অ্যাপশহর

আজকের দিনে সন্তানের হাতে দিতেই হয় স্মার্টফোন! তারা নিরাপদে ব্যবহার করছে তো?

একটু বড় হতেই ছেলে মেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন বাবা মায়েরা। হাতে মোবাইল আসা কিশোর মনে স্বাধীনতার প্রথম ধাপ। কিন্তু এই বয়সে ছেলেমেয়েরা অনেক সময় ভুলও করে ফেলে। তাই বাবা-মায়েদেরই একটু সতর্ক হতে হবে।

EiSamay.Com 11 Jan 2021, 4:15 pm
এই সময় জীবন যাপন ডেস্ক: বর্তমান যুগের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ছাড়া জীবন আজকাল ভাবতেই পারি না আমরা। কোনও কারণে একদিন সঙ্গে ফোন না থাকলেই নিজেকে পাগল পাগল লাগে, তাই না? মোবাইলের এই নেশা ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেও। ২-৩ বছরের বাচ্চারাও স্মার্টফোন কী ভাবে চালাতে হয় জানে। এই করোনা আবহে অনলাইন ক্লাসের কারণে বাচ্চাদের মধ্যে আরও বেড়ে গিয়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। কিন্তু তারা স্মার্টফোন নিরাপদে ব্যবহার করছে তো? হাতে স্মার্টফোন মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকসেস। কিশোর বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কোনও ভুল করে ফেলছে কিনা, সেই বিষয়ে কিন্তু বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে।
EiSamay.Com smartphone safety tips for teens and parents
আজকের দিনে সন্তানের হাতে দিতেই হয় স্মার্টফোন! তারা নিরাপদে ব্যবহার করছে তো?


​সেফটি রুলস মানতেই হবে

ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার আগে এর বিপদের দিকটি সম্পর্ক তাদের সচেতন করুন। কিছু নিয়ম যে তাদের মানতেই হবে এটা প্রথমেই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিন। ডিজিটাল দুনিয়া অত্যন্ত আকর্ষণীয় হলেও ভুল পদক্ষেপে যে বড় বিপদ হতে পারে সেই বিষয়ে তাদের সতর্ক করুন। নিয়ম না মানলে স্মার্টফোন ফেরত নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়ে দিন। তবে এমন কিছু বলবেন না, যাতে নিয়ম ভাঙার প্রতি ওদের আকর্ষণ বেড়ে যায়। নিজের ফোন নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা যে নিরাপদ নয়, সেটা ওদের জানিয়ে রাখুন।

​পাসওয়ার্ড শেয়ার নয়

সন্তান যাতে ফোন লক করে সুরক্ষিত রাখে সেই বিষয়ে তাকে নির্দেশ দিন। কখনও কোনও কারণেই বাবা মা ছাড়া আর কারোর সঙ্গে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না বলেও জানিয়ে রাখুন। সন্তানের মোবাইলে টু-ফ্যাক্টপ অথেনটিকেশন অ্যাক্টিভ করে রাখুন। তা হলে কারোর সঙ্গে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা হলে আপনি জানতে পারবেন। তাকে বলুন অচেনা কারোর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব না করতে।

​রুটিন প্রাইভেসি চেকআপ

কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া দারুণ আকর্ষণীয় একটা জায়গা। কিন্তু এটা সাবধানে ব্য়বহার করাও খুব জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে সন্তানের ফোন চেক করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায়া কার কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে বা কথাবার্তা বলছে তা দেখে নিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ছেলে বা মেয়ে কী পোস্ট দিয়েছে এবং নিজের সম্পর্কে কী কী তথ্য শেয়ার করেছে সেগুলোও যেন আপনার জানা থাকে।

​ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার নয়

সন্তানকে জানিয়ে রাখুন যে সে যা যা কথা বাবা মাকে বলতে অস্বস্তি বোধ করে, সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা যাবে না। বাড়ি বা স্কুলের ঠিকানা, কখন কোথায় যাচ্ছে সেই সব তথ্য ছেলে মেয়েরা যাতে অনলাইনে শেয়ান না করে সেদিকে কড়া নজর রাখুন। অনলাইনে সে বুলিং বা ট্রোলিং-এর শিকার হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখুন। একই ভাবে সেও যেন কাউকে বুলিং বা ট্রোলিং না করে সেই বিষয়েও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

​নো-ফোন শিডিউল

ফোন হাতে পাওয়া মানে স্বাধীনতার দরজা অনেকটা খুলে যাওয়া। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সন্তান সব সময় ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকবে। কোন সময় সে ফোন ব্যবহার করবে এবং কোন সময় করবে না সেটা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিন। খাওয়ার সময় বা বাড়িতে সবাই বসে যখন গল্প করছে, সেই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল