অ্যাপশহর

গর্ভবতী মহিলারা কি নির্ভয়ে চিংড়ি খেতে পারেন? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত

Pregnant Women-দের খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছুটা সচেতন থাকতেই হয়। অনেক কিছুই গর্ভবতী মহিলারা খেতে পারেন না। আজ আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মহিলারা নিরাপদে চিংড়ি খেতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়ে। Prawn আমাদের প্রায় সবারই অত্যন্ত প্রিয় খাবার। তবে চিংড়ি থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়ে যায়। গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে চিংড়ি খাওয়া উচিত না অনুচিত তা জেনে নিন।

Produced byশ্রমণা গোস্বামী | EiSamay.Com 18 May 2022, 4:38 pm
Pregnant Women-দের শরীর যাতে ভালো, সেই বিষয়ে আমরা সব সময়ই চিন্তা করি। কারণ গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের সঙ্গে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যও জড়িত। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, বা এমন কিছু খাওয়া উচিত নয়, যাতে তাঁর সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মহিলাদের চিংড়ি মাছ খাওয়া উচিত কিনা, সেই বিষয়ে।
EiSamay.Com prawn1
Prawn: গর্ভবতী মহিলাদের চিংড়ি খাওয়া উচিত না অনুচিত


মাছে-ভাতে বাঙালির তো আবার দুটি মৎস্যকন্যা। ইলিশ আর চিংড়ি। প্রথমটি মাছের রাজা। আর দুই নম্বরটি জলের পোকা। তা হোক, তবু রাজা-প্রজা দুজনের প্রেমেই বাঙালি হাবুডুবু খায়। লোক দেখানো চিংড়ি-ইলিশ নিয়ে ঝগড়া-ঝাঁটি করলেও পাতে ওই দুজন একসঙ্গে পড়লে হামলে পড়বে ঘটি-বাঙাল দুজনেই।

যদিও কিছু পোড়া কপাল আছে যাঁরা এই দুই সুন্দরীর স্বাদ থেকে বঞ্ছিত থাকতে বাধ্য হন। ঘরের শত্রু অ্যালার্জি ইলিশ-চিংড়ি থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখে। রাইমা অবশ্য এ ব্যাপারে বেশ লাকি। ইলিশ-চিংড়ি দুটোই সে কবজি ডুবিয়ে খায়। আর গর্ভবতী হযে পড়ার থেকে তাঁর জিভ আর পেট সবসময়ই খাই খাই করে। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবারের মধ্যেই দিনরাত ডুবে থাকে সে। বাঙাল বাড়ির মেয়ে হলেও সে ঘটি বাড়ির বউ। তাই প্রাণের ইলিশ বর্ষা ছাড়া পায় না বলে বাকি সময় চিংড়ি দিয়েই মন ভালো করে। কিন্তু যেদিন সে মা হতে চলার খবর সবাইকে জানিয়েছে সেদিন থেকে অনেকে তাঁকে চিংড়ি মাছ খেতে বারণ করে নিয়েছে। কিন্তু কেন? প্রেগন্যান্ট অবস্থায় চিংড়ি মাছ খেলে কী হয়?

সাফ উত্তর। কিছুই হয় না। মানে কোনও ক্ষতিই হয় না। বলেন চিকিৎসকরা। হবু মায়ের যদি অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে তাহলে তিনি অনায়াসেই চিংড়ি মাছ খেতে পারেন। হ্যাঁ, তবে রোজ রোজ চিংড়ি খাবেন না। মাঝে মধ্যে লাঞ্চ কিংবা ডিনারে সুস্বাদু পোকাটিকে রাখতেই পারেন।


আসলে অনেক গর্ভবতী মহিলাদেরই কিছু সামুদ্রিক মাছ বা প্রাণী খেতে বারণ করে চিকিৎসকরা। তবে তার মানে এই নয় সবার জন্যই মানা। চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে চিংড়ি খেতেই পারেন।

