে সন্তান পেটেই মারা যেতে পারে। পুরুষ বন্ধ্যাত্বেরও অন্যতম কারণ ড্রাগ।

পরিমিত মদ্যপান এমনিতে খুব খারাপ না হলেও খুব বেশি মদ খেলে ওভারির কাজে ব্যাঘাত হয়ে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। কাজেই গর্ভসঞ্চারের আগে থেকেই মদ খোয়া বন্ধ করে দিন। গর্ভবতী অবস্থাতেও খাবেন না।

আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের এই ভুলগুলো কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যতে ক্ষতি হয়ে দাঁড়াতে পারে!

​মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন

বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ। বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা গেছে যে সমস্ত মহিলা চাকরি করেন ও সপ্তাহে ৩২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়, তাদের গর্ভসঞ্চার হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। ১৬-৩২ ঘণ্টা যাদের সাপ্তাহিক কাজের সময়সীমা, তাদের এই ধরনের সমস্যা কম হয়।

স্টাডি থেকে জন্য গেছে, যে সমস্ত মহিলা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করাতে যান, তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশের উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকে, যাকে বলে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। থাকে অবসাদ। তবে মানসিক সমস্যার জন্য বন্ধ্যাত্ব হল নাকি বন্ধ্যাত্ব হল বলে মানসিক সমস্যা হয়েছে, তা সব সময় নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাও, বিশেষজ্ঞদের মত হল, গর্ভসঞ্চার এর জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে এদিকেও নজর দেওয়া দরকার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
Debnil Saha
Debnil Saha is working as a Consultant in Eisamay.com, Bengali News website of the Times Internet, a product of the Times of India Group.... আরও পড়ুন

পরের খবর