এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: রুহিতা আর তন্ময়ের সম্পর্কের বয়স মাত্র ২। প্রথম থেকেই স্পষ্টবক্তা রুহিতা। নিজের ভালোলাগা, খারাপ লাগা নিয়ে বরাবর স্পষ্ট কথা বলে। প্রেমিক বলেই যে সব কথায় সায় দিতে হবে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে, এটা কখনই মেনে নেয়নি সে। আর এ ব্যাপারে তন্ময়েরও কোনও আপত্তি নেই। বরং সে বলে, রুহিতার এমন দৃঢ় মানসিকতাই তাকে আকৃষ্ট করেছিল। আর তন্ময়ের ধারণা এর ফলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অনেকটা কম হয়। কোনও বিষয় কারোর খারাপ লাগলে তারা চেষ্টা করে সেই রকম ভুল যাতে পরবর্তীতে না হয়। রুহিতার এই মানসিকতা তাকে সাহায্য করেছে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে। তবে রুহিতার আত্মীয় পরিজনরা তার এইরকম মানসিকতা মেনে নিতে পারে না। প্রতিবাদী স্বভাবের জন্য সবার মনে হয়েছে অকারণেই তর্ক করে সে। এইভাবে কোনও কিছু অপছন্দ হলে মুখের উপর না বলে দেওয়া ঠিক নয়য়। কিন্তু রুহিতার ভাবনাতেই শিলমোহর দিচ্ছেন বিশিষ্ট সাইকোথেরাপিস্ট অ্যান্ড্রু ওয়াল্ড। তাঁর মতে সম্পর্কে দম্পতি বা যুগল হলেও প্রত্যেক মানুষের আলাদা ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। ইচ্ছে রয়েছে। আত্মমর্যাদা রয়েছে। আর তাই সবার উচিত সেই মর্যাদাকে প্রাধান্য দেওয়া। 'আমি যাব না', বা 'আমার এখন ভালো লাগছে না'- সঙ্গী কেন বলছেন তা ভেবে দেখাটাও জরুরি। কারণ মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। আর এই না বলার মধ্যে থাকে সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি। আর তাই যে যে পরিস্থিতে এবং যে যে কারণে না অবশ্যই বলবেন তা হল- গুরুত্ব দিন নিজের কাজকে
যে কাজই করুন না কেন তাই আপনার কাছে গুরুত্বের। যদি মনে হয় কাজের পর একটু ঘুমোলে আপনার নিজের ভালোলাগবে তাহলে তাই করুন। কিন্তু অন্যের প্রয়োজন আছে বলে সেই সময়টা আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে তাঁর ইচ্ছেতে...এরকম প্রসঙ্গ আসলে সটান না বলুন। আপনার কাছে সময় নেই আর যেটুকু আছে তা আপনি নিজের কাজে লাগাতে চান।
কে কী ভাবল এসবে গুরুত্ব নয়
সমাজে আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। কিন্তু গুরুত্ব দিন নিজের কাজকে। গুরুত্ব দিন নিজেকে। আপনার না বলায় অন্যজনের খারাপ লাগতে পাকে এসব বিষয় মাথার মধ্যে রাখবেন না। তিনি কী বলতে পারেন এসব ভেবে অযথা নিজের সময় নষ্ট হয়। মন যেখানে সায় দেবে না সেখানে জোর করে কিছু করতে যাবেন না। এসে সম্পর্ক খারাপ হয়।
কারোর উপর অতিরিক্ত ভরসা নয়
কোনও কারণে শরীর অসুস্থ হলে তখন আমাদের কারোর উপর বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয়। কিন্তু অপ্রয়োজনে কাউকে ভরসা নয়য়। বরং নিজের কাজ নিজেই করে নিন। নিজের মতো সময় বের করে কোন কাজকে আগে গুরুত্ব দেবেন তা দেখে নিন। অকারণে কাউকে অনুরোধ করবেন না। এমনকী সাহায্যের প্রয়োজন না থাকলে সরাসরি না বলুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে সেই সঙ্গে তৈরি হবে আত্মবিশ্বাস।
