বিমান সফরে সাবধান গর্ভবতীরা, মেনে চলুন এই ৬ টিপস
Pregnant Women-দের যে সব সাবধানতা মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল বিমান সফরকালে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করা। জেনে নিন প্লেনে সফর করলে গর্ভবতী মহিলাদের কোন কোন সুরক্ষার বিষয়ে মেনে চলা জরুরি। এই টিপসগুলি মেনে চললে গর্ভবতী মহিলাদের বিমান সফরকালে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
আন্তর্জাতিক সফরে 'না'
অবশ্যই আন্তর্জাতিক উড়ানে ঘরোয়া উড়ানের থেকে সময় বেশি লাগে। সেই কারণে যদি বিমান সফরকালে প্রসববেদনা উঠলে তা গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানে নানা ভাষাভাষীর মানুষ থাকেন। সেক্ষেত্রে নিজের শারীরিক কষ্টের কথা বোঝাতে ভাষা একটা বড় সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি অন্য় দেশের আকাশে জন্ম হলে আপনার সন্তানের নাগরিকত্ব নিয়েও সমস্যা হতে পারে। সরকারি স্তরে অনেক রকম কাগজ চালাচালির কাজে পড়তে হতে পারে আপনাকে।
ডাক্তারের অনুমতি
যদি আপনার গর্ভাবস্থার ২৮ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে বিমান সফরে ছাড় দেওয়ার আগে বেশিরভাগ বিমান সংস্থা ডাক্তারের লিখিত অনুমতি পত্র চাইবে। আকাশে ওড়াকালীন আপনার কোনও ভাবে প্রসব বেদনা ওঠার সম্ভাবনা যে নেই, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। বিমানে প্রসব বেদনা উঠলে গর্ভবতী মহিলা ও তাঁর সন্তানের প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই বিমান সফর করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আর হ্যাঁ, অমুকের গর্ভাবস্থায় বিমান সফরে কিছু হয়নি, তাই আমারও কিছু হবে না - এই রকম ধারণা মনের মধ্যে রাখবেন না। কারণ প্রতিটি মানুষের শারীরিক গঠন আলাদা।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী মহিলারা কি নির্ভয়ে চিংড়ি খেতে পারেন? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত
পোশাক নির্বাচন
গর্ভবতী মহিলারা বিমান সফর করলে কী ধরনের পোশাক পরবেন, তা সতর্ক হয়ে বেছে নিন। কারণে আকাশে ওড়াকালীন বিমানের তাপমাত্রায় যে তারতম্য হয়, তা আমাদের প্রত্যেকের শরীরে আলাদা আলাদা ভাবে প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীর বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে বলে তাঁদের বেশি সাবধান থাকা জরুরি। কারোর আকাশে ওড়ার সময় ঠাণ্ডা লাগে, আবার কারোর গরম লাগে। তাই পর পর লেয়ার আছে, এমন পোশাক বেছে নিন। যাতে গরম লাগলে ওপর থেকে কিছু খুলে ফেলতে পারেন, আর ঠান্ডা লাগলে ওপরে আরও কিছু চাপিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: গর্ভধারণ এই ৫ বদল আনে দাম্পত্যে, জানুন প্রেম ধরে রাখার টিপস
বেশি জিনিস নেবেন না
গর্ভাবস্থায় সফর করতে হলে বেশি জিনিস সঙ্গে না নেওয়াই ভালো। যদি আপনার সঙ্গে আরও কেউ থাকে এবং তিনি বা তাঁরাই যদি আপনার জিনিসপত্রের খেয়াল রাখতে পারেন, তা হলে অন্য কথা। না হলে ব্যাগ যতটা সম্ভব হালকা রাখার চেষ্টা করুন। কারণ চেক-ইন করা, টার্মিনাল খুঁজে বের করা এবং বিমানে ওঠার জন্যই অনেকটাই হাঁটাহাঁটি করতে হয়। তার জন্য সঙ্গের ব্যাগ হালকা থাকলেই আপনার সুবিধে। ভারী ব্যাগ ওঠানো বা টেনে নিয়ে যাওয়া মোটেও গর্ভবতীদের জন্য উচিত নয়।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় চকোলেট খেলে সুস্থ থাকবে মা ও সন্তান
বমি হতে পারে
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিক চলার সময় বিমান সফর করা একদমই উচিত না। কারণ ওই সময় গর্ভবতী মহিলাদের বমি-ভাব সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে প্রথম ত্রৈমাসিক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্লেনের ঝাঁকুনিতে বমি-ভাব আসতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পুদিনা চায়ে চুমুক দিন। বিমানে পাওয়া যাবে কি না, সেই ভরসায় না থেকে নিজের জন্য মিন্ট টি আলাদা করে সঙ্গে রাখুন।
সামনের আসন বেছে নিন
আপনি যদি বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে সফর না করেন, তাহলে সিটে ঢুকতে ও বেরোতে বেবি বাম্পের জন্য সমস্যায় পরতে পারেন। সেই কারণে বিমানের সামনের সিট বা যাকে বলে Aisle Seat তা বেছে নিন। এর ফলে আপনি আপনার সামনে ও পাশে কিছুটা অতিরিক্ত জায়গা পাবেন। এর ফলে টয়লেট যাওয়াও আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে।