অ্যাপশহর

ভাবী মায়েদের কষ্ট বাড়ায় বমি বমি ভাব, এইসব ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখলেই কমবে Morning Sickness

সন্তানসম্ভবা মায়েদের অনেকেই সকালে উঠে বমি বমি ভাবের শিকার হন। এই সমস্যার নাম মর্নিং সিকনেস। এক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেই মর্নিং সিকনেস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

Produced byসায়ন নস্কর | EiSamay.Com 18 May 2023, 2:42 pm
প্রেগন্যান্সির সময়ে একাধিক সমস্যা পিছু নিতে পারে। আর এই সকল সমস্যার মধ্যে বহুল চর্চিত হল মর্নিং সিকনেস। এই সমস্যায় জর্জরিত ভাবী মায়ের সকালে উঠেই বমি পায়। কিছু ক্ষেত্রে তো অনবরত বমি হয়।
EiSamay.Com home remedies for morning sickness
ভাবী মায়েদের কষ্ট বাড়ায় বমি বমি ভাব, এইসব ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখলেই কমবে Morning Sickness


গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রায় ৬৫ শতাংশ মহিলা প্রেগন্যান্সির কোনও না কোনও সময় মর্নিং সিকনেসে ভোগেন। মুশকিল হল, একবার শুরু হলে এই সমস্যা পরপর কিছুদিন চলতেই থাকে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, সকালের শুরুটা সকলেই ভালো করে কাটাতে চান। তবে বহু সন্তানসম্ভবা মহিলার দিনটাই শুরু হয় খারাপভাবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই তাঁদের মুখে হাত দিয়ে বাথরুমে দৌড়াতে হতে পারে। তারপর শুরু হয় ওয়াক তোলার পালা। এরসঙ্গে লেজুড় হতে পারে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তিভাবও।

তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াও এই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারেন। আসুন সেই সকল ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

​১. আদা হল মোক্ষম দাওয়াই​

বমি বা বমি ভাব দূর করার ক্ষেত্রে আদার কোনও জুড়ি নেই। এতে রয়েছে জিজ্ঞেরল নামক একটি উপকারী উপাদান। এই উপাদানটি আদার অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বমি বা বমি বমি ভাব কমিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই নিয়মিত মর্নিং সিকনেসের সমস্যায় ভুগলে আদার কয়েকটি কুঁচি মুখে তুলে নিতে পারেন। এতেই সমস্যা কয়েকগুণ কমতে পারে। ইচ্ছে হলে আদা চা বানিয়েও খেতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে।

২. ভেষজ চা হতে পারে যক্ষের ধন

এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের হার্বাল টি বিক্রি হয়। এই সকল চা কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকী বমির সমস্যা কমাতেও সিদ্ধহস্ত ভেষজ চা। তবে বাজার থেকে ভেষজ চা কিনে খাওয়ায় আপত্তি থাকলে বাড়িতেই এই পানীয় বানিয়ে নিন। এক্ষেত্রে ক্যামোমিল, লেবু ও পুদিনা সহযোগে চা তৈরি করুন। এই চা খেলেই কমবে মর্নিং সিকনেসের সমস্যা। তবে গ্যাস, অ্যাসিডিটি সমস্যা থাকলে চায়ে পুদিনা না মেশানোই উচিত।

​৩. প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস জলপান জরুরি​

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে জলপান করতে হবে। বিশেষত, প্রস্রাব ও মলত্যাগের আগে জলপান করা চাই-ই চাই। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। জলের ঘাটতি তৈরি হবে না। ফলে সকালে উঠে বমি বমি ভাবের আশঙ্কা কমবে বলে জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন

তবে রাতের বেলায় পেট ভর্তি করে জলপান করবেন না। রাতে পেটপুরে জল খাওয়ার কারণে বারবার প্রস্রাব করতে উঠতে হতে পারে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সকলের দিকেই বেশি পরিমাণে জলপান করুন।

​৪. রোজ ডাবের জল খান​

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত ডাবের জল খেতে হবে। এক্ষেত্রে দিনে এক গ্লাস ডাবের জলে গলা ভেজান। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। আসলে ডাবের জলে রয়েছে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভাণ্ডার যা দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফেরায়। এছাড়া এই পানীয়ে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা কমাতে সক্ষম। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ডাবের জল খাওয়া শুরু করে দিন। এতেই হাতেনাতে ফল পাবেন।

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না​

তবে এই সকল ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের পরও সমস্যা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ নিয়মিত বমি হলে পেটের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকী গর্ভের সন্তানও বিপদের মুখে পড়তে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। তাঁর পরামর্শ মতো ওষুধ খান। এতেই সমস্যা অনায়াসে বাগে চলে আসবে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন: কৃমির উৎপাতে থমকে যায় ছোটদের 'ডেভেলপমেন্ট', তাই এই উপসর্গ দেখলেই নিয়ে ফেলুন চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট
আরও পড়ুন: ব্রেস্টফিড করানোর সময় এই ৫ খাবার এড়িয়ে চললেই থাকবেন 'ফিট'!

লেখকের সম্পর্কে জানুন
সায়ন নস্কর
"সায়ন নস্কর ৬ বছর কাজ করছেন মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রিতে। পাঠকের মনোগ্রাহী প্রতিবেদন তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পেশ করেন। সায়ন প্রিন্ট মিডিয়াতে নিজের কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার বিষয়ে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এই কয়েক বছরে তিনি মূলত হেলথ ও রিলেশনশিপ বিভাগে কাজ করেছেন। এই দুই বিভাগেই তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেন। সায়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ ৬ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছেন। হেলথ ও ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বাস্তবসম্মত লেখনিতে বিশ্বাসী। তাঁর লেখা সহজেই বোধগম্য হয়। সম্পর্ক বা রিলেশনশিপ বিভাগে তিনি ১.৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়কালেই তিনি এই বিভাগের প্রতিবেদন লেখনিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সম্পর্ক বিষয়ক নানা টিপস তাঁর কাছ থেকে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন। কাজের বাইরেও সায়ন পড়তে ও লিখতে ভীষণই পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলাতেও পারদর্শী তিনি। আর ফাঁকা সময়ে ফিল্ম দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র। তাঁর লেখায় তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের ঝলকও দেখতে পাওয়া যায়। "... আরও পড়ুন

পরের খবর