কাউকে দয়া দেখাবেন না কিংবা দয়া নেবেন না
সব মানুষের জীবনেই সব রকম পরিস্থিতি আসে। জীবনটা একটা লড়াই। আর এই লড়াইয়ে যেচে কাউকে দয়া দেখাবেন না। এই ভাবে দয়া দেখানোর অর্থ তাঁদের অপমান। এছাড়াও কেউ যদি আপনাকে দয়া দেখান কোনও কারণে সেক্ষেত্রেও স্পষ্ট কথায় না বলুন। এতে নিজের আত্মসম্মান বাঁচবে। সেই সঙ্গে আসবে সন্তুষ্টিবোধ। নিজের মধ্যে বেশ কিছু ভালো মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্যই কিন্তু না বলতে শেখা জরুরি। যে কোনও কাজের আগে মনকে প্রশ্ন করুন। মন থেকে সায় দিলে তবেই এগোন। নইলে সরাসরি না বলে দিন। 'না' আর 'হ্যাঁ' এর মধ্যবর্তী কোনও কিছু নেই।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
যে কাজই করুন না কেন তাই আপনার কাছে গুরুত্বের। যদি মনে হয় কাজের পর একটু ঘুমোলে আপনার নিজের ভালোলাগবে তাহলে তাই করুন। কিন্তু অন্যের প্রয়োজন আছে বলে সেই সময়টা আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে তাঁর ইচ্ছেতে...এরকম প্রসঙ্গ আসলে সটান না বলুন। আপনার কাছে সময় নেই আর যেটুকু আছে তা আপনি নিজের কাজে লাগাতে চান।
কে কী ভাবল এসবে গুরুত্ব নয়
সমাজে আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। কিন্তু গুরুত্ব দিন নিজের কাজকে। গুরুত্ব দিন নিজেকে। আপনার না বলায় অন্যজনের খারাপ লাগতে পাকে এসব বিষয় মাথার মধ্যে রাখবেন না। তিনি কী বলতে পারেন এসব ভেবে অযথা নিজের সময় নষ্ট হয়। মন যেখানে সায় দেবে না সেখানে জোর করে কিছু করতে যাবেন না। এসে সম্পর্ক খারাপ হয়।
কারোর উপর অতিরিক্ত ভরসা নয়
কোনও কারণে শরীর অসুস্থ হলে তখন আমাদের কারোর উপর বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয়। কিন্তু অপ্রয়োজনে কাউকে ভরসা নয়য়। বরং নিজের কাজ নিজেই করে নিন। নিজের মতো সময় বের করে কোন কাজকে আগে গুরুত্ব দেবেন তা দেখে নিন। অকারণে কাউকে অনুরোধ করবেন না। এমনকী সাহায্যের প্রয়োজন না থাকলে সরাসরি না বলুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে সেই সঙ্গে তৈরি হবে আত্মবিশ্বাস।
কাউকে দয়া দেখাবেন না কিংবা দয়া নেবেন না
সব মানুষের জীবনেই সব রকম পরিস্থিতি আসে। জীবনটা একটা লড়াই। আর এই লড়াইয়ে যেচে কাউকে দয়া দেখাবেন না। এই ভাবে দয়া দেখানোর অর্থ তাঁদের অপমান। এছাড়াও কেউ যদি আপনাকে দয়া দেখান কোনও কারণে সেক্ষেত্রেও স্পষ্ট কথায় না বলুন। এতে নিজের আত্মসম্মান বাঁচবে। সেই সঙ্গে আসবে সন্তুষ্টিবোধ। নিজের মধ্যে বেশ কিছু ভালো মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্যই কিন্তু না বলতে শেখা জরুরি। যে কোনও কাজের আগে মনকে প্রশ্ন করুন। মন থেকে সায় দিলে তবেই এগোন। নইলে সরাসরি না বলে দিন। 'না' আর 'হ্যাঁ' এর মধ্যবর্তী কোনও কিছু নেই।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।