পুষ্টিবিদদের মতে স্তন্যপানের ক্ষেত্রে চিংড়ি বেশ উপকারী এবং গর্ভের ভিতর সন্তানের বড় হওয়ার পিছনেও এর ভূমিকা ইতিবাচক। তাই সমুদ্রের মাছ বা প্রাণী খাওয়া বারণ শোনার পর চিকিৎসকের কাছ থেকে সেগুলির নামও শুনে নিন। দেখবেন চিংড়ি নিয়ে তিনি কোনও বিধিনিষেধ জারি করবেন না।

গর্ভাবস্থায় চকোলেট খেলে সুস্থ থাকবে মা ও সন্তান
চিংড়ির উপকার

- গর্ভবতীদের জন্য চিংড়ি মাছ বেশ উপকারী। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ চিংড়ি সহ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত একাধিক সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি কম করতে দারুণ কার্যকরী।

- গবেষণা বলছে, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের কারমে গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- হবু মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় প্রোটিং, ভিটামিন B-2 এবং ভিটামিন D প্লাস পাওয়া যায় চিংড়ি সহ বেশকিছু , সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী থেকে।

- চিংড়িতে থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। হবু মা এবং সন্তানের শরীরে রক্ত চলাচল ভালো করতে সাহায্য করে। শরীরের আয়রনের ঘাটতির ফলে অ্যানিমিয়া জাতীয় কোনও সমস্যা দেখা দেয় না।

গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে পাবেন একাধিক উপকার, সুস্থ থাকবে শিশুও
চিংড়ি থেকে সাবধানতা

নিয়মিত চিংড়ি খান তবে একটু সাবধান হয়ে।

- প্রসেসড্ বা অর্ধেক সিদ্ধ চিংড়ি একেবারেই খাবেন না।

- হজমের সমস্যা থাকলে চিংড়ি কিছুদিন না খাওয়াই ভালো।

- গর্ভধারণের খবর পাওয়ার পরই চিংড়ির সুশি, সাশিমি, অয়েস্টার ইত্যাদি খাওয়া একদম বন্ধ করে দিন।

- রেস্তোরাঁর চিংড়ি না খেয়ে বাড়িতে রান্না করা চিংড়ির পদ খান।

- কাঁচা চিংড়ি ছাড়ানোর সময় কালো সুতোর মতো অংশ বা স্পর্শরেখাটি ফেলে দেওয়া হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।

- টাটকা চিংড়ি খান। পচা প্রক্রিয়াজাত মাছের দিকে একেবারেই তাকাবেন না।

- চিংড়ি খেতে গিয়ে অ্যালার্জির সমস্যা কচিৎ কখনও দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যালার্জির ওষুধ খেলেও গর্ভধারণের পর যে কোনও ওষুধ খাওয়া কিন্তু একদমই চলবে না।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রমণা গোস্বামী
"শ্রমণা গোস্বামী ১৫ বছরেরও বেশি সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় প্রথম কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। নিউজ ও নন-নিউজ, উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রমণা। বিভিন্ন বিষয়কে সবার কাছে সহজ সরল ও যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে তুলে ধরে মিডিয়া জগতের একজন পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজের বর্তমান সেকশনে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছেন শ্রমণা। নিজের গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর তাগিদ সব সময় কাজ করে তাঁর মধ্যে। মানুষকে গল্প শোনানো ও নতুন নতুন বিষয় জানানোর প্রতি তাঁর আগ্রহ শ্রমণাকে তাঁর কাজের প্রতি আরও যত্নশীল ও নিখুঁত করে তুলেছে। নিজের পেশাগত জীবনের বাইরে শ্রমণার নেশা বই পড়া। নানা ধরনের বই পড়ার পাশাপাশি হালফিলের ওয়েব সিরিজ দেখেও অবসর সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। নানা বিষয়ের প্রতি আগ্রহই তাঁর সৃজনশীলতাকে সজীব করে রাখে সব সময়। নিজের কাজ ও জীবনধারার প্রতি স্বচ্ছ ও তাজা দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অধিকারী মিডিয়া প্রফেশনাল শ্রমণা গোস্বামী নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল ও দায়িত্ববান। "... আরও পড়ুন

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল